মডিউল-৫/সেশন-১
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ক্রেতার নিকট সরাসরি বিক্রয়যোগ্য ওষুধ সমূহ
(OTC Medicines)
অ্যালবেনডাজল কোন ধরণের ঔষধ? — বিস্তৃত কার্যকারিতার কৃমিনাশক।
কারা অ্যালবেনডাজল সেবন করতে পারবেন না? — গর্ভবতী মা।
কোন ঔষধগুলোর সাথে অ্যালবেনডাজল এর মিথস্ক্রিয়া রয়েছে? — রক্ত জমাট রোধক, খিচুনি রোধক, ক্যান্সার প্রতিরোধক, মুখে খাওয়ার জন্মনিয়ন্ত্রক ঔষধ, মুখে খাওয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক ঔষধ।
অ্যালবেনডাজল শরীরের কোন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে? — সাইটোক্রোম পি-৪৫০ সিস্টেম।
এন্টাসিড ট্যাবলেট বা সাসপেনশন নিচের কোন মিশ্রণ দ্বারা তৈরি করা হয়? — অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড+ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড।
এন্টাসিড ঔষধ কোন লক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়? — এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক আলসার।
এন্টাসিড ঔষধ সাধারণত কখন খেতে হয়? — খাবার ১ ঘন্টা পর।
এসকরবিক এসিড ট্যাবলেট এর সঠিক মিশ্রণ কোনটি? — এসকরবিক এসিড ১০০ এমজি + সোডিয়াম এসকরবেট ১৬৮.৭৫ এমজি।
এসকরবিক এসিড কি?/এসকরবিক এসিড এর অপর নাম কি? — ভিটামিন সি।
এসকরবিক এসিড সাধারণত কি হিসেবে সেবন করা যায়? — অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
কোন রোগে ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়? — ডায়াবেটিস।
কোনটি দাঁতের মাড়ির প্রদাহে সুরক্ষা প্রদান করে? — ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড।
কোনটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহার করা হয়? — ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড।
কোনটি কোলাজেন তৈরি করা ও বজায় রাখতে সাহায্য করে? — ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড।
স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়? — ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড।
স্কার্ভি রোগে ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড এর সেবনবিধি কোনটি? — ৪টি ট্যাবলেট দিনে ২/৩ বার।
ক্ষত শুকানোর জন্য ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিডের সেবনবিধি কোনটি? — ২-৪টি ট্যাবলেট প্রতিদিন ২/৩ বার।
কোন সমস্যার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি ট্যাবলেট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে? — হাইপার অক্সালুরিয়া।
হাইপার অক্সালুরিয়া মূলত কোন অঙ্গের সমস্যা? — কিডনি।
দিনে কত গ্রামের বেশি ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড সেবন করলে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে? — ৬ গ্রামের বেশি।
এসকরবিক এসিড বা ভিটামিন সি এর নিরাপদ সেবন মাত্রা কত? — ৪ গ্রামের কম।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর মূল উপাদান কি? — ক্যালসিয়াম ও কোলিক্যালসিফেরল।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর সাথে কোনটি গ্রহন করলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে? — থায়াজাইড শ্রেনীভুক্ত ডাইইউরেটিক।
ক্যালসিয়ামের লবণ নিচের কোন ওষুধের শোষনকে বাড়িয়ে দেয়? — টেট্রোসাইক্লিন এবং ফ্লুরাইড।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কিছু কিছু সময় কোথায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? — পরিপাকতন্ত্রে।
ক্লোরোমফেনিকল কেন ব্যবহার করা হয়? — ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য।
ক্লোরোমফেনিকল কোনটির বিরুদ্ধে কাজ করে? — গ্রাম পজিটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ উভয় ব্যাকটেরিয়া।
ক্লোরোমফেনিকল ব্যাকটেরিয়া কোষের কোন উপাদানের সাথে যুক্ত হয়? — রাইবোজোম।
চোখের কোন রোগের জীবাণু ক্লোরোমফেনিকল এর প্রতি সংবেদনশীল? — কনজাংটিভাইটিস।
ক্লোরোমফেনিকল ব্যবহারে কোনটির ঝুকি থাকে? — Aplastic anemia
নিচের কোনগুলোর সাথে ক্লোরোমফেনিকল একত্রে ব্যবহার করা যাবে না? — Penicillin, Cephalosporins, Tetracycline, Gentamicin, Vancomycin
কোনটির বিনা ব্যবস্থাপত্রে বিক্রয় করা যায়? — ক্লোরোমফেনিকল।
কোনটি গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়? — ক্লোরামফেনিকল।
ক্লোরামফেনিকল এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কোনটি? — Hypersensitivity
ক্লোরামফেনিকল কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে? — ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
গ্লিসারিন সাপোজিটরি কেন ব্যবহার করা হয়? — কোষ্ঠকাঠিন্য।
মেট্রোনিডাজল কোন শ্রেণীর পরজীবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? — প্রোটোজোয়া।
কোন রোগগুলোতে মেট্রোনিডাজল ব্যবহার করা হয়?
— রেচন ও প্রজনন তন্ত্রের ট্রাইকোমোনিয়াসিস,
— অন্ত্র কিংবা অন্ত্রের বাহিরের অ্যামিবিয়াসিস,
— জিয়ারডিয়াসিস,
— এনারোবিক ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ,
— কারণ চিহ্নিত করা যায়নি এমন আলসার যেখানে বায়ু চলাচল নেই,
— ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজাইনালিস,
— এন্টামিবা হিসটোলাইটিকা।
মেট্রোনিডাজল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তে কোনটির পরিমাণ কমে যায়? — শ্বেত রক্তকণিকা।
কোন মেডিসিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহারে Peripheral Neuropathy (স্নায়ুরোগ) হতে পারে? — মেট্রোনিডাজল।
কোন দুটি মেডিসিন একত্রে সেবন করলে অতিরিক্ত বমি হতে পারে? — মেট্রোনিডাজল ও অ্যালকোহল।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সিরাপে কি থাকে? — সব ধরনের ভিটামিন বি (পাঁচ ধরনের)।
কোন কোন ক্ষেত্রে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ব্যবহার করা হয়? — গ্লসাইটিস (জিহ্বায় প্রদাহ), স্টোমাটাইটিস (মুখের অভ্যন্তরে প্রদাহ), চিলোসিস, বেরিবেরি বা পলিনিউরাইটিস জাতীয় সমস্যা যেগুলো ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অ্যাপাথি বা অ্যানোরেক্সিয়া (ক্ষুধামন্দা) জাতীয় সমস্যাতে ও ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া গর্ভাবস্থা ও শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর সময়, জটিল ও কঠিন রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য, রোগীকে যখন নিয়ন্ত্রিত খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে হয় তখন।
পাইরিডক্সিন কোনটির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — Levodopa
প্যারাসিটামল কোন ধরনের ঔষধ? — ব্যাথানাশক।
একজন পূর্ণবয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে দিনে প্যারাসিটামল এর সর্বোচ্চ ডোজ কত? — ৪০০০মিলিগ্রাম বা ৪ গ্রাম।
প্যারাসিটামল এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কি কি? — রক্তে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া, নিউট্রোপেনিয়া, প্যানসাইটোপেনিয়া এবং এগ্রানুলোসাইটোসিস হবার মতো তথ্য জানা আছে।
রেনিটিডিন কোন রিসেপ্টরকে অকার্যকর করে দেয়? — H2
কোন ঔষধ টি বর্তমানে বাজারে নিষিদ্ধ? — রেনিটিডিন।
কোন ঔষধটি মাংসপেশি শিথিল করতে ব্যবহিত হয়? — Sulbutamol
Sulbutamol মাস্টসেল এর উপর কি হিসেবে কাজ করে? — এন্টিএলার্জিক (Antiallergic)
Sulbutamol কোনটি নিঃসরণে সহায়তা করে? — হিস্টামিন (Histamine)
সময়ের আগে প্রসব বেদনা শুরু হলে কোনটি ব্যবহার করা হয়? — Sulbutamol
কোনটির উপস্থিতিতে Sulbutamol ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে? — হাইপারটেনশন (Hypertension)
কোনটির ব্যবহারে মাংসপেশির দুর্বলতা জনিত কারণ সৃষ্টি হতে পারে? — Sulbutamol
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা জনিত ক্ষেত্রে নিচের কোনটি ব্যবহার করা যাবে না? — Sulbutamol
Sulbutamol এর সাথে অন্যান্য Sympathominetic ওষুধের ব্যবহারে কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? — হৃদযন্ত্র।
Antidepressant ঔষধ ব্যবহারকারী রোগীদের ক্ষেত্রে কোনটি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে? — Sulbutamol
বেটা রিসেপ্টরের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন ঔষধের সাথে কোনটি ব্যবহার করা যাবে না? — Sulbutamol
Sulbutamol কোনটির পরিমাণ কমিয়ে দেয়? — সিরাম পটাশিয়াম।
পোড়া ত্বকের ক্ষতের সংক্রমণ সারানোর জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়? — সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম।
পোড়া ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতে কোনটি ব্যবহার করা হয়? — সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম।
পোড়া ত্বকে সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম ২৪ ঘণ্টায় কতবার ব্যবহার করা যায়? — ২৪ ঘণ্টায় ১ বার।
সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম কতটুকু পুরু করে ক্ষত স্থানে লাগাতে হয়? — ৩-৫ মি.মি।
যাদের গ্লুকোজ ৬ ফসফাটেজ ডিহাইড্রোজিনেজ এনজাইমে ঘাটতি আছে তাদের ক্ষেত্রে কোনটি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে? — সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম।
সালফোনামাইড এ অতিরিক্ত সংবেদনশীলোটা থাকলে নিচের কোনটি ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে? — সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম।
নিচের কোনটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে রক্তে সালফোনামাইড এর ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে? — সিলভার সালফাডিয়াজিন ক্রিম।
বিশেষ করে নিম্নের ওষুধ গুলো সেবন করে থাকলে রেনিটিডিন ব্যবহার করলে তাদের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে
— কিটোকোনাজল (ছত্রাকবিরোধী ওষুধ)
— জেফিটনিব (একটি ক্যান্সার নিরোধী ওষুধ)
— এটাজানাভির, ডেলাভিরিডাইন (এইচআইভি-র চিকিৎসায় ব্যবহার্য ওষুধ)
— ট্রায়াজোলাম, মিডাজোলাম (নিদ্রা আনয়নকারী ওষুধ)
— গ্লিপিজাইড (ডায়াবেটিসের ওষুধ)
— লিডোকেইন (অবশ করার জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যবহার করা হয়)
— থিয়োফাইলিন (হাপানী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়)
— ফেনাইটইন (মৃগী বা এপিলেপসি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়)
— প্রোপানল (উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়)
— এন্টাসিডস (যে ওষুধ পাকস্থলীর এসিডকে প্রশমিত করে এবং কমায়)
— প্রোকেইনামাইড (অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের জন্য)
— ওয়ারফেরিন (রক্ত জমাট বাধা প্রতিহত করে)
— এসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন (ব্যথানাশক – NSAID)
— ডায়াজিপাম (দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ)