মডিউল-১/সেশন-১
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা
রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ___ বাড়ানো। — উৎপাদনশীল জনশক্তি বাড়ানো।
নাগরিক জীবনের মৌলিক চাহিদা গুলো কি কি? — অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
রাষ্ট্রের প্রাথমিক দায়িত্ব কি? — পুষ্টির অবস্থা/মাত্রা উন্নীত করা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানো।
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ এর মূল লক্ষ কি? — অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সহজলভ্যতা এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কয়টি বিভাগে বিভক্ত? — দুইটি বিভাগে বিভক্ত।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভাগ দুইটির নাম কি? — (১) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (২) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়নকারী প্রধান অধিদপ্তর সমূহের মধ্যে রয়েছে? — স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (DGHS) এবং পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর (DGFP)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি অধিদপ্তরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কে? — মহাপরিচালক (DG)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য দপ্তর/অধিদপ্তরগুলো হচ্ছে—–
— ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA)
— নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর (DGNM)
— হেলথ ইকোনোমিক ইউনিট (HEU)
— জাতীয় জনসংখা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (NIPORT)
— স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ (HED)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত দপ্তরগুলো হচ্ছে।
— পরিবহন ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা (TEMO)
— জাতীয় তড়িৎ প্রকৌশল চিকিৎসা যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ওয়ার্কশপ (NEMEMW & TC)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান কয়টি? — ৬ টি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ কি কি?/ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত পেশাজীবী নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ কি কি?
— বিএমডিসি – বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল।
— পিসিবি – ফার্মেসী কাউন্সিল অব বাংলাদেশ।
— এসএমএফ – স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি
— বিএনএমসি – বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল।
— বিএইচবি – বোর্ড অব হোমিওপ্যাথি, বাংলাদেশ।
— বিইউ অ্যান্ড এবি – বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদ বাংলাদেশ।
বিএমডিসির কাজ কি? — ডাক্তার, ডেন্টিস্ট ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের নিবন্ধনের কাজটি করে থাকে।
ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের গ্রেড বি শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা নেওয়া এবং রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে কে? — বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল।
বোর্ড অব হোমিওপ্যাথি এবং বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদ কোন সালের আইনের আওতায় কাজ করছে? — ১৯৮২ সালের।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পেশাজীবী সংগঠনসমূহ হচ্ছে—–
— বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)
— ফার্মেসী গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশন (পিজিএ)
— বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি (বিপিএস)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের সেবাকেন্দ্র হচ্ছে — ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক।
ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে প্রায় কয় জনকে সেবা দেয়? — ৬০০০ হাজার জনকে।
ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে প্রায় কয় জনকে সেবা দেয়? — ৩০,০০০ হাজার জনকে।
২০৫০ সাল নাগাদ নগর জনসংখ্যা কত % পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে? — ৫৬%।
নগরাঞ্চলের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক স্বাস্থ্যসেবা সাধারনত কয় ধরণের সেবাদানকারীর মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে? — ৩ ধরণের।
নগরাঞ্চলের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক সেবাদানকারী সংস্থাগুলো হচ্ছে?
— সরকারি
— বেসরকারি (দাতা সংস্থার সহায়তাপুষ্ট)
— এবং প্রাইভেট স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী
কত বছরের নিচে শিশুদের কৃমিনাশক দেওয়া হয়? — ১০ বছরের নিচে।
এমডিজি মানে কি? — মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস।
বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ/মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস শেষ করেছে? — ২০১৫ সালে।
আমরা এখন ২০১৫ – পরবর্তী ২০৩০ এর মধ্যে কী বাস্তবায়ন করছি? — টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা / সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা / সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস / এসডিজির লক্ষ্যটি হচ্ছে? — সব বয়সের সকলের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা ও সুস্থতা/স্বাস্থ্যকে উন্নীত করা।
বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর / ফার্মেসী সেক্টরে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নাম কি? — ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোন মন্ত্রনালয়ের অধিনে? — স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধিনে কয়টি জেলা অফিস রয়েছে? — ৫৫ টি।
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কি? — স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধিনে একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা।
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এর কাজ কি? — গ্রেট এ, গ্রেট বি এবং গ্রেট সি ফার্মাসিস্টদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া।
ফার্মেসী শিক্ষা ও পেশার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নাম কি? — বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল।
বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে? — সমগ্র বাংলাদেশে ফার্মেসী প্র্যাকটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আমাদের দেশে ঔষধের স্থানীয় উৎপাদন কত %? — ৯৫-৯৮%।
আমাদের দেশে ঔষধের আমদানি কত %? — ২-৫%।
মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি? — ৫ টি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভাগ কয়টি? — ২ টি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়টি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে? — ৬ টি।
ফার্মাসিস্টদের শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করে কোন প্রতিষ্ঠান? — বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল।
ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের কাজটি নিয়ন্ত্রণ করে? — বিএমডিসি।
ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দেয় কোন প্রতিষ্ঠান? — কমিউনিটি ক্লিনিক।
২০৫০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কত শতাংশ? — ৫৬%।
এসডিজির লক্ষ কয়টি? — ১৭ টি।
বাংলাদেশের ঔষধ নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তর কোনটি? — ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কয়টি জেলা অফিস রয়েছে? — ৫৫ টি।
ফার্মেসী শিক্ষা ও পেশার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নিচের কোনটি? — ফার্মেসী কাউন্সিল।
বাংলাদেশে শতকরা কত শতাংশ ওষুধ আমদানী করা হয়? — ২-৫%।
বাংলাদেশে শতকরা কত শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়? — ৯৫-৯৮ ভাগ।
অধিদপ্তরের প্রধান কে? — মহাপরিচালক।
নার্সিং শিক্ষা এবং সেবা নিয়ন্ত্রণ করে কে? — বিএনসি।
হোমিওপ্যাথী শিক্ষা এবং সেবা নিয়ন্ত্রণ করে কে? — বিএইচবি।
ইউনানী শিক্ষা এবং সেবা নিয়ন্ত্রণ করে কে? — বিইউ এন্ড বি।
নিচের কোনটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়? — পরিবহন ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা (TEMO)
ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দেয় কোন প্রতিষ্ঠান? — স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
নিচের কোনটি সংক্রামক রোগ নয়? — ক্যান্সার।
নিচের কোনটি অসংক্রামক রোগ নয়? — করোনা।
টারশিয়ারী পর্যায়ে সেবা দেয় কোন প্রতিষ্ঠান? — মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সকল ধরণের ঔষধ সামগ্রী ক্রয় করে কোন প্রতিষ্ঠান? — সিএমএসডি।
স্বাস্থ্যের সাথে এসডিজির লক্ষ কোনটি? — সব বয়সের সকলের সুস্থ্য জীবন নিশ্চিত করা ও সুস্থতা/স্বাস্থ্যকে উন্নীত করা।
বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির মূল লিক্ষ্য কি? — অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সহজলভ্যতা ও মূল্যনিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাজ নয় কোনটি? — রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা।