ওষুধ প্রয়োগের পথ : মডিউল-৪ : সেশন-৩

ওষুধ প্রয়োগের পথ

মডিউল-৪/সেশন-৩

ওষুধ প্রয়োগের পথ

ওষুধের কার্যকারিতা নির্ভর করে কিসের উপর?
— শক্তিমাত্রা/পটেন্সির উপর;
— কোন পথে প্রয়োগ করা হল তার উপর;
— ডোজেস ফর্মের উপর এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের উপর।

সাধারণত কয়টি প্রধান পথে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়? — ০৪টি।

চিকিৎসক/ফার্মাসিস্ট এর নিকট ১ চা-চামচ মানে হলো — ৫ এম এল।

ইনহেলার ব্যবহারের সময় শ্বাস ছেড়ে দেওয়ার আগে কত সেকেন্ড আটকে রাখতে হয়? — ১০ সেকেন্ড।

চুইংগাম জাতীয় ওষুধসমূহ অনেক সময় কত মিনিট পর্যন্ত চিবাতে হয়? — ৩০ মিনিট।

ওষুধ শরীরে যে পথে প্রবেশ করানো হয় সেটি হল ওষুধ প্রয়োগের পথ।

ওষুধ প্রয়োগের ৪টি প্রধান পথ হলো :
— এন্টারাল (মুখে খাওয়ার মাধ্যমে)
— প্যারেন্টারাল রুট (ইনজেকশনের মাধ্যমে)
— টপিক্যাল রুট (সরাসরি চামড়ায়)
— রেসপিরেটরি রুট (শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে)

এটোরভাসটাটিন জাম্বুরা জাতীয় ফলের রস (জুস) দিয়ে খেলে মারাত্মক বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন দুধের সাথে গ্রহণ করলে তা অন্ত্রে পুরোপুরি শোষিত হয় না।

স্কীনের লেয়ার/স্তর কয়টি? — ৫টি।

ইনহেলারটি ব্যবহারের পূর্বে কি করতে হবে? — ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।

ইনহেলারটি ব্যবহারের পূর্বে কত বার ঝাঁকিয়ে নিতে হবে? — ৩ থেকে ৪ বার।

করটিকোস্টেরয়েড জাতীয় মলম দিনে কত বারের বেশি ব্যবহার করা উচিত হয়? — দিনে ২ বারের বেশি।

একই স্থানে ক্রিম/ লোশন লাগানোর কতক্ষন পর আরেকটি ক্রিম/লোশন লাগাতে হবে? — ৩০মিনিট/আধঘণ্টা।

সাপোজিটরি প্রয়োগ করার পর কতক্ষণ পর্যন্ত টয়লেট ব্যবহার করা যাবে না? — ১ ঘণ্টা পর্যন্ত।

দুধ পান করার কত ঘণ্টা পর সিপ্রোফ্লোক্সাসিন সেবন করতে হবে? — ২ ঘণ্টা।

অ্যামোক্সিসিলিন কিসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির।

খাবার গ্রহনের কত ঘণ্টাপূর্বে এম্পিসিলিন সেবন করতে হবে? — ১ ঘণ্টা পূর্বে।

কোন দুটি ওষুধ এক সাথে খেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে? — অ্যাসপিরিন + ওয়ারফেরিন।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিড কিসের শোষণ এবং কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — সিপ্রোফ্লোক্সাসিন এর।

সিপ্রোফ্লোক্সাসিন সেবনের কতক্ষন পর এন্টাসিড সেবন করতে হবে? — ২ ঘণ্টা পর।

মেট্রোনিডাজল দ্বারা চিকিৎসা নেওয়ার সময় কি সেবন করা যাবে না? — এলকোহল।

ডাইসালফিউরাম গ্রহণের সাথে এলকোহল গ্রহণ করলে জীবন নাশের ঝুঁকিপূর্ণ বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে কারণ এটি ইথানলকে যকৃতে ভেঙ্গে ফেলার প্রক্রিয়াটি প্রতিহত করে।

ইনহেলার প্রয়োগের জন্য কতটি ধাপ মেনে চলা উচিত? — ৬টি।

নিচের ওষুধ গুলো সেবনের আগে বা পরে জাম্বুরা জাতীয় ফল বা ফলের রস খাবেন না।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ – ফিলোডিপিন, নিফেডিপিন, নিমোডিপিন, নিকারডিপিন।

রক্তে চর্বি কমানোর ওষুধসমূহ – অ্যাটরভাসট্যাটিন, লোভাস্ট্যাটিন, সিমভাস্ট্যাটিন।

মানসিক চাপ/হতাশা কমানোর ওষুধসমূহ – ডায়াজিপাম, মিডাজোলাম, ট্রায়াজোলাম, কার্বাসাজিপাইন, ক্লোমিপ্রামিন, জ্যালেপলোন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর ওষুধ – সাইক্লোস্পোরিন, ট্যাক্রলিমাস।

ত্বকের সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ০.১ – ০.২ মিলি।

অধঃত্বকে সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ১.০ মিলি।

মাংশপেশীতে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ১-২ মিলি।

মাংশপেশীতে বয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ৩.০ মিলি।

শিরায় ইনজেকশনের ক্ষেত্রে কত মিলি বেশি হলে ইনফিউশন বলে? — ১৫ মিলি।

ব্যাথানাশক ঔষধ সাধারণত খেতে হয়? — খাবার গ্রহনের পড়ে।
নোট : ব্যাথানাশক ঔষধ সাধারণত ভরা পেটে খেতে হয় যাতে করে-পাকস্থলিতে ঔষধজনিত এসিড নিঃসরণ কম হয়।

চোখে পরপর ঔষধ ব্যবহার করলে নূন্যতম কত মিনিটের ব্যবধান করে ব্যবহার করতে হবে? — ৫মিনিট।

চোখের ড্রপ প্রয়োগের পর কতক্ষন চোখের পাতা বন্ধ রাখা উচিত? — ১-২ মিনিট।

এন্টরিক কোটেড ট্যাবলেট শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত শোষিত হয়? — ক্ষুদ্রান্ত।

মানুষের শরীরে সাধারণত কয় পথে ওষুধ প্রবেশ করানো হয়? — ৪টি।

ওষুধের কার্যকারিতা নিম্নের কোনটির উপর নির্ভর করে?
— ওষুধ প্রয়োগের পথ;
— মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ;
— ওষুধের শক্তি মাত্রা ও ডোজেজ ফর্ম।

ওয়েন্টমেন্ট ক্রিম, জেল,মলম,পেস্ট কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — অর্ধ তরল।

সাপোজিটরি জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — রেক্টাল রুট।

চোখের মলম, ফোটা বা ড্রপ জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — কনজাংটাইবাল রুট।

গুড়া ওষুধ বড়ি বা ট্যাবলেট, ক্যাপসুল সিরাপ ইমালশন স্যাচেট ও পিল জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — এন্টারাল রুট।

ডেন্টিপ্রিসেস ইনসাপ্লেশন, ইফারভিসেন্ট কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — সলিড।

ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওষুধের গুড়া, লজেন্স, সাপোজিটরী, স্যাচেট কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — সলিড।

দ্রবন, ইমালশন, সিরাপ, সাসপেনশন, মাউথওয়াশ ও স্প্রে কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — তরল।

দুধের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে কার্যকারিতা কমে যায়? — সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

চুইংগাম জাতীয় ওষুধ সমূহ অনেক সময় কত সময় চিবাতে হয়? — ৩০ মিনিট।

সাপোজিটরি এক ধরনের সেমিসলিড ডোসেজ ফর্ম যা সাধারণত — পায়ুপথে ব্যবহার করা হয়।

কোন ধরনের মলম দিনে দুইবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়? — করটিকোস্টেরয়েড।

ওষুধ প্রয়োগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো — মুখ ও মুখ গহ্বর।

এরোসল বা ইনহেলার জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — ইন্ট্রা-রেসপিরেটরী।

লজেন্স জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — সাবলিঙ্গুয়াল।

প্যাচ জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — ট্রান্সডারমাল রুট।

এরোসল ও ইনহেলার কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — গ্যাস।

কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নেওয়া উচিত? — তরল।

নিচের কোনটি জীবাণু মুক্ত ওষুধ? — চোখের ড্রপ।

ইনহেলার মুখ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর শ্বাস কতক্ষন আটকে রাখতে হয়? — ১০ সেকেন্ড।

সাপোজিটরি ব্যবহারের পর কতক্ষণ পর্যন্ত টয়লেট ব্যবহার করা যাবে না? — ৬০ মিনিট।

যে ওষুধের কৌটা থেকে উচ্চচাপে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ বের করা হয়, তা হলো — এ্যারোসল ও ইনহেলার।

শ্বসনতন্ত্রে প্রয়োগ করা হয় — ইনহেলার।

জাম্বুরা জাতীয় ফলের রসের সাথে কোন জাতীয় ফলের রস খেলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে? — এটোরভাসটাটিন।

এক চা-চামচ বলতে কত মিলি লিটার ওষুধ বুঝায়? — ৫ মি.লি.।

একই স্থানে একাধিক ক্রিম বা লোশন লাগানোর ক্ষেত্রে কত মিনিট পর পর লাগানো উচিত? — ৩০মিনিট।

কোন ধরনের ওষুধ ত্বকের মাধ্যমে দেওয়া হয়? — ইনজেকশন।

পেসারিজ কি ধরনের ডোসেজ ফর্ম? — সলিড।

কোন ধরনের ওষুধ ত্বকের নিচে ইমপ্লান্ট করা হয়? — প্যাচ।

ওষুধের মিথস্ক্রিয়ার ফলে নিচের কোনটি হতে পারে?
— চিকিৎসার সার্বিক কার্যকারিতা কমে যেতে পারে;
— রোগের অবস্থা জটিলতর হতে পারে এমন কি মৃত্যু হতে পারে;
— বিরুপ প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে।

নিচের কোনটি মুখে সেবন করলে যে কোন ওষুধের শোষণ বাধা পায়? — চারকোল।

ওয়ারফেরিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে না? — অ্যাসপিরিন ও ফেনোবারভিটল।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিডের মিথস্ক্রিয়া প্রতিরোধের জন্য দুইটি ওষুধ কতক্ষন পর পর সেবন করতে হবে? — ২ ঘণ্টা।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিডের সাথে নিচের কোনটি সেবন করলে ওষুধটির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

মেট্রোনিডাজল ওষুধের সাথে নিচের কোনটি সেবন করলে রোগীর অনেক বমি হতে পারে? — অ্যালকোহল।

নিচের কোনটি সাব-লিঙ্গুয়াল ট্যাবলেটের উদাহরণ? — নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট।

জিলাটিন কোন ধরনের ওষুধে ব্যবহার করা হয়? — ক্যাপসুল।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিডের সাথে নিচের কোনটি সেবন করলে ওষুধটির কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়? — ওমিপ্রাজল।

টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ সমূহ নিচের কোন ধরনের ওষুধের শোষণকে প্রভাবিত করে? — এন্টাসিড ও আয়রণ, ক্যালসিয়াম বা জিংক সমৃদ্ধ ওষুধ।

এসপিরিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে ওষুধটির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায়? — ওয়ারফেরিন।

কোন কিছুর উপস্থিতির কারণে যখন কোন ওষুধের কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন তাকে কি বলে? — মিথস্ক্রিয়া/মিশ্রক্রিয়া।

অ্যামোক্সিসিলিন জাতীয় ওষুধের সাথে নিচের কোন ওষুধের মিথস্ক্রিয়া হতে পারে? — জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি।

কোন মাধ্যমে প্রয়োগকৃত ওষুধ সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা সম্পন্ন এবং জীবাণুমুক্ত? — শিরা ও ধমনী পথ।

এসপিরিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে ওষুধটির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায়? — ওয়ারফেরিন।

পাকস্থলীর পরিপাক ক্রিয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ করতে কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে হয়? — এন্টেরিক কোটেড ট্যাবলেট।

ইরাইথ্রোমাইসিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে ওষুধটির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায়? — ওয়ারফেরিন।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে পাকস্থলীর রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়? — ব্যাথানাশক (NSAIDS)

এম্পিসিলিন ওষুধ কখন সেবন করতে হয়? — খাওয়ার ১ ঘণ্টা পূর্বে।

দুধ নিচের কোন ধরনের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

জাম্বুরা জাতীয় ফলের রসের সাথে নিচের কোন ধরনের ওষুধের মিথস্ক্রিয়া দেখা দিতে পারে?
— মানসিক চাপ বা হতাশা কমানোর ওষুধ;
— উচ্চ রক্তচাপের ও রক্তে চর্বি কমানোর ওষুধ;
— রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর ওষুধ।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে? — মেট্রোনিডাজল, সেপোফেরাজোন এবং ক্লোরপ্রোপামাইড।

চর্বিযুক্ত খাবার নিচের কোন ধরনের ওষুধের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়? — গ্রাইসোফুলভিল।

যে কোন ধরনের খাবার নিচের কোন ধরনের ওষুধের শোষণ কমিয়ে দেয়? — এম্পিসিলিন।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে জীবন নাশের ঝুঁকিপূর্ণ বিষক্রিয়া হতে পারে? — ডাইসালফিউরাম।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধটির মিথস্ক্রিয়া হয় না? — স্টেরয়েড, কোলেস্টরলের ওষুধ, টেট্রাসাইক্লিন ও টারফেনাডিন।


Click to rate this post!
[Total: 1 Average: 1]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like