মডিউল-১/সেশন-২
ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস এবং মডেল মেডিসিন শপে গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসী টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য
ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস গ্রহণ করা হয় কত সালে? — অক্টোবর ২৭, ১৯৯৪ সালে।
কারা ব্যক্তি / রোগীকে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে সাহায্য করেন? — ফার্মাসিস্টগণ।
ফার্মাসিস্ট হচ্ছেন — স্বাস্থ্য পেশাজীবী।
কোড অব ইথিকস অনুসারে ফার্মাসিস্টদের মূলনীতি সমূহ কতটি? — ৮ টি।
কোড অব ইথিকস অনুসারে ফার্মাসিস্টদের মূলনীতি সমূহ হচ্ছে —
— একজন ফার্মাসিস্ট, তার ও রোগীর মধ্যকার অর্জিত সম্পর্ককে সম্মান করবেন।
— একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর প্রতি যত্নবান, দয়াশীল, বিশ্বস্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
— একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে সম্মান করবেন।
— পেশাজীবী হিসাবে একজন ফার্মাসিস্ট সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কাজ করবেন।
— একজন ফার্মাসিস্ট তার জ্ঞান ও পেশাজীবী দক্ষতা বজায় রাখবেন।
— একজন ফার্মাসিস্ট তার সহকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মূল্যবোধ ও সক্ষমতাকে শ্রদ্ধা করবেন।
— একজন ফার্মাসিস্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সামাজিক প্রয়োজনে সেবা প্রদান করবেন।
— একজন ফার্মাসিস্ট স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত পণ্য/উপকরণ/সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করবেন।
ফার্মাসিস্টদের প্রথম বাধ্যবাধকতা কার প্রতি? — রোগীর।
ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের দায়িত্ব ও কর্তব্য কতটি? — ১১টি।
সি-গ্রেড ফার্মাসিস্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কতটি? — ১১টি।
GDP কি? — গুড ডিসপেন্সিং প্রাকটিস।
ফার্মেসি টেকনিশিয়ান/ সি-গ্রেড ফার্মাসিস্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো হচ্ছে —
— সরকার অনুমদিত স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মডেল শপ পরিচালনা করা।
— গুড ডিসপেন্সিং প্রাকটিস অনুসরণ করে মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ বিক্রয় করা।
— মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ ডিসপেন্সিং এর সময়ে কাউন্সিলিং করা।
— মডেল মেডিসিন শপে ওষুধের মজুদ ব্যবস্থাপনা করা।
— ক্রেতাকে ওষুধ দেয়ার সময় নিয়ম মেনে লেবেলিং করা।
— ঔষধ প্রশাসনের ফার্মাকভিজিল্যান্স কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা।
— ঔষধ প্রশাসনের নোটিসে প্রদত্ত নির্দেশনা মেনে চলা এবং তা সংরক্ষণ করা।
— ঔষধ প্রশাসন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ করলে তা বিক্রয় না করা।
— ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবস্থাপনা করা।
— অননুমোদিত, নকল, ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় না করা
— মডেল ফার্মেসিতে এ গ্রেড ফার্মাসিস্ট-এর সহকারী হিসাবে কাজ করা।
একজন ফার্মাসিস্ট তাঁর পেশার সম্মান মর্যাদা সর্বদা — সমুন্নত রাখবেন।
ফার্মাসিস্ট তাঁর রগীর ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ — গোপনীয়তা রক্ষা করবেন।
ফার্মাসিস্ট এর নৈতিক নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি? — ব্যবস্থাপনা প্রদান।
অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ওষুধ ক্রয়ের ব্যাপারে ফার্মাসিস্ট কোন ভূমিকা পালন করবেন? — পেশাদারী।
ওষুধের গুনগত মান নিয়ন্ত্রণ করা কার দায়িত্ব? — ফার্মাসিস্টের।
কোন ধরণের ওষুধ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টকে অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে? — যেসব ওষুধের অপব্যবহার হতে পারে।
কোন কাজটি ফার্মাসিস্ট এর নৈতিকতা বিরোধী? — পেশাগত দায়ত্ব পালনে অবহেলা।
নিচের কোন কাজটি ফার্মাসিস্ট এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
— রোগী ও জনগনের উপকার করা।
— সহকর্মীকে সহযোগীতা করা।
— পেশাজীবীদের সাথে সমন্বয় করা।
রোগী ও তার পরিবারের তথ্য সম্পর্কিত কোনটি সঠিক? — গোপনীয়তা বজায় রাখা।
আইন কিসের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়? — নীতি।
ইথিকস বা নৈতিক নীতিমালা কি?
— সামাজিক নিয়মনীতি
— মানবিক নিয়মনীতি
— দর্শন সম্পর্কিত নিয়মনীতি
আইন কে নিয়ন্ত্রণ করে? — রাষ্ট্র।
একজন ফার্মাসিস্টের মূল লক্ষ্য কি? — রোগী ও জনগনের সেবা নিশ্চিত করা।
একজন ফার্মাসিস্ট তাঁর পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রহণযোগ্য নীতিমালা সম্পর্কে — অবহিত থাকবেন এবং মেনে চলবেন।
কোন কোন শর্তে ফার্মাসিস্টদের প্রবর্ধন মূলক সেবার প্রচার অনুমোদিত?
— পেশার দুর্নাম বয়ে আনবে না।
— ফার্মাসিস্টদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে না।
ওষুধ বিতরণের সময় কোন কাজটি নৈতিকতা বহির্ভূত?
— অতিরিক্ত ওষুধ নিতে প্ররোচিত করা।
— চিকিৎসকের নির্দেশমতো ওষুধ না দেওয়া।
— নির্দেশনার বাইরে রোগীকে ওষুধ নিতে প্ররোচিত করা।
অন্যকে বিভ্রান্ত করার জন্য ফার্মাসিস্ট কোনটি ব্যবহার করতে পারবে না?
— নাম
— পদবী
— যোগ্যতা
পেশাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমান বজায় রাখার জন্য ফার্মাসিস্টের জন্য কোনটি জরুরি? — ফার্মেসি বিদ্যার সমকালীণ অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান।
পরিবেশ সংরক্ষণে নিচের কোনটি ফার্মাসিস্ট এর দায়িত্ব নয়? — খোলা জায়গায় ঔষধ বিক্রি করা।
সমাজ সেবা প্রদানের ব্যাপারে ফার্মাসিস্টকে কোনটি লক্ষ রাখতে হবে?
— পর্যাপ্ত সেবা প্রদান।
— দক্ষ সেবা প্রদান করা।
কখন ফার্মাসিস্ট চিকিৎসকের দেওয়া নির্দেশ থেকে বিচ্যুত হয়ে ওষুধ দিতে পারবেন? — কখনও নয়।