অণুজীববিজ্ঞান : মডিউল-৩ : সেশন-২

অণুজীববিজ্ঞান

মডিউল-৩/সেশন-২

অণুজীববিজ্ঞান

ভাইরাসের আয়তন কত? — ১৭-৪৫০ মিলিমাইক্রন।

অনুজীব গুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? — ৫ ভাগে।

অনুজীব সম্পর্কে আধুনিক ধারণা দেন কে? — লুই পাস্তুর।

লুই পাস্তুর কোন দেশের বিজ্ঞানী ছিলেন? — ফরাসি।

লুই পাস্তুর কত সালে অনুজীব সম্পর্কে ধারণা দেন? — ১৮৬০-১৮৬৫ সালে।

যে সকল অনুজীব রোগ সৃষ্টি করতে পারে তাদেরকে কি বলে? — প্যাথোজেনিক।

ভাইরাস জনিত রোগের ভ্যাকসিন কি থেকে তৈরি করা হয়? — ভাইরাস।

মরণব্যাধি এইডস কোন ভাইরাসের মাধ্যমে হয়? — এইচ আই ভি।

HIV ভাইরাসের পুর্ণ নাম কি? — Human Immunodeficiency Virus

কোন ভাইরাসের আক্রমণে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ হয়? — মাইক্সো।

নিচের কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়? — যক্ষ্মা।

কিউ জ্বর নিচের কোন রিকেটসিয়া দ্বারা সৃষ্ট? — রিকেটসিয়া কক্সবারনটি।

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়া কতটি অংশ নিয়ে গঠিত? — ৬টি।

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার কোন অংশে উৎসেচক থাকে? — কোষ ঝিল্লী।

টিউবারকিউলোসিস ব্যাকটেরিয়া কিসের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের বিস্তার ঘটায়? — শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।

হেপাটাইটিস বি এর টিকা কয় মাত্রায় দেওয়া হয়? — ৩ মাত্রায়।

পানি বাহিত রোগ কোনটি? — টাইফয়েড।

কি হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়? — ডায়রিয়া।

ভিবরিও কলেরি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে কোন রোগ হয়? — কলেরা।

কোন রোগ হলে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়? — জন্ডিস।

যক্ষ্মা কি ধরণের রোগ? — প্রাণী বাহিত।

কোন ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ হয়? — টিউবারকিউলোসিস।

কোন রোগ প্রতিরোধের জন্য বি.সি.জি টিকা দেওয়া হয়? — যক্ষ্মা।

চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগ কিভাবে সংক্রমিত হয়? — প্রাণীর মাধ্যমে।

ডেঙ্গু জ্বর হয় কোন মশার দ্বারা? — এডিস।

গোদ রোগ হয় কোন মশার দ্বারা? — কিউলেক্স।

কোন রোগের জীবাণু সবার শরীরে থাকে? — কুষ্ঠ।

প্যাথেনজিক অনুজীব যে রাসায়নিক বস্তু নিঃসৃত করে তার নাম কি? — টকসিন।

আদিকালে রোগসৃষ্টিকারী যে কোনো বিষাক্ত পদার্থকে বলা হতো — — ভাইরাস।

ভাইরাস একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হলো — বিষ।

কোনটি ব্যাকটেরিয়ার চলাচলে সাহায্য করে? — ফ্লাজেলা।

ব্যাকটেরিয়া স্থানান্তরের পদ্ধতি কোনটি? — যৌন সংগম, শ্বাস-প্রশ্বাস, খাদ্য গ্রহণ।

পানি দ্বারা বাহিত হয়ে টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটায় কোনটি? — সালমোনেলা টাইফি।

ইস্ট এক প্রকার — এককোষী ছত্রাক।

যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী জীবাণুটির বৈজ্ঞানিক নাম কি? — Mycobacterium tuberculosis

শিশুকে জন্মের পর কোন টিকা দিতে হয়? — বিসিজি।

শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হলে কোন টিকা দিতে হয়? — এম আর ১

শিশুর বয়স ১৫ মাস পূর্ণ হলে কোন টিকা দিতে হয়? — এম আর ২

মহিলাদের টিটি টিকা কয় মাত্রায় দেয়া হয়? — ৫ মাত্রায়।

মহিলাদের টিটি টিকা কত বছর বয়স থেকে শুরু করতে হয়? — ১৫ বছর।

ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব যার নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়।

ব্যাকটেরিয়া সর্বত্র বিরাজমান।

অন্ত্রে বসবাসকারী এসকেরিশিয়া কোলাই (Escherichia coli E.coli) আমাদেরকে জৈব সংশ্লেষিত ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স সরবরাহ করে থাকে।

ক্যাপসুল : কোষ প্রাচীরের বাইরে পুরু ও পিচ্ছিল পদার্থের যে আবরণী থাকে তাকে ক্যাপসুল বলে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা করে।

সাইটোপ্লাজম : এটি সাধারণত বর্ণহীন অর্ধ-তরল থকথকে বস্তু।

কোষ প্রাচীর : সাইটোপ্লাজমকে আবদ্ধ করে যে জড় প্রাচীর থাকে তাকে কোষ প্রাচীর বলে। এর গায়ে অসংখ্য অণুবীক্ষণিক রন্ধ্র বা ছিদ্র থাকে। এটি কোষকে আকৃতি দেয় এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

রোগীর শরীরের সাথে অন্য ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে জলাতংক, জলবসন্ত, চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগ হয়।

তোয়ালে, বিছানাপত্র, খাওয়ার পাত্র ইত্যাদির মাধ্যমে সংস্পর্শের মাধ্যমে স্ক্যাবিস বা চুলকানি রোগের বিস্তার ঘটে।

যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে গনোরিয়া, সিফিলিস, এইডস রোগ সংক্রমিত হয়।

খাদ্য গ্রহণের সাথে বিস্তার ঘটে- হেপাটাইটিস এ, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু।

অধিকাংশ ভাইরাস ২১০ মিলি মাইক্রন আয়তনের হয়ে থাকে। এটি দেখতে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। তাই ভাইরাস হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীব।

ছত্রাক দ্বারা উৎপন্ন রোগকে মাইকোসিস বলে। ইস্ট এক প্রকার এককোষী ছত্রাক। এদের আয়তন ৫-১০ মাইক্রন। এরা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না বলে এরা পরজীবী।

হাজার হাজার ছত্রাকের মধ্যে ৫০ এর কম ছত্রাক মানুষ বা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫টি সংক্রমন প্রতিরোধ করতে অথবা এগুলো প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিকা বর্তমানে সহজলভ্য।

টিটি ১ : এই টিকা কোন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে না। (১৫ বছর)

টিটি ২ : ৩ বছর পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (২৮ দিন)

টিটি ৩ : ৫ বছর পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (৬ মাস)

টিটি ৪ : ১০ বছর পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (১ বছর)

টিটি ৫ : গর্ভধারণে সক্ষম বয়স পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (১ বছর)

ব্যাকটেরিয়ার নামরোগের নাম
স্ট্রেপটোকোক্কাস নিউমোনিয়ানিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস, মেনিনজাইটিস, ফুসফুস সংক্রমণ
স্ট্রেপটোকোক্কাস ফিকালিসমূত্রনালীর ইনফেকশন
নিসারিয়া গনোরিয়াগনোরিয়া
এসকেরিশিয়া কোলাইমূত্রনালী এবং ক্ষতের সংক্রমণ, নিউনেটাল মেনিনজাইটিস
সালমোনেলাএকটারিক জ্বর বা টাইফয়েড এবং খাদ্যে বিষক্রিয়া
সিগেলাব্যাসেলারী ডিসেন্ট্রি বা রক্ত আমাশয়
মাইকোব্যাকটেরিয়াল লেপরিকুষ্ঠ রোগ
ট্রেপোনেলা প্যালিডিয়ামসিফিলিস
ভিবরিও কলেরিকলেরা
বরডিটেলা পারটুসিসহুপিং কফ
ভাইরাসের নামরোগের নাম
রাইনো ভাইরাসসাধারণ ঠাণ্ডা লাগা
র‌্যাবিস ভাইরাসজলাতঙ্ক
রুবেলা ভাইরাসজার্মান মিজেলস
হারপিস ভাইরাসচিকেন পক্স, হারপিস সিমপ্লেক্স
পক্স ভাইরাসস্মল পক্স, কাউ পক্স

Click to rate this post!
[Total: 1 Average: 5]

2 comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like