প্রবন্ধ রচনা : ভেজাল খাদ্য ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

ভেজাল খাদ্য ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

ভেজাল খাদ্য ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা হচ্ছে খাদ্য। বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য দরকার তেমনি সুস্থ, সুন্দর, স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য ভেজালবিহীন খাদ্য অপরিহার্য। কারণ, ভেজাল খাদ্য বিভিন্ন কঠিন রোগের জন্ম দেয়। দিনের পর দিন ভেজাল খাদ্য খেয়ে আমরা জটিল ও মারাত্মক সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। আমাদের আয়ু, কর্মশক্তি, দৈহিক ও মানসিক স্পৃহা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। আর ক্রেতা অধিকার সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা, ভেজালবিরোধী আইন ও এর সুষ্ঠু প্রয়োগের অভাব এবং নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা প্রতিদিন যা খাচ্ছি তার সিংহভাগই ভেজালে পরিপূর্ণ।

ভেজাল খাদ্য ও বাংলাদেশ পরিস্থিতি : মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং আইনগত নিষিদ্ধ দ্রব্য খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ দ্রব্য খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করলে, সে খাদ্যকে ভেজাল খাদ্য বলা হয়। তাছাড়া কোনো খাদ্যদ্রব্যে যেসব উপাদান যে পরিমাণে থাকার কথা তা না থাকলে সে খাদ্যকে আমরা ভেজাল বলি।

ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের নানা পণ্যে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ দেশে বছরজুড়ে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির রমরমা বাণিজ্য চললেও রমজান মাস ঘিরে এ তৎপরতা বহুগুণ বেড়ে যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) -এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। আইসিডিডিআরবি এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর পথ খাবারের প্রায় ৫৫ শতাংশে নানা ধরনের জীবাণু রয়েছে এবং এসব খাবার বিক্রেতাদের ৮৮ শতাংশের হাতেও নানা রকম জীবাণু থাকে।

বাংলাদেশে ভেজাল খাদ্য বিরোধী আন্দোলনের অপর্যাপ্ততা, আইনের সঠিক প্রয়োগ, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং ক্রেতার অধিকার সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা-ই মূলত ভেজাল খাদ্যের কারণ। তাছাড়া ভেজাল খাদ্যে ভেজাল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। দেরিতে হলেও নতুন আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগে বিষয়টি আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

ভেজালের ধরন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি : আমাদের দৈনন্দিন খাবারে কোন জিনিসটিতে ভেজাল নেই তা বের করা কঠিন। অপরিহার্য ওয়াসার পানিতে আবর্জনা থাকে, মিনারেল ওয়াটার নামে সুন্দর সুন্দর বোতলজাত পানি কোনো রকম প্রকিয়া ছাড়াই বাজারে অবাধে বিক্রি হয়। তাছাড়া খাদ্যদ্রব্যকে আকর্ষণীয় করতে এবং বেশি লাভ করতে বিচিত্র সব পদ্ধতির আশ্রয় নেয়া হয়। নিচে কিছু খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের ধরন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. শাকসবজি ও ফলমূল : আমরা প্রতিদিন যেসব শাকসবজি ও ফলমূল কিনে খাচ্ছি সেগুলো সতেজ রাখতে ও পাকাতে বিক্রেতারা ক্যালসিয়াম কার্বাইডসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করছে। এসব কেমিক্যাল মিশ্রিত খাদ্যগ্রহণ করলে কিডনি ও লিভার নষ্ট হতে পারে, চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ছাড়াও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা।

২. ভোজ্য তেল : মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের খাদ্য পরীক্ষাগার ও সিটি করপোরেশনের পরীক্ষাগার ও সিটি করপোরেশনের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বাজারজাতকারীর তৈরি ঘি ৯৩ ভাগ ভেজাল ও খাবারের অনুপযোগী; বাটার অয়েল ৯২ ভাগ ভেজাল, ডালডা ১০০ ভাগ ভেজাল, সয়াবিন ও সরিষার তেল ৯২ ভাগ ভেজাল এবং খাবারের অনুপযোগী। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসব ভোজ্য তেল খেয়ে কিডনি, লিভারের ক্যান্সার হওয়া ও গর্ভস্থ শিশু প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। নানা ধরনের পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যদি সেসব রোগ শরীরে থাকে, তবে কিডনি ও লিভার অকেজো হয়ে যাবে এবং আরো নানা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

৩. মাছ ও শুঁটকি : মাছের বাজারেও ভেজালের করাল গ্রাস অব্যাহত আছে। ছোট-বড় বিভিন্ন মাছকে সতেজ রাখতে সেগুলো সতেজ দেখানোর জন্য বিক্রেতারা ফরমালিন ব্যবহার করে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া শুঁটকি মাছের সাথে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত কীটনাশক ও ডিডিটি ব্যবহার করে, যা মানবদেহে ক্যান্সার হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে।

৪. আটা-ময়দা ও ডিম : পাউরুটি, বিস্কুট, নুডলসের আটা-ময়দা ৯৫ ভাগ ভেজাল, নিম্নমানের ও খাবার অনুপযোগী। ইদানিং ফার্মের সাদা ডিম লাল করার জন্য বিষাক্ত লাল রং ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব খাদ্য ও সাদা ডিমে কলকারখানার বিষাক্ত ডাই ও রং ব্যবহার করা হয়, যা মানুষের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এসব বিষাক্ত রং মিশ্রিত খাদ্যের জন্য দেশে ডায়াবেটিক ছাড়াও কিডনি ও লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার ও মারাত্মক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৫. ডাল : বাজারের ডালের ৯৬ ভাগই ভেজাল, নিম্নমানের ও খাওয়ার অযোগ্য। এসবে বিষাক্ত রং ও ফাঙ্গাস থাকে। আমদানিকৃত নিম্নমানের মসুর ডালকে দেশি করার জন্য ‘নিউরোটক্সিন’ নামে যে কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় তা দেহে প্রবেশের পর স্নায়ুতন্ত্র ধ্বংস করে ফেলে। আর ‘মাইকোটক্সিন’ নামে যে কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় তা ক্যান্সারসহ জটিল রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এছাড়া রং মেশানো ছোলা, মাষকলাইসহ অন্য ডালও বিভিন্ন মরণব্যাধি তৈরি করতে পারে।

৬. গুঁড়া মশলা : বাজারের ৯৬ ভাগ গুঁড়া মশরা ভেজাল ও ভাবারের অনুপযোগী। মরিচ, হলুদ, ধনে গুঁড়ার সাথে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের গুঁড়া, বিষাক্ত সব রং। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ ধরনের ভেজাল মশলা দিয়ে তৈরি খাবার জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশু ও গর্ভবতী মায়ের জন্য এগুলো সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে জানা গেছে।

৭. আয়োডিন লবণ : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) হিসাব অনুযায়ী দেশে অনেক কোম্পানি আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন করছে। তবে এর মধ্যে গুটি কতক প্রতিষ্ঠান মূলত নিজস্ব কারখানায় আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি করছে। পরীক্ষায় জানা গেছে, বাজারের লবণ কোম্পানিগুলোর ৯৫ ভাগ লবণেই আয়োডিন নেই। এর ফলে আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড, মানসিক প্রতিবন্ধিত্ব ও নানা জটিল রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

৮. মিনারেল ওয়াটার, জুস ও জেলি : বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে বাজারের মিনারেল ওয়াটার নামে প্রচলিত পানির ৯৬ ভাগই পানের অযোগ্য। এছাড়া বাজারজাতকৃত ৯৭ ভাগ জুসের মধ্যে ফলের রস বলতে কিছু নেই। বাজারের বেশিরভাগ জুস, সস ও জেলিতে যে বিষাক্ত রং মেশানো হয়, সেসব মিশ্রিত জুস, সস, জেলি খেলে কিডনি, লিভারের ক্যান্সার, পেটের পীড়াসহ যে কোনো জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

৯. আইসক্রিম : বাজারজাতকারী আইসক্রিম কোম্পানির মধ্যে ৯৫ ভাগ কোম্পানির আইসক্রিম খাওয়ার অযোগ্য। যা খেলে কিডনি, লিভার ও পেটের পীড়া, ডায়রিয়া ও ক্যান্সারসহ জটিল সব রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

১০. মিষ্টির দোকান ও রেস্তোরাঁ : রাস্তার পাশের জিলাপি দোকানের জিলাপিতে মবিল ও এক ধরনের রং মেশানো হয় এবং মিষ্টির দোকানগুলোতে মিষ্টি তৈরিতে বিষাক্ত দুধ, রং ও টিস্যু পেপার মেশানো হয়। এছাড়া রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকানগুলোর প্রায় সবগুলোতেই পিয়াজু, সিঙ্গাড়া, পরোটা, পুরি সহ তেলে ভাজা খাদ্যগুলো বহুবার ব্যবহৃত তেলে ভাজা হয়। এসব খাবার বিষে পরিণত হয়। এগুলো খেলে লিভার অকেজোসহ যে কোনো জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

১১. চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুড শপ : বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭০ ভাগ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্টফুডের দোকানের খাবারের মান খুব খারাপ। এসব রেস্টুরেন্ট ও শপে পঁচা মাংস, মিষাক্ত রং ও কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এগুলো খেলে সরাসরি কিডনি ও লিভার নষ্ট হতে পারে। এছাড়া ক্যান্সার, পেটের পীড়া, টাইফয়েড, ভাইরাল হেপাটাইসিস ও অন্যান্য জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ভেজাল প্রতিরোধে বাংলাদেশ : বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল রোধে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঘন ঘন ঝটিকা অভিযান খাদ্যে ভেজাল অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে। প্রশাসনের সুনজর এবং ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সচেতনতার মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ সম্ভব। ভেজাল প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচে উল্লেখ করা হলো :

১. ভেজাল রোধে আইন : ‘পূর্ব পাকিস্তান বিশুদ্ধ খাদ্য সামগ্রী অধ্যাদেশ’ নামে ১৯৫৯ সালের ৪ অক্টোবর তৎকালীন প্রাদেশিক গভর্নর একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। খাদ্যদ্রব্যের বিপণনে ভেজাল নিরোধ এবং মনুষ্যভোগ্য খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন ও বিক্রয়ের উন্নতকরণ এবং নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত এ আইন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘বাংলাদেশ বিশুদ্ধ খাদ্যসামগ্রী অধ্যাদেশ’ নামে বলবৎ থাকে। এ আইনে কতিপয় খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন, বিক্রয়, বিশ্লেষণ, পরিদর্শন ও বাজেয়াপ্তকরণ প্রথমবার অপরাধের জন্য ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ৬ সপ্তাহ থেকে ১ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড; দ্বিতীয়বার অপরাধের জন্য ন্যূনতপক্ষে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ৩ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রি রোধে ‘বাংলাদেশ পিওর ফুড (সংশোধন) বিল ২০০৫’ সংসদে পাস হয়েছে। এতে ভেজালসামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রি করলেই সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ভেজাল রোধে কর্তব্যরত ব্যক্তিকে বাধা প্রধান করা হলে ৩ লাখ টাকা জরিমানাসহ ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের বিধানও রয়েছে।

২. বিএসটিআই : বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান, মান নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। শিল্প, খাদ্য ও রসায়নিক পণ্যের মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ বিএসটিআই-এর প্রধান কাজ। তাছাড়া দেশব্যাপী সরকার নির্ধারিত ওজন পরিমাপের বিষয়টিও তারা প্রয়োগ করে। ৬টি বিভাগীয় শহরে বিএসটিআই কার্য পরিচালনা করে।

৩. খাদ্যে ভেজাল রোধে অভিযান : সরকার ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করেছে তা সব মহলে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। এ ধরনের সরকারি তৎপরতা আরো আগে থেকেই প্রয়োজন ছিল। মোবাইল কোর্ট বর্তমানে সে প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার চেষ্টা করছে। ১১ জুলাই ২০০৫ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরির জন্য হোটেল মালিককে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হয়। ২০১৯ সালে রমজান মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (DSCC) খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভ্রম্যমাণ আদালত।

বংলাদেশে সাধারণত ঈদের সময় এসব অভিযান লক্ষ্য করা যায়। ঈদের পর আবার যে যার মতো করে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যায়। ভেজাল বিরোধী অভিযানে এ সম্পর্কিত আইনের দুর্বলতা ধরা পড়ার পর নতুন আইন করতে হয়েছে। আশা করা যায়, সরকারের সদিচ্ছা এবং আইন প্রয়োগকারীদের সততা অটুট থাকলে ভেজালের পরিমাণ কমবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে দাঁড়াতে হলে দেশের মানুষকে কর্মঠ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। আর খাবার অপরিহার্য বিধায় তা খাঁটি হওয়া জরুরি। তাছাড়া ভেজাল, ওজনে কম দেয়ার প্রবণতা যদি আমাদের অটুট থাকে এবং ক্রেতা অধিকার যদি পূরণ না করা হয় তাহলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে। ক্রেতাদের যদি তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা যায় এবং সংঘবদ্ধ করা যায় তাহলে উৎপাদনকারীরা বাধা হবে মান নিয়ন্ত্রণে।


Click to rate this post!
[Total: 1 Average: 5]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like