প্রবন্ধ রচনা : দুর্নীতি ও তার প্রতিকার [42 Points]

দুর্নীতি/Corruption

দুর্নীতি ও তার প্রতিকার

ভূমিকা

দুর্নীতি কখনও হয়না সুনীতি
এ এক ভয়ানক মানসিক ব্যাধি
যার মনোরাজ্যে বিচরণ করছে এ আধি
তার ইহকাল পরকাল নিয়ে কেবলি আমরা কাঁদি।- ফিরোজ খান

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয়েছে যে সার্বভৌম দেশ সে দেশটির নাম বাংলাদেশ। এদেশ অপার সম্ভাবনা দেশ তবুও এ দেশ নানা সমস্যার ভারে জর্জরিত। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলে দুর্নীতি। বর্তমানে এ সমস্যা আমাদের জাতীয় জীবনকে রাহু গ্রাসের মত আকড়ে রেখেছে। এ অবস্থা কারো কাম্য নয়। তাই বাংলাদেশের ক্লান্তি লগ্নে আমাদের সচেতন হওয়া আশু জরুরি। দুর্নীতির সকল ক্ষেত্রসমূহের মূল উৎপাটন করা দরকার।

 

দুর্নীতির সজ্ঞা

নীতি শব্দের আগে দুঃ উপসর্গ যুক্ত হয়ে দুর্নীতি শব্দটি গঠিত হয়েছে। শাব্দিক অর্থে যা নীতি সমর্থিত নয় তাই দুর্নীতি আরও পরিষ্কারভাবে বলা যায় মানুষ যখন স্বেচ্ছাচারিতার প্রকাশ ঘটিয়ে অন্যায়ভাবে নীতিকে লঘিন করে কোন কাজ করে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে তাই দুর্নীতি। দুর্নীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞানী Pamnuth বলেন- In corruption a person willfully neglected his specified duty in order o have a undue advantage. অর্থাৎ দুর্নীতি হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতা বা প্রভাবের অবৈধ স্বার্থ প্রণোদিত ব্যবহার।

 

সমাজ/জাতীয় জীবনে দুর্নীতির প্রভাব

সমাজ জীবনে দুর্নীতির প্রভাব মারাত্মক। দুর্নীতি সমাজে সম্পদের অসম প্রবাহ সৃষ্টি করে এক শ্রেণী বৈষমা বৃদ্ধি করে। কালো টাকার প্রভাবে এক শ্রেণীর মানুষ রাতারাতি বড়লোক বনে যায়। অসম প্রতিযোগিতায় মুখে পড়ে। সমাজে বসবাসকারী সৎ মানুষগুলো। শুধু তাই নয় দুর্নীতি প্রসারে নৈতিকতার অপমৃত্যু ঘটে ও সমাজ থেকে সৎ সুন্দর ও কল্যাণ চেতনা নির্বাসিত হয়।

 

দুর্নীতি ও বর্তমান বিশ্ব

সৃষ্টির সেরা জীব হলো মানুষ। স্বার্থপরতা নয় মানবতাই মানুষের মৌল ধর্ম। দুর্নীতি ব্যক্তির সামাজিক উন্নয়ন আনলেও তা রাহুর মত সমাজকে গ্রাস করে। দেশ ও সমাজ থেকে দুর্নীতিকে বিদায় করে সুন্দর পৃথিবী গড়ায় দায়িত্ব মানুষের। দুর্নীতি অন্ধকারে ডুবে যাওয়া দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে যুগে যুগে বহু মনীষীকে আমরণ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ব্যক্তি সুখ বিসর্জন দিয়ে সুন্দর মানবজীবন গড়ে তুলতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর মত শত শত মহামানবের জন্ম হয়েছে।

 

বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা

গত ৩৫ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশে পর পর পাঁচবার বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে স্ফীতির জন্য। দুর্নীতি বিরোধি আন্তর্জাতিক সম্বো টি আই কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট ২০০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ এ পাঁচ বছর দেশের বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরিচিতি সমগবিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

★দুর্নীতির ক্ষেত্রসমূহ বাংলাদেশে দুর্নীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ-

 

প্রশাসনিক ক্ষেত্রে

বর্তমানে বাংলাদেশের কোন সরকারি দপ্তর বিভাগই দুর্নীতিমুক্ত নয়। ঘুষ বা উৎকোচ গ্রহণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ অপচয় ও ছুরি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রশাসনে ব্যাপকহারে প্রীতি হয়। বাইবেলের ২৩ অধ্যায়ে বলা হয়েছে তোমরা ঘুষ গ্রহণ করবে না পূর্যের রসরসে দৃষ্টতা অন্ধকারে পর্যবসিত হয়।

 

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে

অথচ রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই বর্তমানে ব্যাপকহারে দুর্নীতি চলছে। রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ব্যাখেলাপ ক্ষমতায় থাকা কালে নিরাপদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুযোগ সুবিধা অন্যায়ভাবে নিজের আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়। কবির ভাষায়-

দের বাগান সবার মনে আছে
ফুটাতে সবাই নাহি পারে।

 

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে

ব্যবসায়ী মহল কর্তৃক মজুদদারির মাধ্যমে বাজার প্রব্যের কৃত্রিম সঙ্কট করা কর শুষ্ক খাজনা নেওয়াসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। পবিত্র কুরখানে বলা হয়েছে -কোন ব্যক্তিকে অন্যের অর্থ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

 

শিক্ষা ক্ষেত্রে

পরীক্ষায় ব্যাপক নকল প্রবণতা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ আদায় ক্লাসে ভালোভাবে না পড়িয়ে প্রাইভেট টিউশানি নিয়মিত ক্লাসে না আসা।

 

সরকারি সেবা সংস্থার দুর্নীতি

স্যাকারি সেবা সখাগুলোর দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ঘূর্য ছাড়া এখন আর কোন কাজই করা যায় না। এ প্রসঙ্গে ত্রিপিটকে বলা হয়েছে- খুব গ্রহণ করো না কাউকে ঠকাবে না অথবা অসৎ কাজ করবে না।

 

বেসরকারি খাতে

শুধু সরকারি খাতে নয় বেসরকারি খাতেও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার নামে সরকারি সুবিধা ও বাব ঋণ নিয়ে সে টাকা অন্যভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কর ও শুল্ক ফাঁকি শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারী ইত্যাদি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। দুর্নীতি ও বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাতীয় রাজা বোর্ডের মতে বাংলাদেশে অবৈধ আয়ের পরিমাণ মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ৩০-৩৪ ভাগ হবে।

 

জাতীয় উন্নয়নে দুর্নীতির প্রভাব

জাতীয় উন্নয়নে দুর্নীতির প্রভাব নিম্নে দেওয়া হলো-

 

দুর্নীতি ও জাতীয় উন্নয়ন

দুর্নীতির ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকারি খাতে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়া। যে অর্থ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও উৎপাদনশীল কাজে ব্যয় করার কথা কিন্তু তা চলে যায় দুর্নীতিবাজ আমলা ও শাসকগোষ্ঠীর পকেটে।

 

দুর্নীতি ও প্রবৃদ্ধি

দুর্নীতি বাংলাদেশের উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে অন্যতম অন্তরায়। দেশীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত যেমন কৃষি, শিল্প, ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক খাতের দুর্নীতি দেশজ উৎপাদনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে থাকে।

 

দুর্নীতি ও দারিদ্র্য বিমোচন

দুর্নীতি ও দারিদ্র্য আমাদের জাতীয় জীবনে ২টি প্রধান সমস্যা। দারিদ্র্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সহায়তা করছে। আবার দুর্নীতির ফলে আমরা দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না।

 

দুর্নীতি ও মানব উন্নয়ন

জাতীয় উন্নয়নের জন্য মানব উন্নয়ন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অথচ মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। এজন্য মূলত দুর্নীতিই দায়ী।

 

দুর্নীতির কারণ সমূহ

ঐতিহাসিক কারণ

বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে দুর্নীতি চলে আসছে। ঔপনেবিশিক শাসনামলে বিদেশি শাসক শোষগুলো মার্থেরক্ষার জন্য এ দেশে এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ আমলার মাধ্যমে জনগণকে শোষণ করত। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হলে দুর্নীতি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রসারিত হয়।

 

আর্থিক অসচ্ছলতা

আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ সমাজে সামাজিক উপায়ে মৌল চাহিলা পূরণে ব্যর্থ হয় এতে সমাজে দুর্নীতির প্রসার ঘটে।

 

রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা

বাংলাদেশে দুর্নীতি বিস্তারে বিরাজমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বিশেষভাবে দায়ী। রাজনৈতিক ক্ষমতা বাহের জন্য নির্বাচনে বিপুল পরিমাণে অর্থ অবৈধভাবে ব্যয় করে ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়। এভাবে দুর্নীতির বিস্তার ঘটে। উচ্চাভিলাষ জীবনের মোহ উচ্চাভিলাষে গা ভাসানো রাতারাতি অর্থ সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভে তীব্র আকাঙ্ক্ষা এদেশে দুর্নীতি বিকাশের অন্যতম প্রধান কারণ।

 

বেকারত্ব

বাংলাদেশে ভয়াবহ বেকারত্ব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে সমাজে দুর্নীতি প্রসারিত হচ্ছে। আর এর ফলে দুর্নীতি ক্রমশ বাড়তেই থাকে।

 

অপর্যাপ্ত বেতন কাঠামো

আমাদের দেশে কর্মজীবী মানুষদের বেতন ও পারিশ্রমিক চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপর্যাপ্ত। ফলে তারা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণের জন্য দুধ বা বিকল্প কোন উপায়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করে। এতে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়।

 

জবাবদিহিতা ও সচ্ছলতার অভাব

সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আয় ও ব্যয়ের মধ্যকার সমাজস্যহীনতা সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কঠোর জবাবদিহিতার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটা না থাকার ফলে দুর্নীতি উৎসাহিত হয়।

 

দুর্নীতি দমনে বলিষ্ট পদক্ষেপের অভাব

প্রচলিত আইন কানুনে অনেক ফাঁক ফোকার থাকায় শাহিত বিধানের জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ পদ্ধতি অত্যন্ত শিথিল ও দুর্বল।

 

অর্থের মূল্যস্তর বৃদ্ধি

অর্থের মূলাস্তর বৃদ্ধি বা মুদ্রাস্ফীতি ঘটলে সমাজে ব্যবসায়ী শ্রেণী দুর্নীতি করার সুযোগ পায়।

 

আইনের স্পষ্টতা

অনেক সময় প্রচলিত মাইনের স্পষ্টতা বা আইনের ফাঁকে সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি করা হয়।

 

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনৈতিকতা

আমাদের দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্য বিলাস বাসন জীবন যাপনের লক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িনা পড়ে। ফলে যে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়।

 

দায়িত্বে অবহেলা

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্নীতি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এমনকি দুর্নীতি পাকাপোক্ত রূপ পরিগ্রহ করে।

 

আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যতা

আয় ব্যয়ের ঈসামঞ্জস্যতার কারণেই অনেকেই জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে না। এ ফারণেই অনেকেই দুর্নীতির দিকে ঝুঁকে পড়ে।

 

তথ্য অধিকারের অভাব

সরকারের প্রতিটি কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তের তথ্য জানবার অধিকার জনগণের রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারি তথ্য প্রকাশ করা হয় না। ফলে দুর্নীতি চলে অবাধে।

 

দুর্নীতি প্রতিরোধের উপায়

দুর্নীতি প্রতিরোধের উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো-

 

স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন

বর্তমানে দুর্নীতি দমনে নিয়োজিত সরকারের বিশেষ বিভাগ দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে পুর্নঠি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যুক্ত করে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করতে হবে।

 

ন্যায়পালের পদ বাস্তবায়ন

আমাদের দেশে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের জন্য ন্যায়পালের পদ বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ তদন্ত ও বিচারের জন্য এর কোন বিকল্প নেই। এতে দুর্নীতি প্রতিরোধ হবে।

 

স্বাধীন নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা

দুর্নীতি প্রতিরোধে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অতি জরুরি। বিচার বিভাগ প্রশাসন থেকে পৃথক হলে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের ফলে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

 

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে দুর্নীতি হ্রাস পাবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই বোধে সবাই উজ্জীবিত হলে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলেই মানুষ দুর্নীতি পরিহার করবে।

 

সরকারি নিরীক্ষণ কমিটি গঠন

সরকারি নিরীক্ষা কমিটি যথাযথভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করলে দুর্নীতি বহুলাংশে কমে আসবে।

 

পর্যাপ্ত বেতন ও পারিশ্রমিক প্রদান

বাজার মূল্যের সাথে সমন্বয় করে সুষম বেতন কাঠামো এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। –

 

রাজনৈতিক সদিচ্ছা

রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা অঙ্গীকারের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব।

 

কার্যকর সংসদ

কার্যকর সংসদের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। বিশেষ করে সংসদ সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি দুর্নীতি দমনে ও সুশান প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

প্রশাসনে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত

প্রশাসনে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে দুর্নীতি হ্রাস পায়। এবং কর্মদক্ষতা ও সততাকে উৎসাহিত করে এর ফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব।

 

দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতা সৃষ্টি করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুললে দুর্নীতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।

 

গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা পালন

সমাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য অনুসন্ধান এবং তা জনগণের সামনে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব।

 

উপসংহার

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক জীবনের সর্বাংশে আজ দুর্নীতির করলে নিমজ্জিত। দুর্নীতির কালো হাত সমাজ জীবনের সকল দিককে গ্রাস করেছে। দুর্নীতি বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। তাই সবত্রই উচ্চারিত হোক আমাদের শ্লোগান ঘুষ নেব না ঘুম দেব না কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না।

 

Click to rate this post!
[Total: 18 Average: 3.7]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like