মডিউল-৪/সেশন-৪
ওষুধের মান বজায় রাখা
নিম্নমানের ওষুধ সনাক্ত করার লক্ষণ কি কি?
— লেভেলসমূহ অসম্পূর্ণ ও অস্পষ্ট;
— প্যাকেজিং সমূহ ভাঙ্গা ও ছাড়া;
— তরল জাতীয় ওষুধের বোতলের তলায় তলানী জমে থাকা।
তরল জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— রং গন্ধ বা স্বাদে পরিবর্তন;
— বোতলের তলায় তলানী জমে থাকা;
— ছিপি বা ক্যাপ খোলার সময় গ্যাস বের হওয়া।
মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধের জন্য তৈরি রেজিস্টারে নিম্নের কোন তথ্যগুলো থাকা উচিত?
— উৎপাদন ব্যাচ নাম্বার ও পরিমাণ;
— মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ;
— ওষুধের নাম, ডোজেজ ফর্ম ও স্ট্রেন্থ।
সলিড জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— ওষুধের রং পরিবর্তন বা অস্বাভাবিক গন্ধ;
— প্যাকেজিং এ আঠালো বা ফুটো হয়ে লিক করা;
— ওষুধটি ফুলে উঠা, সহজে ভাঙ্গা বা আবরণ নরম হওয়া।
সেমি সলিড জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— রং ও গন্ধ পরিবর্তন হওয়া;
— ওষুধ শুকিয়ে যাওয়া;
— মলম বা ক্রিম গলে গিয়ে তরল হয়ে যাওয়া।
ওষুধের ভৌতগুণাবলি নিচের কোনটি? — গন্ধ, আকার আকৃতি ও রং, স্বচ্ছতা ও অবস্থা।
জীবাণুমুক্ত জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— রং এবং স্বচ্ছলতার পরিবর্তন;
— দ্রবণের ঘোলাটে ভাব বা তলানী জমা;
— আস্বাভাবিক জিনিসের উপস্থিতি বা প্যাকেজিং এর সমস্যা।
নকল ওষুধের মূল ক্রেতা কে? — ব্যক্তি মালিকানাধীন খুচরা ওষুধের দোকান ও ক্লিনিক।
নকল ওষুধ সনাক্ত করার উপায় কি?
— প্যাকেটের সাইজ ও রং;
— ব্যাচ নাম্বার ও ওষুধের গঠন;
— আসল ওষুধের তুলনায় আস্বাভাবিক কম মূল।
নকল ওষুধ সেবনের ফলে রোগীর কি কি খারাপ পরিণতি হতে পারে?
— ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি;
— অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স;
— রোগীর অবস্থা খারাপ এমনকি মৃত্যু।
নকল ওষুধ চিহ্নিত করতে পারলে কোথায় রিপোর্ট করতে হবে?
— ওষুধ প্রশাসনের অফিসে;
— সরবরাহকারীকে/উৎপাদনকারীকে।
তরল ডোজেজ ফর্মের ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ হল
— ওষুধের রং, গন্ধ এবং স্বাদ পরিবর্তিত হওয়া;
— ড্রাই সিরাপ ও পাউডার ফর সাসপেনশন দলা বেধে যাওয়া;
— বোতলের তলায় তলানি জমা, যা বার বার ঝাঁকালেও দ্রবীভূত হয় না।
নকল ওষুধের ব্যবসা সাধারণ কিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়? — দালাল বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।
ভেজাল ওষুধ চিহ্নিত করণের উপায় কি?
— সক্রিয় উপাদান সামান্য পরিমাণে বা কিছুই থাকে না;
— যার পরিচিতি ও উৎস সম্পর্কে ভূল তথ্য থাকে;
— বাজারে উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন ও একই রকম দেখতে।
নকল ওষুধ সংগ্রহ করার ফলে ব্যবসায়িক কি কি ক্ষতি হতে পারে?
— দোকানির উপর রোগীর আস্থা হারাতে পারে;
— দোকানের আয় কমে যেতে পারে;
— লাইসেন্স হারানো সহ ওষুধ প্রশাসনের আইনগত পদক্ষেপের আওতায় পড়বে।
স্টেরাইল ডোজেজ ফর্মের ওষুধ নষ্ট হওয়ার লক্ষণ হল –
— ওষুধে তলানী পড়ে;
— ওষুধের বর্ণ ও স্বচ্ছতা পরিবর্তন হয়;
— ওষুধ ঘোলাটে হয়ে যায়।
মডেল মেডিসিন শপ চালাতে নিম্নের কোন নির্দেশনাটি থাকা উচিত নয়? — মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করার নির্দেশনা।
ওষুধের সুস্থিতির গ্রহণযোগ্য মানের ধরণ কোনটি?
— রাসায়নিক সুস্থিতি;
— ভৌত সুস্থিতি;
— অনুজীব সম্পর্কিত।
ওষুধ বিক্রয় বা বিতরণের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে –
— ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ভাঙ্গা বা গলে যাওয়া;
— ব্লিস্টার বা স্ট্রিপ ছেড়া ফোটা কিনা;
— ভায়ালের ওষুধের ভৌত পরিবর্তন হয়েছে কি না।
ওষুধ বিক্রয় বিতরণের সময় কোন বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত?
— ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ভাঙ্গা বা গলে যাওয়া;
— ব্লিস্টার বা স্ট্রিপ ছেড়া ফোটা কিনা;
— বোতলের সিল ভাঙ্গা কি না।