মডিউল-৪/সেশন-৯
গ্রাহক মূল্যায়ন
যখন কোন রোগী বা গ্রাহক মডেল মেডিসিন শপে আসেন তখন ফার্মাসিস্ট/ডিসপেন্সার কী মূল্যায়ন করেন? — কি ধরনের ওষুধ আগে ব্যবহার করেছেন তার ইতিহাস। সামাজিক বিষয় এবং রোগের ক্ষেত্রে তার বিশ্বাস সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন।
রোগী মূল্যায়নের জন্য কোন তথ্যগুলো প্রয়োজন হতে পারে?
— রোগী বা গ্রাহকের নিজের ভাষায় তার স্বাস্থ্য সমস্যা ও উপসর্গসমূহ,
— নিকট অতীতের ইতিহাস বা কখন থেকে এই সকল সমস্যার সূত্রপাত,
— পূর্বের চিকিৎসার ইতিহাস,
— ওষুধ সেবনের পূর্ব ইতিহাস, তার সাফল্য ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সমূহ।
রোগী মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং দক্ষতা সমূহ কি কি?
— সক্রিয় শ্রবণ,
— সহমর্মিতা,
— কোন পূর্ব বহাল না রাখা,
— বোধগম্য ভাষায় ব্যবহার।
গ্রাহক মূল্যায়নের ধাপ কয়টি? — ৪ টি।
গ্রাহক মূল্যায়নের ধাপ সমূহ কি কি?
প্রথম ধাপ – সম্ভাষণ,
দ্বিতীয় ধাপ – জিজ্ঞাসা,
তৃতীয় ধাপ – মূল্যায়ন,
চতুর্থ ধাপ – করণীয়।
‘রোগী ও গ্রাহককে সম্মান ও সৌজন্য সহকারে গ্রহণ করুন’ এটি গ্রাহক মূল্যায়নের কত তম ধাপ? — প্রথম ধাপ।
রোগী বা গ্রাহকের শারীরিক অবস্থা এবং পূর্ব ইতিহাস জিজ্ঞাসা করা হয় বা জানতে চাওয়া হয় কোন ধাপে? — দ্বিতীয় ধাপে।
রোগীর সাথে সুসম্পর্ক ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখার জন্য কি করতে হবে? — রোগীর সকল তথ্য গোপন রাখতে হবে।
সংগৃহীত তথ্যগুলো মূল্যায়ন করে রোগী বা গ্রাহকের জন্য কি করণীয় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় গ্রাহক মূল্যায়নের কত তম ধাপে? — তৃতীয় ধাপে।
রোগী বা গ্রাহককে তার অবস্থা এবং করণীয় ব্যাখ্যা করা হয় গ্রাহক মূল্যায়নের কত তম ধাপে? — চতুর্থ ধাপে।
কোন বিষয় গুলো রোগী/গ্রাহক মূল্যায়নে ভূমিকা রাখে?
— স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্বাস এবং চর্চা,
— পারিবারিক সম্পর্ক,
— রোগী/গ্রাহকের সাথে কার্যকরী যোগাযোগ।
রোগী/গ্রাহক মূল্যায়নের প্রথম ধাপ — রোগী/গ্রাহককে সৌজন্য ও সম্মানের সাথে অভ্যর্থনা জানান।
রোগী/গ্রাহক মূল্যায়নের দ্বিতীয় ধাপ-
রোগীর রোগের ইতিহাস এবং অবস্থা সম্পর্কে জানুন। রোগী / গ্রাহককে তার উপসর্গ গুলো খুলে বলার সুযোগ দিন এবং আপনি সক্রিয় হয়ে শ্রবণ করুন। নিচের বিষয় গুলো আরো বিস্তারিত জানুন-
— উপসর্গগুলো কতদিন ধরে চলছে,
— এ পর্যন্ত কি কি চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন,
— যা চিকিৎসা এ পর্যন্ত হয়েছে তার ফলাফল সম্পর্কে জানুন।
রোগী/গ্রাহক মূল্যায়নের তৃতীয় ধাপ-
— যে সকল তথ্য সংগৃহীত হয়েছে তার ভিত্তিতে রোগীর সম্পর্কে করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন,
— যদি কোন বিপদচিহ্ন থাকে তবে উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে তাৎক্ষণিক রেফার করুন।
রোগী/গ্রাহক মূল্যায়নের চতুর্থ ধাপ রোগীর অবস্থা ও তার চিকিৎসা ব্যাখ্যা করুন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিন। যদি কোন বিপদচিহ্ন না থাকে তবে –
— রোগীর তথ্য যা পেয়েছেন তা ব্যাখ্যা করুন,
— সামান্য সমস্যার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিন,
— বিপদচিহ্ন থাকলে রোগীকে কেন হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন তার ব্যাখ্যা দিন এবং উপযুক্ত হাসপাতালে পাঠান।