মডিউল-৪/সেশন-১০
ওষুধের ভুল প্রয়োগ এবং যৌক্তিক ও অযোক্তিক ব্যবহার
মেডিকেশন এরর’ বা ওষুধ সম্পর্কিত ভুলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৫ ভাগে।
মেডিকেশন এরর’ বা ওষুধ গ্রহণ সম্পর্কিত ভুলগুলো কি কি?
— ব্যবস্থাপত্রজনিত ভুল (prescribing)
— ওষুধ ডিসপেন্সিং জনিত ভুল (Dispensing Error)
— ভুল মোড়ক (Packaging Error)
— ওষুধের লেবেলজনিত ভুল (Labeling Error)
— ওষুধের প্রয়োগজনিত ভুল (Administering Error)
ব্যবস্থাপত্রজনিত ভুল কখন হতে পারে? — চিকিৎসক যখন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেন।
ব্যবস্থাপত্রে .৫ মিলিগ্রাম না লিখে কি লিখতে হবে? — ০.৫ মিলিগ্রাম।
ব্যবস্থাপত্রে ৫.০ মিলিগ্রাম না লিখে কি লিখতে হবে? — ৫ মিলিগ্রাম।
ওষুধ ডিসপেন্সিং জনিত ভুল কে করে থাকেন? — ফার্মাসিস্ট/ডিসপেন্সার।
ওষুধের ডিসপেন্স জনিত ভুলের মূল কারণগুলো কি কি?
— ওষুধের বানান দেখতে এক রকম হলে,
— ওষুধের নামের উচ্চারণ এক রকম হলে,
— ওষুধের বাহ্যিক আকার ও আকৃতি এক রকম হলে,
— চিকিৎসকের হাতের লেখা পড়তে ভুল করলে,
— রোগীকে ভুল ধরণের ওষুধ ডিসপেন্স করলে,
— ওষুধ ডিসপেন্সের মাত্রা বা পরিমাণ ভুল করলে,
— মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ডিসপেন্স করলে,
— একজন রোগীর ওষুধ অন্যজনকে দিয়ে দিলে।
চিকিৎসকের হাতের লেখা পড়তে ভুল করলে কোন ধরণের ভুল হয়? — ওষুধ ডিসপেন্সিং জনিত ভুল।
ওষুধের প্রয়োগ জনিত ভুল সাধারণত কারা করে থাকেন? — সেবক/সেবিকা বা রোগীরা নিজেরা।
আমাদের হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে কোন ধরণের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি? — ওষুধের প্রয়োগ জনিত ভুল।
কত সালে নাইরোবিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আয়োজনে ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়? — ১৯৮৫ সালে।
আমাদের দেশের যুব সমাজের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো — মাদকাসক্তি।
আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফার্মেসীতে কারা ওষুধ ডিসপেন্সিং ও বন্টনে জড়িত থাকেন? — বি ও সি-গ্রেট ফার্মাসিস্টরা।
১৯৯০ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ১৩ অনুযায়ী মাদক ও নিয়ন্ত্রিত ওষুধ ফার্মাসিস্ট একটি ব্যবস্থা পত্রের অধিনে কত বারের বেশি বিক্রয় করতে পারবে না? — একবারের বেশি।
ফার্মাসিস্টদের অধীনে হাসপাতাল, ক্লিনিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও মডেল মেডিসিন শপে নিরাপদ জায়গায় তালা-চাবি দিয়ে কি রাখতে হবে? — ক্লাস-এ ও ক্লাস-বি মাদক নিয়ন্ত্রিত ওষুধ।
কিসের জন্য চিকিৎসক আলাদা নির্ধারিত ব্যবস্থা পত্র ব্যবহার করেন? — মাদক ওষুধের জন্য।
মাদক ওষুধ ডিসপেন্সিং করার সময় কার নাম, ঠিকানা ও ডিসপেন্সিং এর তারিখ সহ সকল তথ্য প্রদান করতে হবে? — বিক্রয়কারী বা ডিসপেন্সিং ফার্মাসিস্ট।
মাদক ও নিয়ন্ত্রিত ওষুধসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৩ ভাগে।
বাংলাদেশের মাদক ও নিয়ন্ত্রিত ওষুধের উউৎপাদন, বন্টন, আমদানি, রপ্তানি, ডিসপেন্সিং, সরবরাহ, প্রস্তুত, মজুদ, ব্যবস্থাপত্র প্রদান ইত্যাদি কোন আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়? — মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০।
১৯৯০ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সকল মডেল মেডিসিন শপে ক্লাস-এ, ক্লাস-বি ও মানসিক রোগ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ সমূহের ডিসপেন্স সংক্রান্ত সকল তথ্য একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে এবং সেখানে ব্যবস্থাপত্র প্রদানকারীর নাম ও ঠিকানা, রোগীর নাম ও ঠিকানা, ওষুধের নাম ও পরিমাণ ডিসপেন্সিং এর তারিখসহ লিপিবদ্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নিয়মিত পরিদর্শনের পর এই তালিকায় স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন।
যদি ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখিত কোন তথ্য অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে ফার্মাসিস্ট কোন অবস্থাতেই রোগীকে ওষুধ প্রদান করতে পারবে না।
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো শুধু জানার জন্য, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক যাদের মাদক/নিয়ন্ত্রিত ওষুধ বহন, ডিসপেন্স করার অনুমতি নেই তাদের প্র্যাকটিসের জন্য নয়।
যে সকল কারণে ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহার হয়ে থাকে
ওষুধের সরবরাহ পদ্ধতি-
— অপর্যাপ্ত সরবরাহ পদ্ধতি,
— ওষুধ সংরক্ষণের ত্রুটি,
— মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ,
— ভুল ওষুধ সরবরাহ।
চিকিৎসক যিনি রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেবেন-
— চিকিৎসকের ট্রেনিং না থাকা,
— নিম্নমানের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা,
— রোগ ও ওষুধ সম্পর্কে উপযুক্ত ও সঠিক তথ্য না জানা,
— শুধুমাত্র আর্থিক প্রাপ্তিই যার কাছে মূখ্য।
ফার্মাসিস্ট বা ওষুধ ডিসপেন্সার-
— মেডিসিন শপে বেশি রোগী থাকলে ব্যস্ততার কারণে ভুল করা, রোগীকে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়া,
— ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্বল্পতা,
— কর্মরত ফার্মাসিস্টের কাজের কোন তত্ত্বাবধান না থাকলে,
— নিম্নমানের ট্রেনিং থাকলে।
রোগী ও সামাজিক বিশ্বাস-
— রোগীর সাধারণ বিশ্বাস,
— কম সময় ধরে চিকিৎসক বা ফার্মাসিস্ট এর সাথে রোগীর পরামর্শ,
— চিকিৎসকের মনোভাব ও সার্বিক পারদর্শিতা,
— ওষুধ সম্পর্কে ছাপানো তথ্যের অভাব,
— কোন ওষুধের কার্যকারিতা ও প্রয়োগ পথের পদ্ধতি নিয়ে সামাজিক বিশ্বাস।