মডিউল-৬/সেশন-৩
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ
কোন রোগগুলো কোন এলাকায় দেখা দিলে তা দ্রুত মহামারী আকারে দেখা দিতে পারে? — হাম, জলবসন্ত, ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি।
নিচের কোনগুলো ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ? — হাম, জলবসন্ত, ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি।
ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৩ ভাগে।
পানিবাহিত রোগগুলো কি কি? — ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, জন্ডিস (বা হেপাটাইটিস এ), টাইফয়েড ইত্যাদি।
কত বছরের কম বয়সী শিশুরা ডায়রিয়া রোগে বেশি মারা যায়? — ৫ বছরের।
দিনে কতবার পাতলা পায়খানা হলে ডায়রিয়া হয়েছে বলে মনে করতে হবে? — ৩ বার।
ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া হলে রোগীর শরীর থেকে কি বেরিয়ে যায়? — পানি ও কয়েক রকম লবণ।
ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলো কি কি?
— ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়;
— বারবার বমি হয়;
— খুব পিপাসা লাগে, মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যায়;
— চোখ বসে যায়;
— শিশুর মাথার চাঁদি বা তালু বসে যায়;
— আস্তে আস্তে রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
ভাইরাস জনিত ডায়্রিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কি করতে হবে?
ক) খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি রোগীকে তার উপযোগী স্বাভাবিক খাবার, বিশেষ করে তরল খাবার, যেমন ভাতের মাড়, জাউ, স্যুপ, ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
খ) শিশুকে বারবার মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
গ) পাতলা পায়খানা বা বমি না কমলে, পানিস্বল্পতা না কমলে বা রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
Vibrio cholerae নামক জীবাণুর মাধ্যমে কোন রোগ হয়? — কলেরা।
দূষিত পানি ও নোংরা-পচা-বাসি খাদ্যের মাধ্যমে কোন রোগের জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে? — আমাশয়।
আমাশয় রোগের লক্ষণগুলো কি কি?
ক) সামান্য জ্বরের সাথে ঘন ঘন মলত্যাগ, আম (mucus) মিশ্রিত থাকে;
খ) তলপেটে ব্যথা হয়;
গ) অনেক সময় শ্লেষ্মামিশ্রিত মলের সাথে রক্ত যায়।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে বা অন্য কোন কারণে যকৃত বা লিভার কোষ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রক্তে পিত্তরসের পরিমাণ বিশেষত বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কোন রোগ হয়? — জন্ডিস।
জন্ডিসের লক্ষণ গুলো কি কি?
ক) বমি বমি ভাব, শরীরে সামান্য জ্বর থাকতে পারে ও পরে আবার নাও থাকতে পারে।
খ) খাওয়ার অরুচি, খাবারের গন্ধে বমি আসা।
গ) প্রস্রাবের রঙ হলুদ হওয়া, পাতলা পায়খানা হওয়া এবং মলের রঙ সাদাটে হওয়া।
ঘ) মাথাব্যথা ও শীতশীত অনুভূত হওয়া।
ঙ) পেটের ডানদিকে যেখানে যকৃত থাকে সেখানে ব্যথা হওয়া।
চ) কয়েকদিন পর চোখের সাদা অংশ হলুদ রঙ ধারণ করা। পরে সারা শরীর ও নখ হলুদ দেখায়।
জন্ডিসের প্রতিকার ও প্রতিরোধ কি কি?
ক) সম্পূর্ণ বিশ্রাম এই রোগের সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা;
খ) কম মশলা দিয়ে তরকারি রান্না করতে হবে;
গ) ডায়াবেটিস না থাকলে চিনির শরবত ও মিষ্টিজাতীয় জিনিস বেশি করে খেতে হবে;
ঘ) ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অতি জরুরি;
ঙ) জন্ডিসের টিকা নিয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
গ্রামের চেয়ে শহরে কোন রোগ বেশি হয়? — টাইফয়েড।
টাইফয়েড রোগের লক্ষণগুলো কি কি?
ক) জ্বর হয়, জ্বর কখনো সম্পূর্ণ ছাড়ে না, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে;
খ) জ্বরের সাথে মাথাব্যথা ও ঘাম হয়;
গ) প্রথমদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, কয়েকদিন পর পেট ফাঁপা ও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে।
বায়ুবাহিত রোগ কোনগুলো? — সর্দি, কাশি, যক্ষা, জলবসন্ত, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি।
প্রানীবাহিত রোগ কোনগুলো? — ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, চিকুনগুনিয়া, গোদরোগ ইত্যাদি।
কোন রোগগুলো সরাসরি সংক্রামক নয় তবে কীট পতঙ্গের দংশনের ফলে ছড়িয়ে যায় বলে পরোক্ষভাবে সংক্রামক বলে? — ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, চিকুনগুনিয়া, গোদরোগ ইত্যাদি।
স্ত্রী এনোফিলিস মশা কোন রোগের জীবাণু বহন করে? — ম্যালেরিয়া।
এডিস মশা কোন রোগের জীবাণু বহন করে? — ডেঙ্গুজ্বর এবং চিকুনগুনিয়ার।
কিউলেক্স মশার কামড়ে কোন রোগ হয়? — গোদরোগ।