মডিউল-৭/সেশন-১
রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিবন্ধকতা
(এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স/এএমআর)
কী কারণে রোগের জীবাণুগুলোকে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সক্ষম করে তুলছে? — এন্টিবায়োটিক ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অনিয়মিত ব্যবহারের কারণে।
কী কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেহে এন্টিবায়োটিক ওষুধ কম কার্যকরী অথবা অকার্যকরী হচ্ছে? — এন্টিবায়োটিক ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও অনিয়মিত ব্যবহারের কারণে।
কী কারণে এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস হচ্ছে যার পরিনতি ভয়াবহ? — এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধের অপ্রয়োজনীয় ও যথেচ্ছা ব্যবহারের কারণে।
এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের কারণগুলো কি কি?
— নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারকদের মনোযোগের অভাব;
— এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ ব্যবহার সম্পর্কে ভ্রান্তজ্ঞান;
— রোগী, প্রেসক্রিপশনকারী ও ফার্মাসিস্টদের মধ্যে অপর্যাপ্ত আলোচনা বা পরামর্শ;
— প্রস্তাবিত চিকিৎসার সাথে রোগীর সম্মতি;
— বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধের সহজল্ভ্যতা;
— এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধের গুনগত মানের অভাব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছে যে এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কোন রোগের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে? — সংক্রামক রোগের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য এসেম্বলি রেজ্যুলেশন ১৯৯৮, সদস্য দেশগুলোতে এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছিল?
— এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধের উপযুক্ত ও সাশ্রয়ী ব্যবহারকে উৎসাহিত করা;
— যোগ্যতাসম্পন্ন ও পেশাদার ফার্মাসিস্ট, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ ডিসপেন্ডিং হতে বিরত থাকা;
— রোগ সংক্রমণের বিস্তার ও রেজিস্ট্যান্ট রোগজীবাণুর বিস্তার রোধ করার কাজে উন্নয়ন করা;
— ভেজাল এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি ও ডিসপেন্ডিং এবং অবৈধ বাজারে এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ বিক্রি রোধ করার আইন শক্তিশালীকরণ;
— পশু খাদ্য উৎপাদনে এন্টি-মাইক্রোবিয়াল ওষুধ ব্যবহার কমানো।
অতিরিক্ত, অপর্যাপ্ত ও অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে কি হচ্ছে? — এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর উদ্ভব হচ্ছে।
কখন এন্টিবায়োটিক অকার্যকর? — সাধারণ কাশি এবং ভাইরাস জ্বর এ।
এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পূর্বে কার পরামর্শ নিতে হবে? — বিএমডিসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের।
নোট :
অপ্রয়োজনে, অযৌক্তিকভাবে ও অসম্পূর্ণ মেয়াদে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে প্রতিরোধী জীবাণুর মাধ্যমে আমাদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে। এমতাবস্থায়, একজন সচেতন ওষুধ বিক্রেতার, রোগী/রোগীর অভিভাবক হিসেবে করণীয় কি?
— শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক এন্টিবায়োটিক বিক্রয়, সেবন বা গ্রহণ করতে হবে (বিশেষ ক্ষেত্রে কেবল সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী কর্তৃক সরবরাহকৃত এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে);
— এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখিত সময় ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে;
— শারীরিকভাবে সুস্থ অনুভব করলেও এন্টিবায়োটিকের পূর্ণ কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে;
— কোন কারণে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।