Tag Archives: BD Police GK

পুলিশ বিষয়ক পরিভাষা

পুলিশ বিষয়ক পরিভাষা

Police State

পুলিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র হচ্ছে ‘Police State’। যেখানে সরকারবিরোধী পক্ষকে পুলিশের সাহায্যে দমন করা হয়। এটা অনেকটা Totalitarian রাষ্ট্রের মতো।

Totalitarian State

Totalitarian State বলতে এমন একটা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে একটিমাত্র রাজনৈতিক দল থাকে। এখানে জনসাধারণকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনের নিকট উৎসর্গীকৃ বলে বিবেচনা করা হয়।

Ambush

অতর্কিত আক্রমণার্থে গোপন স্থানে অবস্থান করাকে Ambush বলা হয় (to lay concealed in wait to attack by surprise)।

Curfew

আভিধানিক অর্থে Curfew হচ্ছে একটা ইঙ্গিত বা সময়, যার পর জনসাধারণ অবশ্যই ঘরে অবস্থান করবে। অপরদিকে Code of Criminal Procedure (CrPC)-এর ২৪ নং সেকশন অনুযায়ী Curfew হচ্ছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জারিকৃত একটি আদেশ, যার ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার জনসাধারণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ঘর থেকে বের হতে পারে না।

FIR বা এজাহার

FIR হচ্ছে First Information Report CrPC-এর ১৫৪ ও ১৫৫ ধারা অনুযায়ী কোনো অপরাধের বিষয়ে থানায় রিপোর্ট করাকে FIR বলা হয়। ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে FIR একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিক তথ্যসমূহ অবশ্যই লিখে রাখতে হবে এবং সংবাদদাতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। FIR-এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ হলো :
  1. সময়ের প্রেক্ষিতে এটা প্রথমে হতে হবে।
  2. এটা নিশ্চিত হতে হবে এবং কেবল জনশ্রুতি হলে চলবে না।
  3. এটা OC-এর নিকট প্রদান করতে হবে।
  4. এটা আমলযোগ্য অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে হবে।
  5. এটা এমন পর্যায়ে হতে হবে যেন Police তদন্ত শুরু করতে পারে।
  6. এটা অবশ্যই লিখিত ও উত্থাপনকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

চার্জশিট (Charge Sheet)

চার্জশিট হচ্ছে এক ধরনের অভিযোগ পত্র। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো অপরাধীর অপরাধ তদন্ত শেষে যদি এমন অবস্থা দেখেন যে অপরাধ সংঘটিনের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে তখন তিনি অভিযোগপত্র তৈরি করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট পেশ করেন।

Inquiry এবং Investigation-এর পার্থক্য

বাংলায় উভয় শব্দের অর্থ তদন্ত। কিন্তু দুটির মধ্যে ব্যবহারগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন- ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক CrPC-এর অধীন পরিচালিত মামলার ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে তদন্তকে Inquiry বলা হয়। যেমন- বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো ঘটনা তদন্তের জন্য Inquiry Committee গঠন করা হয়। Inquiry তে সাধারণত অপরাধী শনাক্ত করা হয়।
অপরদিকে Investigation হচ্ছে CrPC-এর অধীন বিচারাধীন কোনো মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তথ্যাদি উদ্ভাবনের জন্য পুলিশ অফিসার বা অন্য কেউ কর্তৃক পরিচালিত তদন্ত। Inquiry-এর ক্ষেত্রে অপরাধী শনাক্তকরণ এবং তার অপরাধের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।

Warrant

ওয়ারেন্ট শব্দের অর্থ গ্রেপ্তারি পরওয়ানা। বিচারক কর্তৃক কাউকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্যে পুলিশের প্রতি লিখিত আদেশনামাই হলো Warrant।
 

Camouflage (ক্যামোফ্লেজ)

শাব্দিক অর্থে Camouflage বলতে বোঝায় ছদ্মবেশ, আবরণ প্রভৃতি দ্বারা শত্রুকে প্রতারিত করা (any device to deceive an enemy)। প্রাসঙ্গিকভাবে ক্যামোফ্লেজ বলতে বোঝায় সৈন্যদল বা অস্ত্র শস্ত্র লুকিয়ে রাখা।

রিমান্ড

তদন্তের স্বার্থে কোর্ট আসামিকে পুলিশের নিকট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হস্তান্তর করাকে ‘রিমান্ড’ (Remand) বলে।

জানিম

পুলিশী হেফাজত থেকে আসামিকে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নির্ধারিত তারিখে হাজির করানোর অঙ্গীকার জামিনদারের নিকট সম্পন্ন করাকে জামিন বলা হয়। জামিন নিজ মুচলেকায়ও দেয়া যায়।

Arrest (গ্রেফতার)

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬(১) ধারা মতে, কথা বা কার্যদ্বারা আত্মসমর্পণ করা না হলে পুলিশ অফিসার বা গ্রেপ্তারকারী অপর কোনো ব্যক্তি গ্রেপ্তার করার সময় যাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার দেহ স্পর্শ বা আটক করবেন।

৪২০ ধারা

৪২০ ধারা বলতে CrPC-এর Section 420-কে বোঝানো হয়। প্রতারণা (Cheating) এবং অসদুপায়ে (dishonestly) কারো সম্পত্তি দখল করলে এ ধারা কার্যকর হয়।

অপরাধ স্বীকারোক্তি (Confession)

শারীরিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা প্ররোচনা ব্যতীত কোনো অপরাধীকর্তৃক স্বেচ্ছায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার। সাক্ষ্য আইনের ২৪-৩০ ধারায় কোন কোন অবস্থায় আসামির অপরাধস্বীকারোক্তি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য তা বলা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটকে আসামির অপরাধ-স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং উক্ত কার্যবিধির ৩৬৪ ধারায় তা লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত যদি মনে করেন যে, আসামির অপরাধস্বীকারোক্তি আইনের উপরিউক্ত যে কোনো বিধান লঙ্ঘন করে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, তবে আদালত মামলা বিচারে তা বিবেচনায় গ্রহণ নাও করতে পারেন।

আটক (Detention)

গ্রেপ্তার করার পর কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতাহরণ। ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ ধারার বিধান-অনুসারে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বিনা পরওয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করলে তাঁকে সামগ্রিক পরিস্থিতির বিবেচনায় যুক্তিসংগত সময় অপেক্ষা অধিককাল আটক রাখবেন না এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যাবার সময় বাদ দিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার বেশি হবে না। পুলিশ কর্মকর্তা আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের পর অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ হলে অথবা ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে পুনরায় আটক রাখার আদেশ না দিলে তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়।

জামিন (Bail)

বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালে কিংবা অপরাধহেতু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল করার সময়ে আইনানুগ হেফাজত হতে কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ বা আদালতকর্তৃক মুক্তি দেওয়া। জামিন মঞ্জুর করা উচিত না অনুচিত এবং কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তা করা যাবে, সে বিষয়ে বিচারকদের স্ববিবেচনা প্রয়োগের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৬-৫০২ ধারায় জামিন ও জামিনদার সম্পর্কে বিধান রয়েছে।

বাদী, ফরিয়াদি (Complainant)

অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যিনি অভিযোগ উত্থাপন করেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় যিনি মামলা করে থাকেন।

বিবাদী (Defendant)

যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী আদালতে দাখিলি আরজিতে যে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করেন তাঁকে অথবা উহাকে বিবাদী বলা হয়।

পাবলিক প্রসিকিউটর

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকারি অভিযোক্তা অর্থ ফৌজদারি আইনের ৪৯২ ধারা অনুসারে নিযুক্ত যে কোনো ব্যক্তি এবং সরকারি অভিযোক্তার নির্দেশক্রমে কার্যরত ব্যক্তি উহার অন্তর্ভুক্ত হবেন। পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে সমস্ত মামলা গৃহীত হয় সে সকল মামলার জন্য সরকারি উকিল নিয়োগ করা হয়। ফৌজদারি মামলায় সরকারের পক্ষ হতে যে উকিল নিয়োগ করা হয়, তাকে সরকারি অভিযোক্তা বলা হয়।

স্ব-উদ্যোগ (Sou moto)

আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনো কোনো বিষয়ে স্ব-উদ্যোগে কোনো মামলার কার্যক্রম শুরু এবং নিষ্পত্তি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারা অনুসারে, যদি নিম্ন আদালতের কোনো কার্যক্রমের ক্রটি উচ্চ আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়, সেক্ষেত্রে আদালত স্ব-উদ্যোগে তদ্রুপ ক্রটি সংশোধন করতে পারেন।

বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – ৬ষ্ঠ পর্ব

বাংলাদেশ পুলিশের উল্লেখযোগ্য শাখা

বাহিনী প্রধান
স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) এডিশনাল আইজি (Additional IG)
সিআইডি (CID) সিআইডি (CID)
মেট্রোপলিটন পুলিশ (Metropolitan Police) কমিশনার (Commissioner)
র‌্যাব (RAB) মহাপরিচালক (General Director)
রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) (GRP) ডিআইজি (DIG)
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ডিআইজি (DIG)
পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট ডিআইজি (DIG)
ইমিগ্রেশন পুলিশ ডিআইজি (DIG)
সোয়াট ডিআইজি (DIG)
বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক ডিআইজি (DIG)
হাইওয়ে পুলিশ ডিআইজি (DIG)
এসএএফ (আর্মড ফোর্স) এসপি (SP)
ট্যুরিস্ট পুলিশ
শিল্পাঞ্চল পুলিশ ডিআইজি (DIG)
ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (CIU) ডিআইজি (DIG)
নৌ পুলিশ ডিআইজি (DIG)
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) ডিআইজি (DIG)
স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (SPB) ডিআইজি (DIG)

বিবিধ

বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম কি?
— ডিটেকটিভ

‘ডিটেকটিভ’ প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
— ১৯৬০ সালে।

আনআর্মড পুলিশ বা নিরস্ত্র পুলিশ বলতে কি বোঝায়?
— বিশেষ সশস্ত্র
বাহিনীতে নিযুক্ত নয় এরকম পুলিশ।

আর্মড পুলিশ কারা?
— পুলিশ লাইনে
নিযুক্ত বা এসএএফ-এর সদস্যবৃন্দ।

কয়েকজন পুলিশের নাম উল্লেখ করুন যারা
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিবেবে পরিচিত

আবুল খায়ের মুসলেহ উদ্দিন নাটক, গল্প, উপন্যাস
ধীরাজ ভট্টাচার্য চলচ্চিত্র নায়ক, লেকক
নওশাদ খন্দকার নাটক, গান
আবদুল খালেক নাটক, গান
আবু ইসহাক গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ

‘আমি যখন পুলিশ ছিলাম’ এর লেখক কে?
— ধীরাজ ভট্টাচার্য

পুলিশ
স্টেট কি?

— যখন কোনো রাষ্ট্রে নাগরিকগণ মৌলিক স্বাধীনতা (স্বাধীন মতামত প্রকাশ,
চিন্তা ও বিশ্বাস) হতে বঞ্চিত হয় তখন তাকে স্টেট বলা হয়।

পুলিশ
কর্মকর্তা আবুল খায়ের মোসলেহ উদ্দিনের কয়েকটি গ্রন্থের নাম লিখুন

— চিরকুট,
শালবনের রাজা, নেপথ্য নাটক, নল খাগড়ার সাপ, নারিন্দা লেন।

আলোচিত রুবেল
হত্যা মামলায় কোন পুলিশ অফিসারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়?

— পুলিশ অফিসার এস
আকরাম।

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ বাহিনী কবে গঠিত হয়?
— ১৮৩০ সালে।

বিচারকার্যের ক্ষেত্রে পুলিশের হাতে কি কি থাকে?
— ক. চার্জশীট –
এটি পাঠালে মামলা শুরু হয়।
— খ. ফাইনাল রিপোর্ট – এটি পাঠালে মামলা খারিজ হয়।

জাপানি পুলিশ চোরকে কি বলে সম্বোধন করে?
— দোব্রোবো সান (অর্থাৎ চার
সাহেব)

সরকার পুলিশ বাহিনীর সদস্যের ওপর নজরদারী করার লক্ষ্যে নতুন কোন
গোয়েন্দ ইউনিট গঠনের কাজ শুরু করেছে?

— কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

ক্রাইম কনফারেন্স কি?
— পুলিশ বাহিনী নিজেদের উন্নয়নে ও অপরাধ
কমানোর জন্য মাসিক যে সম্মেলন করে তাকে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স বলে।

ব্রিটেনে প্রথম কবে পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়?
— ব্রিটিশ প্রথম
প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ওয়ালপোলের আগ্রহে ১৮২৯ সালে পুলিশ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব
পার্লামেন্টে পাস হয়।

বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীতে নির্বাচনের মাপকাঠি
কি?

— দৈহিক উচ্চত, শারীরিক বিকাশ।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে
‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (CTTC)’ ইউনিট গঠিত হয় কবে?

— ১৬
ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা

নাম পূর্ণরূপ যে সংস্থার গোয়েন্দা
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID) Criminal Investigation Department (CID) বাংলাদেশ পুলিশ
বিশেষ শাখা (SB) Special Branch (SB) বাংলাদেশ পুলিশ
ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস ইউনিট Criminal Intelligence Analysis Unit বাংলাদেশ পুলিশ
ডিটেকটিভ অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ Detective and Criminal Intelligence Branch ঢাকা মহনগর পুলিশ
র‌্যাব ইন্টেলিজেন্স উইং RAB Intelligence Wing র‌্যাব
ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (FIU) Financial Intelligence Unit বাংলাদেশ ব্যাংক
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (CIU) Central intelligence Unit জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (DGFI) Directorate General of Forces Intelligence সামরিক বাহিনী
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) National Security Intelligence বাংলাদেশ সরকার
সামরিক গোয়েন্দা শাখা (বিভাগ) (DMI) Directorate of Military Intelligence সামরিক বাহিনী
ডিরেক্টরেট অব নেভাল ইন্টেলিজেন্স Directorate of Neval Intelligence বাংলাদেশ নৌবাহিনী
অফিস অব এয়ার ইন্টেলিজেন্স Office of Air Intelligence বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
বর্ডার সিকিউরিটি ব্যুরো Border Security Bureau বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

See More…..

বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – ৫ম পর্ব

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড

বাংলাদেশে কবে কোস্টগার্ড গঠন করা হয়?
— ১৯৯৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। আইন পাস হয়- সেপ্টেম্বর ১৯৯৪।

কোস্টগার্ড বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য কি?
— উপকূলের নিরাপত্তা ও নৌযানগুলোকে জলদস্যুদের হামলা থেকে রক্ষা করা।

বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমান্তের দৈর্ঘ্য কত?
— ৭১০ কিলোমিটার।

কোস্টগার্ডের কার্যক্রম শুরু হয় কবে?
— ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৫।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড-এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
— ঢাকায়।

কোস্টগার্ডের আঞ্চলিক অফিস কয়টি ও কোথায় অবস্থিত?
— ২টি; চট্টগ্রাম ও খুলনায়।

অপারেশন জাটকা কি?
— জাটকা নিধন বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃক পরিচালিত অভিযান।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)- এর বর্তমান নাম কি?
— বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB)

BGB-এর পূর্ণরূপ কি?
— Border Guard Bangladesh

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় কবে?
— ৮ ডিসেম্বর ২০১০।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন কবে?
— ২০ ডিসেম্বর ২০১০।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনে বিদ্রোহের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি কি?
— মৃত্যুদণ্ড।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কবে যাত্রা শুরু করে?
— ২৩ জানুয়ারি ২০১১।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রথম নাম কি ছিল?
— রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন (প্রতিষ্ঠা ২৯ জুন ১৭৯৫)

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) গঠিত হয় কবে?
— ৩ মার্চ ১৯৭২।

বাংলাদেশ রাইফেলস-এর প্রতীক কি?
— বিশেষ বেজমেন্টে আবদ্ধ ক্রস রাইফেলের ওপর শাপলা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সদর দপ্তর কোথায়?
— পিলখানা, ঢাকা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয় কত সালে?
— ৩ মার্চ ১৯৮০।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর কতজন সদস্যকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
— ২ জন (বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ)।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত সদস্য সংখ্যা কতজন?
— ১৪৯ জন (২ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৭ জন বীরউত্তম, ৩৬ জন বীরবিক্রম ও ১০৪ জন বীরপ্রতীক)

মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর কতজন সদস্য শহীদ হন?
— ৮১৭ জন।

ঢাকার পিলখানায় মর্মান্তিক বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত হয় কবে?
— ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) -এর সদস্যকে বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কতটি ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হয়?
— ৪টি। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড পদক’, ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (সেবা) পদক’, ও ‘প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড (সেবা) পদক’।

নাম সময়কাল
রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন ১৭৯৫ – ১৮৬১
ফ্রন্টিয়ার গার্ডস ১৮৬১ – ১৮৭৯
স্পেশাল রিজার্ভ কোম্পানি ১৮৭৯ – ১৮৯১
বেঙ্গল মিলিটারি-পুলিশ ১৮৯১ – ১৯২০
ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস ১৯২০ – ১৯৪৭
ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ১৯৪৭ – ১৯৭২
বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিয়ার) ১৯৭২ – ২০১১
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০১১ – বর্তমান

আনসার ও ভিডিপি

আনসার বাহিনী কবে গঠিত হয়?
— ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮

আনসার ও ভিডিপি দিবস কবে পালিত হয়?
— ১৬ ফেব্রুয়ারি।

VDP-এর পূর্ণরূপ কি?
— Village Defense Party.

আনসার আইন পাস হয় কবে?
— ১৯৪৮ সালে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে)

বাংলাদেশ আনসার রুলস প্রথম প্রণীত হয় কবে?
— ২০ আগস্ট ১৯৪৮

১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আনসার বাহিনীর কতজন সদস্য শহীদ হন?
— ৬৪৭ জন।

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর কতজন সদস্য বিশেষ খেতাবে ভূষিত হন?
— ১৪ জন (৬ জন বীরবিক্রম, ৮ জন বীরপ্রতীক)।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে মহিলা নিয়োগ করা হয় কবে থেকে?
— ১৯৭৬ সাল থেকে।

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসার একাডেমির বর্তমান নাম কি?
— আনসার ভিডিপি একাডেমি।

‘বাংলাদেশ আনসার বাহিনী আইন’ এবং ‘ব্যাটালিয়ন আনসার আইন’ পাস হয় কবে?
— ১৯৯৮ সালে।

বাংলাদেশের আনসার বাহিনীর সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয় কবে?
— ১৯৯৮ সালে।

বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – ৪র্থ পর্ব

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশ

(তথ্য আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত)

বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত হয়ে কার তত্ত্বাবধানে কাজ করে?
— জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী।

বর্তমানে শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান কত?
— চতুর্থ।

বাংলাদেশ পুলিশ এ যাবৎ জাতিসংঘের কতটি মিশনে অংশ নিয়েছে?
— ২২টি।

বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কত জন সদস্য কাজ করছে?
— ৬৫৪ জন।

বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের দলটিকে পাঠানো হয় কবে?
— ১৮ আগস্ট ১৯৯২।

কতজন পুলিশ সদস্য ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাতিসংঘ মিশন সম্পন্ন হয়েছে?
— ১৯,৬৬৮ জন।

হাইতি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের দলটিকে পাঠানো হয় কবে?
— ২ অক্টোবর ১৯৯৪।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মশনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ পুলিশের কত সদস্য শহিদ হন?
— ২১ জন।

বসনিয়ায় এক বছরের জন্য পুলিশ মনিটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ১০ জন অফিসারকে পাঠানো হয় কবে?
— ১৮ অক্টোবর ১৯৯৬।

অ্যাঙ্গোলা শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কতজন সদস্য প্রেরিত হয়?
— ৫ জন।

অ্যাঙ্গোলা শান্তিরক্ষা মশনে পুলিশ দলকে কবে পাঠানো হয়?
— ২১ অক্টোবর, ১৯৯৬।

সর্বশেষ কোথায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়?
— মালি।

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘের কতটি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত আছে?
— ৪টি দেশে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ দল কোন দেশে অংশগ্রহণ করে?
— পূর্ব তিমুর।

বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ দল কবে পূর্ব তিমুরে যাত্রা করে?
— ৭ ডিসেম্বর ২০০০।

বাংলাদেশ পুলিশ কবে ইন্টারপোলের সদস্য হয়?
— ১৯৭৬ সালে।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা

ইন্টারপোল (Interpol) কি?
— আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা।

ইন্টারপোল নামকরণ হয়েছে কিভাবে?
— Interpol নামকরণ করা হয়েছে International এর Inter এবং Police এর Pol নিয়ে।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির পুরো নাম কি?
— International Criminal Police Organization সংক্ষেপে ICPO

ইন্টারপোল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
— ১৯২৩ সালে।

ইন্টারপোলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ কতটি?
— ৫০টি।

প্রতিষ্ঠালগ্নে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায় ছিল?
— অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।

ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কখন ভিয়েনা থেকে প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়?
— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।

বর্তমানে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায়?
— ফ্রান্সের লিওঁতে।

ইন্টারপোল পরিচালিত হয় কোন কমিটির মাধ্যমে?
— ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি’ নামক একটি কমিটির মাধ্যমে।

ইন্টারপোলের প্রধান কাজগুলো কি কি?
— সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অপরাধ বিষয়ক বিবিধ তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, মাদকদ্রব্যের চোরাচালান এবং অন্যান্য আন্তঃমহাদেশীয় অপরাধ সম্পর্কিত খবরাখবর বিনিময়।

বাংলাদেশ পুলিশ কবে ইন্টারপোলের সদস্য হয়?
— ১৯৭৬ সালে।

ICPC কি?
— একটি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা।

ইন্টারপোলের অফিসিয়াল ভাষা কয়টি ও কি কি?
— চারটি। যথা- ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ ও আরবি।

ইন্টারপোলের সদস্য দেশের সংখ্যা কত?
— ১৯৪টি।

ইন্টারপোল কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম কি?
— International Criminal Police Review

স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ

ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধটি কি উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়?
— ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকবাহিনীর আক্রমণে নিহত পুলিশের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ কখন শেষ হয়?
— ১৯৮৯ সালে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধটির স্থপতি কে?
— মোস্তফা হারুন কদ্দুস হিলি।

স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত পুলিশ কতজন?
— ২ জন (বীরপ্রতীক)।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)

সন্ত্রাস দমনে এলিট বাহিনী র‌্যাব কবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে?
— ২৬ মার্চ ২০০৪।

কোন অধ্যাদেশ সংশোধন করে র‌্যাব গঠন করা হয়?
— ১৯৭৯ সালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশ।

র‌্যাব কার অধীনে গঠন করা হয়?
— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে।

কোন কোন বাহিনীর সমন্বয়ে র‌্যাব গঠিত?
— সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড।

র‌্যাব কবে থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশন শুরু করে?
— ২১ জুন ২০০৪।

র‌্যাবের স্নোগান কি?
— বাংলাদেশ আমার অহংকার।

RAB-এর পূর্ণরূপ কি?
— Rapid Action Battalion

র‌্যাব বিধি অনুসারে কোন বাহিনীর কত শতাংশ জনবল নিয়ে র‌্যাব গঠিত হবে?
— পুলিশ ৪৪%, সশস্ত্রবাহিনী ৪৪%, বিজিবি ৬%, আনসার ও বিজিপি ৪%, কোস্টগার্ড ১% এবং বেসামরিক প্রশাসন থেকে ১%।

র‌্যাবের প্রথম মহাপরিচালক কে?
— আনোয়ারুল ইকবাল।