মডিউল-৪/সেশন-৭
প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি চিকিৎসা সেবা
দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া বিশ্বজুড়ে কত নাম্বার স্থানে রয়েছে? — তৃতীয় স্থানে।
মোট দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর কত % পানিতে ডুবে মারা যায়? — ৭%।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর আনিমানিক কত লক্ষ মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়? — ৩ লক্ষ ৭২ হাজার।
প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগী যদি নিশ্বাস না নেন তাহলে কি করতে হবে? — পালস দেখতে হবে।
বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে যেসব সহায়কদ্রব্য ক্ষত সারাতে ও ক্ষতকে বাইরের আঘাত হতে রক্ষা করতে ব্যবহিত হওঁয় তাকে কি বলে? — সার্জিক্যাল ড্রেসিং।
উপাদান, প্রস্তুতপ্রণালী ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সার্জিক্যাল ড্রেসিংসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৫ ভাগে।
সার্জিক্যাল ড্রেসিংসমূহকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়-
— গজ
— ব্যান্ডেজ
— লিন্টস
— প্লাস্টার
— স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং
গজ হলো এর ধরনের — শোষক (Absorbent)
ড্রেসিং হলো — তুলা (Cotton Fabrics) হতে তৈরি করা কাপড় বিশেষ।
ড্রেসিং এর মাপ সাধারণত কেমন হয়ে থাকে? — প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৪x৩৬ হতে ২০x১২ সুতা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ওষুধযুক্ত গজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
— বোরিক এসিড গজ (এতে ৩-৭% বোরিক এসিড থাকে)
— ডাবল সায়ানাইড গজ (এতে মারকারি সায়ানাইড ০.৫-১.৫% এবং জিঙ্ক সায়ানাইড ১.৫-৩.০% থাকে)
— আয়োডোফর্ম গজ (এতে আয়োডোফর্ম ৪-৬% থাকে)
— ট্রাইনাইট্রোফেনল গজ (এতে ১.৫-২.৫% ট্রাইনাইট্রোফেনল থাকে)
— ক্যাপসিকাম টিস্যু।
লিন্ট কি? — লিন্ট হলো তুলার ফেব্রিক দ্বারা ওষুধযুক্ত বা ওষুধবিহীন বিশেষ।
ওষুধযুক্ত লিন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনগুলো? — ৩-৭% বোরিক এসিড লিন্ট এবং ০.১% ইউফ্লেভিন লিন্ট।
জিঙ্ক অক্সাইড প্লাস্টার এ কত % জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত থাকে? — ২০-৩০%।
স্থিতিস্থাপক আঠালো প্লাস্টার এ কত % জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত থাকে? — ২০-৩০%।
প্লাস্টার অব প্যারিস কত % ক্যালসিয়াম সালফেটের মাধ্যমে চামড়ার সাথে যুক্ত থাকে? — ৮০%।
স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিংগুলো কত নম্বর পর্যন্ত হয়ে থাকে? — বি.পি.সি. ১ হতে ১৬ নম্বর পর্যন্ত।
আগুনে পোড়াজনিত বা আগুনের ব্যান্ডেজ হিসাবে ব্যবহিত হয় কত নাম্বার স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং? — ১০ নাম্বার।
বিশেষভাবে আগুনে পোড়ার ব্যান্ডেজ হিসাবে পরিচিত কোন স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং গুলো? — ১১ এবং ১২ নাম্বার।
স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নাম্বার ১১ এবং ১২ কিসের ব্যান্ডেজ হিসাবে ব্যবহিত হয়? — হাত, পা বা আঙ্গুলের ব্যান্ডেজ হিসাবে।
ক্ষতের ড্রেসিং হিসাবে পরিচিত কোন স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং গুলো? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নাম্বার ১৩, ১৪, ১৫।
স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নাম্বার ১৬ কি নামে পরিচিত? — চোখের প্যাড নামে পরিচিত।
সার্জিক্যাল সুচারস কি? — এক ধরনের তন্তু বা সুতা।
সার্জিক্যাল সুচারস কি কাজে ব্যবহিত হয়? — ক্ষত সেলাইয়ের কাজে।
সার্জিক্যাল সুচারস কয় ধরনের? — ২ধরনের। (শোষণযোগ্য এবং অশোষণ্যোগ্য)।
শোষণযোগ্য সুচারস কি দিয়ে তৈরি? — আমিষ জাতীয় উপাদান।
সাধারণ ক্যাটগাট শোষিত হতে কত দিন সময় লাগে? — ৩ থেকে ৫ দিন।
ক্রোমিক ক্যাটগাট শোষিত হতে কতদিন সময় লাগে? — ১০ থেকে ৪০ দিন।
কোন সুচারস গুলো কোষীয় এনজাইম দ্বারা পরিপাক হয় না? — অশোষণযোগ্য (Non-absorbable)
ক্ষত সেরে যাওয়ার পরে কোন সুচারস সরিয়ে ফেলা হয়? — অশোষণযোগ্য (Non-absorbable)
অশোষণযোগ্য (Non-absorbable) এর উদাহরণ হচ্ছে — সিল্ক, নাইলন, তুলা, স্টেইনলেস স্টিল তার ইত্যাদি।
যার প্রাথমিক সেবা দেওয়ার প্রশিক্ষণ আছে তাকে কি বলা হয়? — প্রাথমিক সেবা দানকারী।
একটি ব্যাগ বা বাক্স যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ওষুধ ও জিনিসপত্র থাকে তাকে কি বলে? — ফাস্ট এইড বক্স/কিট।
প্রাথমিক সেবাদানকারীর ভূমিকা কি?
— প্রথমে রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করা,
— তাকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া এবং
— দ্রুত একজন পেশাদার ডাক্তারের নিকট পাঠিয়ে দেয়া।
আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষত এলাকা পরিস্কার করার জন্য কি ব্যবহার করা হয়? — হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড।
ব্যান্ডেজ করার সময় ক্ষত স্থানের উপর কি ব্যবহার করা হয়? — কটন গজ।
ক্ষতস্থানকে ঢেকে দেয়ার জন্য কি ব্যবহার করা হয়? — বিভিন্ন মাপের প্লাস্টার।
আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি যার রক্তে চিনি বা শর্করার পরিমাণ কমে গেছে তাদেরকে কি দেওয়া হয়? — গ্লুকোজ।
একটি কাঠের টুকরা যা হাতের বা পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে তাকে সোজা ও সঠিকভাবে রাখতে সহায়তা করে তাকে কি বলে? — স্প্লিন্ট।
ব্যান্ডেজ এর উপকারিতা গুলো কি কি?
— ফোলা কমাতে বা না নাড়াতে সাহায্য করে,
— হাত পা বা তার ঘোড়াগুলোকে সাপোর্ট দেয়,
— নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে,
— ড্রেসিং এ চাপ দিয়ে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
মনে রাখুন: সবচেয়ে গুরুতর ব্যক্তিকেই প্রথম প্রাথমিক সেবা দিতে হবে। জরুরি রোগীকে প্রাথমিক সেবা দেয়ার সময় উজ ABC কে মনে রাখুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
— Danger – বিপদের গুরুত্ব মূল্যায়ন করুন।
— Response – সাড়া দিচ্ছেন কিনা।
— Airway – শ্বাসনালী খোলা আছে কিনা।
— Breathing – শ্বাস/নিশ্বাস প্রশ্বাস চলছে কিনা।
— Circulation – রক্ত চলাচল স্বাভাবিক আছে কিনা।
৩০ বার বুকের উপর চাপ দেয়ার পর পরই মুখে মুখে ২ বার শ্বাস দেওয়ার মাধ্যমে ১টি চক্র (Cycle) পূর্ণ হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় Cardio Palmonary Resuscitation (CPR)
মস্তিষ্কে দুর্বল রক্ত সরবরাহের কারণে সাময়িকভাবে জ্ঞান হারানোকে অজ্ঞান হওয়া বলে যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এই সময় যা করতে হবে —
— অজ্ঞান রোগীকে চিৎ করে শুইয়ে দিন।
— পরিধেয় কাপড়ের বন্ধনীগুলো খুলে ঢিলা করে দিন। বিশেষ করে কোমর এবং গলার।
— রোগীর পা গুলো উঁচু করে বালিশের উপরে রাখুন যাতে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো কি কি? — গরম পানি, জলন্ত আগুন বা কয়লার চুলা, গরম ইস্ত্রি, জলন্ত মোমবাতির সংস্পর্শে আসা।
বড়দের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো — রান্নার গরম তাওয়া বা প্যান, গরম ইস্ত্রি, ঘরে আগুন লাগা, এসিড জাতীয় তরল পদার্থ, গরম পানি, রান্নার সময় আগুনের সংস্পর্শে আসা।
পুড়ে যাওয়া বা ঝলসে যাওয়া রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্য গুলো হলো-
— ত্বকের উপর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য,
— ব্যথা কমানোর জন্য,
— শরীরের পানি কমে যাওয়ার হার কমানো এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য।
তীব্রতা অনুযায়ী পুড়ে যাওয়া কয় ধরনের হয়ে থাকে? — ৩ ধরণের।
প্রথম ডিগ্রি পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং চিহ্নসমূহ-
— শুধুমাত্র ত্বকের উপরিভাগ পুড়ে যায়,
— ত্বক লালচে হয়ে যায়,
— ফুলে যায় এবং স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভূত হয়,
— তাড়াতাড়ি সেরে উঠে,
— পুড়ে যাওয়া ত্বক উঠে আসতে পারে।
দ্বিতীয় ডিগ্রী পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং চিহ্নসমূহ-
— ত্বকের উপরিভাগের সাথে সাথে ভিতরের স্তরও পুড়ে যায়,
— ফোস্কা পড়া,
— ত্বক লাল হবে এবং ব্যথা থাকবে।
তৃতীয় ডিগ্রি পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং চিহ্নসমূহ-
— ত্বকের সকল স্তর পুড়ে যাওয়া,
— স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হালকা ব্যথা বা কোনো ব্যথা অনুভূত না হওয়া।
২য় বা ৩য় ডিগ্রি পোড়া রোগীকে কি করতে হবে? — দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে পোড়া স্থানে কোন কিছু আটকে গেলে তা সরানো যাবে না (যেমন পোড়া কাপড়); ফোস্কাগুলো ফুটো করা যাবে না। এবং ক্ষতস্থান হাত দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না। এতে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থাকে।
শরীরের যে কোন হাড়ই ভাঙ্গতে পারে কিন্তু হাত পা পায়ের হাড়গুলো ভাঙ্গার প্রবণতা তাদের আকৃতির কারণেই বেশি থাকে। সাধারণত দুই ধরণের হাড়ভাঙ্গা পাওয়া যায়।
— সাধারণ (Simple) হাড়ভাঙ্গা,
— জটিল (Compound) হাড়ভাঙ্গা।
হাড় তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গেলে তাকে কি বলে? — ডিসলোকেশন।
সাধারণত কোন স্থানের হাড় ডিসলোকেশন হয়? — কাঁধ, গোড়ালি এবং কোমরের জোড়ার হাড়।
মৌমাছির হুল ফোটার জায়গায় হুল সরিয়ে ফেলার পর অন্তত কত মিনিট বরফ চেপে ধরে রাখতে হবে/ ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে? — ১০ মিনিট।
যে কোন প্রাণীর কামড়ের ক্ষেত্রে কিসের ঝুঁকি থাকে? — ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
কুকুর, বানর, বাদুড় ইত্যাদি কামড় দিলে কি টিকা নিতে হবে? — র্যাবিস টিকা।
রোগী যদি এসিড বা জারক জাতীয় বিষ সেবন করে তাহলে কি করতে হবে? — অল্প অল্প পানি বা দুধ পান করতে দিন।
যদি কোন কেমিক্যালের কারণে রোগীর শরীর পুড়ে যায় তাহলে কি করতে হবে? — ২০ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।
ওষুধবিহীন গজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
— শোষক গজ (Absorbent Gauze),
— শোষক ফিতা গজ (Absorbent Ribbon Gauze),
— শোষক টিস্যু গজ (Absorbent Gauze Tissue),
— সেলুলোজ টিস্যু (Cellulose Tissue)
তুলা বা এর সাথে উলের সংমিশ্রণে তৈরি বিশেষ কাপড়কে কি বলে? — ব্যান্ডেজ।
প্রস্তুত প্রণালী অনুযায়ী ব্যান্ডেজকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৪ ভাগে।
প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর যদি কোন পালস না থাকে তব্র কি করতে হবে? — CPR আরম্ভ করতে হবে।
শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এমন রোগীর মাথার নিচে কেন বালিশ দেয়া যাবে না? — শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে থাকলে তাকে — মুখে কিছু খেতে দেওয়া যাবে না।
নিচের সমস্যাগুলোতে প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করবেন-
— নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ,
— নাকের ছিদ্র দিয়ে কোনো কিছু ঢুকে গেলে,
— কানের ভিতর কিছু ঢুকে গেলে,
— বিভিন্ন ধরণের ক্ষত,
— কামড় বা হুল ফোটানো,
— পুড়ে যাওয়া,
— বিষক্রিয়া,
— ভাঙ্গা, মচকা বা জোড়া স্থানচ্যুত হওয়া ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসার ইংরেজি প্রতিশব্দ কি? — First Aid
প্রাথমিক চিকিৎসা কে দিতে পারবেন? — প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি।
First Aid বক্সটি নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন কেন? — মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে ফেলার জন্য।
First Aid বক্সের সার্জিক্যাল ব্লেডের কাজ কি? — আঘাত বা ক্ষতের ত্বক বা চামড়া কাটা।
First Aid বক্সের হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কাজ কি? — আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষত এলাকা পরিস্কার করা।
First Aid বক্সের লিনিমেন্টের কাজ কি? — ক্ষত বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ব্যথা কমানো।
First Aid বক্সের থার্মোমিটারের কাজ কি? — শরীরের তাপমাত্রা মাপা।
First Aid বক্সের গ্লুকোজের কাজ কি? — আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির শক্তির চাহিদা পূরণ।
First Aid বক্সে নিচের কোনটি সাধারণ থাকে না? — এন্টিক্যান্সার ড্রাগ।
First Aid বক্সের স্প্লিন্ট এর কাজ কি? — হাত বা পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে সোজা রাখা।
নিচের কোনটি প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সের উপকরণ নয়? — ছুরি।
First Aid বক্সের কটনগজ এর কাজ কি? — ব্যান্ডেজ করার সময় ক্ষতের উপর ব্যবহার করা।
কাটা বেশি হলে প্রথমেই আহত ব্যক্তিকে রক্তপাত বন্ধের জন্য কি করতে হবে? — শুইয়ে দিতে হবে।
সি.পি.আর দেওয়ার সময় প্রতি মিনিটে ___ করে আনুমানিক ___ গভীরতায় বুকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। — ১০০টি, ২ইঞ্চি।
গভীর ক্ষতস্থানে কি সরাসরি দেওয়া যাবে না? — স্যাভলন বা ডেটল।
রক্তপাত সম্পর্কে কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — সাধারণ কাটায় প্রচুর রক্তপাত হয়।
গভীর ক্ষত স্থানে কি দ্বারা চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে? — জীবাণুমুক্ত গজ বা ড্রেসিং।
রক্তপাতের ক্ষেত্রে কোন কাজগুলি করা যাবে না?
— ক্ষত স্থানে নিজে সেলাই করা যাবে না,
— ক্ষতে ডেটল লাগানো যাবে না,
— ক্ষত স্থানে কিছু আটকে থাকলে তা টেনে তুলে ফেলা যাবে না।
ক্ষত স্থানে কাচের টুকরো গভীর ভাবে আটকে থাকলে তা টেনে তুলে ফেলা যাবে না, কারণ এতে — অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত হতে পারে।
নাক দিয়ে রক্তক্ষরণের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ কি কি?
— মাথাকে সামনের দিকে ঝুকিয়ে রাখতে বলা,
— রোগীকে নিরাপদে এবং আরামে বসার ব্যবস্থা করা,
— দু আঙ্গুলে নাকে চেপে ধরতে বলা ও মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ।
রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ নয় কোনটি? — গভীর ক্ষত নিজে নিজে পরিষ্কার ও সেলাই করা।
অধিক রক্ত ক্ষরণের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ নয় নিচের কোনটি? — কোন বস্তু বিঁধে থাকলে তা টেনে বের করা।
দুর্ঘটনা স্থলের চারপাশে প্রচুর জনসমাগমের কারণ কি? — কৌতুহল বসত অথবা দাড়িয়ে দেখা।
নিচের কোনটি রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ নয়? — বেশি আহত ব্যক্তিকে বসিয়ে রাখতে হবে।
অধিক রক্ত ক্ষরণের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
— ক্ষতটি হাত বা পায়ের হলে উচুতে ধরে রাখুন এবং হাসপাতালে স্থানান্তর করুন,
— জীবানুমুক্ত গজ বা ড্রেসিং দিয়ে ক্ষত স্থানটি চেপে ধরুন,
— আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিন।
রক্তপাত সম্পর্কে কোন তথ্যটি সঠিক? — রক্তপাতের ফলে আহত ব্যক্তি দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে।
গভীর ক্ষতের ক্ষেত্রে কি কি ধারণা একেবারেই সঠিক নয়?
— প্রাথমিক চিকিৎসাই যথেষ্ট,
— রক্তপাত কমে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে,
— ক্ষত সেলাই করা খুব একটা প্রয়োজন নেই।
প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— রোগীর শারিরিক অবস্থার অবনতি না ঘটে সেজন্য,
— আঘাত প্রাপ্ত, আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জীবন বাঁচানো,
— ব্যথা ও রক্তপাত কমানো এবং সংক্রমন প্রতিরোধ।
নিচের কোন ওষুধটি প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে থাকার দরকার নেই? — ডায়াজিপাম।
প্রাথমিক সেবাদানকারীর ভূমিকা কি কি?
— দ্রুত পেশাদার চিকিৎসকের নিকট পাঠানো,
— রোগীর প্রাথমিক অবস্থা পর্যালোচনা,
— তাৎক্ষনিক সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়া।
অল্প কাটা কম ক্ষত সমূহের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
— গজ দিয়ে ১০ মিনিট ক্ষতের স্থানে চেপে ধরে রাখুন,
— ময়লা বা নোংরা কিছু থাকলে জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে জীবানুমুক্ত ড্রেসিং দিয়ে ক্ষত স্থান্টি ঢেকে দিন,
— কয়েক মিনিট ক্ষত থেকে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত ঝরতে দিন।
একজন ব্যক্তি যিনি অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য করেন এবং সমবেদনা জানান তাকে কী বলা হয়? — ভালো সামারিটান।
কোন তথ্যটি সঠিক? — কলকারখানা ও বাসায় ব্যবহিত প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স ভিন্ন হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স সম্পর্কে কোনটি সঠিক নয়? — বাক্সের সুনির্দিষ্ট তালিকা অনুযায়ী সরঞ্জামাদি থাকবে।
পোড়ার ডিগ্রি কত ভাগে ভাগ করা যায়? — ৩ ভাগে।
প্রথম ডিগ্রি পোড়ার লক্ষণ কি কি?
— ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া,
— ত্বকের উপরিভাগ পুড়ে যায়,
— ত্বক ফুলে যায় ও স্পর্শ করলে ব্যথা হয়।
দ্বিতীয় ডিগ্রির পোড়ার লক্ষণ কি কি?
— ত্বক লাল হবে এবং ব্যথা থাকবে,
— ত্বকের উপরিভাগের সাথে সাথে ভিতরের স্তরও পুড়ে যায়,
— ফোস্কা পড়া।
দ্বিতীয় ডিগ্রির পোড়াকে সাধারণ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে কখন?
— ক্ষত ৩ ইঞ্চির বেশি না হওয়া,
— যদি ফোস্কা না গলে যায়।
শুকনো তাপের সংস্পর্শে ত্বকের যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে কি বলা হয়? — পুড়ে যাওয়া।
গরম বাস্পের কারণে ত্বকের যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে কি বলা হয়? — ঝলসে যাওয়া।
বড়দের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ গুলো কি কি?
— এসিড জাতীয় তরল পদার্থ,
— গরম পানি বা ইস্ত্রি বা ঘরে আগুন লাগা,
— রান্নার গরম তাওয়া বা প্রেন বা আগুনের সংস্পর্শে।
শিশুদের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো কি কি?
— জ্বলন্ত আগুন বা কয়লার চুলা,
— জ্বলন্ত মোমবাতির সংস্পর্শে আসা,
— গরম পানি বা ইস্ত্রি।
পুড়ে যাওয়া বা ঝলসে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— শরীরের পানি কমে যাওয়ার হার কমানো এবং সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য,
— ত্বকের উপর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য,
— ব্যথা কমানোর জন্য।
পোড়ার ডিগ্রি কত? — শরীরে কতটুকু অংশ পুড়েছে তার মাত্রা নির্ধারণ করা।
দ্বিতীয় মাত্রায় পোড়ায় সৃষ্টি ক্ষত সারতে সময় লাগে — তৃতীয় সপ্তাহ।
পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসায় কি কি করা যাবে না?
– তোয়াল বা সাধারণ তুলা বা কম্বল দিয়ে ক্ষত স্থান ঢেকে দেওয়া যাবে না,
– চর্বি, চিনি বা রান্নার তৈল পোড়া জায়গাতে লাগানো যাবে না,
– পোড়া স্থানে কোন কিছু আটকে গেলে তা সরানো যাবে না।
কোন পোড়ায় ত্বকের সকল স্তর এমনকি অস্থি পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে? — তৃতীয় ডিগ্রি।
পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
— পোড়া অংশের উপর জীবানুমুক্ত গজ বা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে,
— পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আগুনের উৎস থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হবে,
— ঠান্ডা পানি ঢেলে পুড়ে যাওয়া অংশ শীতল করতে হবে।
তৃতীয় ডিগ্রি পোড়ার লক্ষণ কি?
— স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় হালকা ব্যথা বা কোন ব্যথার অন্তর্ভূক্ত না হওয়া,
— ত্বকের সকল স্তর পুড়ে যাওয়া,
— স্নায়ু ও রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া।
ভাঙ্গা হাড় চামড়া বেদ করে বেরিয়ে পড়লে এবং তাতে ময়লা লেগে থাকলে কি করা উচিত? — ফুটানো ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।
হাড় ভাঙ্গার প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
–হাত ভেবগে গেলে সেই সাথে স্প্রিং দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া,
—ভাঙ্গা অংশের সমান দৈর্ঘের একটি কাঠের টুকরা বেঁধে দেওয়া,
— ভাঙ্গা পা সুস্থ্য পায়ের সাথে বেঁধে হাসপাতালে প্রেরণ।
শিশুদের ক্ষেত্রে হাড় ভাঙ্গার কারণ কি কি?
— ফুটবল খেলা বা মারামারি,
— সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা,
— গাছ থেকে পড়ে যাওয়া বা গর্তে পড়ে যাওয়া।
হাড় ভাঙ্গা সাধারণত কয় প্রকার? — ২ প্রকার।
বড়দের ক্ষেত্রে হাড় ভাঙ্গার কারণ কি কি?
–মারামারি,
–বয়স্ক মহিলাদের হাড়ের ক্ষয়জনিত,
–দুর্ঘটনা।
হাড় ভাঙ্গার প্রাথমিক চিকিৎসার সময় নিচের কি কি করা যাবে না?
— সাধারণ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ জোরে চেপে বাধবেন না,
— ভাঙ্গা হাত বা পা সোজা করার চেষ্টা করা যাবে না,
— চিকিৎসক না দেখা পর্যন্ত কোন কিছু খেতে বা পান করতে পারবে না।
হাড়ের ডিসলোকেশন সাধারণত শরীরের কোন অংশে হয়? — গোড়ালী, কোমরের জোড়াতে, কাঁধে।
হাড় ভাঙ্গার লক্ষণ কি কি?
—ব্যথা ও ভাঙ্গার স্থান ফুলে যাওয়া বা বেকে বা মচকে ঘুরে যাওয়া,
— ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ এবং নড়াচড়া করতে অসুবিধা,
— ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি আকারে বিকৃতি হওয়া।
হাড় তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গেলে তাকে কি বলা হয়? — ডিসলোকেশন।
হাড় ডিসলোকেশনের লক্ষণ কি কি?
— আঘাতপ্রাপ্ত অংশের নড়াচড়া করতে সমস্যা,
— তীব্র ব্যথা ও অস্থিরতা,
— আঘাতপ্রাপ্ত জয়েন্টের চারপাশ ফুলে যাওয়া।
পানিতে ডুবে যাওয়া এর ইংরেজি পরিভাষা নিচের কোনটি? – Drowning
হাড় ডিসলোকেশনের প্রাথমিক চিকিৎসার কি কি?
– আঘাত প্রাপ্ত অংশে বরফ দেওয়া,
– আঘাত প্রাপ্ত অংশে নড়াচড়া বন্ধ করা,
– আঘাত প্রাপ্ত অংশের জন্য সাপোর্টের ব্যবস্থা করা।
মোট দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর শতকরা কত শতাংশ পানিতে ডুবে মারা যায়? – ৭%।
বাংলাদেশে ১-৪ বছরের শিশুদের মধ্যে সকল মৃত্যুর শতকরা কত ভাগ পানিতে ডুবে মারা যায়? — ৪৩ ভাগ।
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর আনুমানিক কি পরিমাণ মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়? — তিন লক্ষ বাহাত্তর হাজার।
পানিতে ডুবে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার সময় কি কি করা যাবে না?
–রোগীকে কোন কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা যাবে না,
–পানি বের না হওয়া পর্যন্ত কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া যাবে না,
–সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকলে ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে যাবেন না।
পানিতে ডুবা রোগীর ক্ষেত্রে নিচের কোন কাজটি করা যাবে না? — কোন কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা যাবে না।
কোন কাজটি না করে পানিতে ডুবা ব্যক্তিকে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দেয়া যাবে না? — পেটের পানি বের করে দিতে হবে।
পানিতে ডুবা রোগীর কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে আর কোন কোন বিষয়ের উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন? — হৃদস্পন্দনের দিকে।
পানিতে ডুবন্ত ব্যক্তি প্রাথমিক অবস্থায় জ্ঞান হারায় এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করে কেন? — অক্সিজেনের অভাবে।
নিচের কোন তথ্যটি পানিতে ডুবা রোগীর জন্য সঠিক? — পানি বের করার সময় নিজের হাটুতে ভর দিয়ে বসতে হবে।
কোন রোগটি দ্বারা পানিতে ডুবা রোগীর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? — নিউমোনিয়া।
এলার্জির লক্ষণ কোনটি? — চুলকানো।
এলার্জেন কি? — এলার্জি সৃষ্টিকারী বস্তু।
নিচের কোনটি সাধারণ এলার্জেনের উদাহরণ নয়? — বই-খাতা।
এলার্জির প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— আক্রান্ত স্থানে বরফ বা ঠান্ডা স্যাক দেওয়া,
— শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করা,
— এনার্জির কারণ চিহ্নিত করা এবং উৎস হতে দূরে থাকা।
এলার্জির প্রাথমিক চিকিৎসার সময় যে কাজগুলি করা যাবে না-
— শ্বাসকষ্ট হলে রোগীর মাথার নিচে বালিশ দেওয়া যাবে না,
— কখনোই মনে করা যাবে না এনার্জির টিকা দিলে সম্পূর্ণ নিরাপদ,
— শ্বাসকষ্ট হতে থাকলে রোগীর মুখে কিছু খেতে দেওয়া যাবে না।
এলার্জি জনিত শ্বাসকষ্ট হলে কি করা যাবে না?
— রোগীর মাথার ইচে বালিশ দেওয়া যাবে না,
— স্বাভাবিক ঘটনা মনে করা যাবে না,
— রোগীকে খেতে দেওয়া যাবে না।
এলার্জির ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — একই এলার্জেন দ্বারা সবাই আক্রান্ত।
এনার্জির প্রাথমিক চিকিৎসা নয় কোনটি? — রোগীকে শুইয়ে রাখা।
শ্বাস কষ্টের কারণ নয় কোনটি? — হাড়ভাঙ্গা।
হুল ফোটানো বা কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— হুল ফোটার জায়গায় দশ মিনিট বরফে চাপ দেওয়া,
— হুলগুলো শরীর থেকে বের করার জন্য প্রয়োজনে চিমটা ব্যবহার,
— রোগীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে কম্বল বা চাদর দিয়ে ঢাকা।
এক ঝাঁক মৌমাছির আক্রমণে মানুষের শরীরে কি ঘটতে পারে? — তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করতে পারে।
আমাদের দেশে কোন জাতীয় পোকা মাকড়ের কামড় খুব সাধারণ ঘটনা? — মৌমাছি ও বোলতা।
জীবজন্তুর কামড়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি কারণ নিচের কোনটি সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে? — ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস।
মৌমাছি ও বোলতা কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কি করা উচিত?
— আক্রান্ত ব্যক্তিকে উত্তেজিত করা,
— আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
জীবজন্তুর কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— গ্লাভস পরিধান করে কামড়ের স্থানটি সাবান পানি দিয়ে ধোয়া,
— রক্তক্ষরণ থাকলে চাপ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা,
— জীবাণুমুক্ত গজ দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দিয়ে হাসপাতালে প্রেরণ।
সাপে কাটা রোগীর ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — রোগীর প্রচুর পানি পিপাসা পায়।
সাপের কামড়ে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার সময় কি কি করা যাবে না?
— কোন কেমিক্যাল বা ইনজেকশন বা বরফ দেয়া যাবে না,
— ক্ষত স্থানটিতে কাটা বা মুখ লাগিয়ে চোষা যাবে না,
— টরনিকুয়েট জাতীয় রক্ত চলাচল বন্ধ করার বাঁধন বাধা যাবে না।
লোকালয়ে কোন কোন জীবজন্তুর কামড়ের ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে?
— কুকুর ও বিড়াল,
— শেয়াল ও বানর,
— সাপ ও বাদুর।
জীবজন্তুর কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো,
— রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ,
— প্রয়োজনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে স্থানান্তর।
মৌমাছি ও বোলতার পেছনে অবস্থিত হুলে কি থাকে? — এক ধরণের বিষ।
সাপের কামড়ে রোগীর সাধারণ উপসর্গসমূহ কি?
— ঝাপসা দেখা, ঘুম ঘুম ভাব, রক্তচাপ কমে যাওয়া এবং জ্বর,
— শ্বাসকষ্ট, খিচুনি, বমিবমি ভাব এবং ডায়রিয়া,
— রক্তক্ষরণ, দংশনের স্থানে দাঁতের চিহ্ন, ত্বকের রং পরিবর্তন।
বিষ এক ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য যা পদার্থের কোন অবস্থায় পাওয়া যায়? — কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত বিষধর সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম সাপ কোনগুলো? — গোখরা ও কেউটে।
বিষক্রিয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— বিষ শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা,
— শ্বাসনালী খোলা রাখা,
— নিঃশ্বাস প্রশ্বাস এবং রক্ত সঞ্চালন চালু রাখা।
বাংলাদেশে সাধারণত কোন সময় প্রচুর সাপেকাটা রোগী পাওয়া যায়? — গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে।
নিচের কোনটি অশোষণযোগ্য সূচারসের উদাহরণ? — ওয়ার্মগাট, নাইলন, সিল্ক।
সাপে কামড়ের রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— সাবান ও পানি দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালোভাবে ধুইয়ে দিন,
— শুইয়ে রাখতে হবে যাতে ক্ষতস্থানটি হৃদপিণ্ডের লেবেলে থাকে,
— ক্ষতস্থানটি ব্যান্ডেজ করে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।
আত্মহত্যার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কোনগুলো? — কীটনাশক ও ঘুমের ওষুধ।
কোন সাপের বিষ নেই? — ঢোঁড়া।
শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে বিষাক্ত গ্যাস গ্রহণ করার রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— বিষাক্ত গ্যাসের উৎস থেকে সরিয়ে ফেলুন,
— শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাস দেয়া শুরু করুন,
— শ্বাস প্রশ্বাস চলতে থাকলে তাকে চিৎ করে শুইয়ে দিন।
বিষধর সাপ কামড়ানোর স্থানে — দুটি দাঁতের দাগ স্পষ্ট দেখা যাবে।
গৃহস্থালিতে কোন ধরণের বিষ পাওয়া যায় না? — পটাসিয়াম সায়ানাইড
লিকুইড জাতীয় বিষ মুখে খেয়ে ফেললে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— রোগীর জ্ঞান থাকলে কি সেবন করেছে তা বের করার চেষ্টা করুন, বমি করানোর চেষ্টা করবেন না,
— রোগী অজ্ঞান হলে তাকে সমতলে চিৎ করে শুইয়ে দিন,
— এসিড বা জারক জাতীয় বিষ সেবন করলে তাকে পানি বা দুধ পান করতে দিন।
কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — রোগীকে বেশি বেশি করে মুখে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
বিষাক্রান্ত হওয়া রোগীর সাথে কি করা উচিত নয়? — অজ্ঞান রোগীকে বমি করানোর চেষ্টা করতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় কতটি দুর্ঘটনার নাম উল্লেখ আছে? — ৯ টি।
বিষাক্ত ইনজেকশন নিয়ে থাকলে এমন রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— অজ্ঞান হলে চিৎ করে শুইয়ে DR ABC পদক্ষেপ অনুসরণ করুন,
— জ্ঞান থাকলে চিৎ করে শুইয়ে DR ABC পর্যবেক্ষণ করুন,
— ইনজেকশন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করুন।
বিষাক্ত কিছু গায়ে লেগে থাকলে এমন রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার কি?
— প্রচুর পরিমাণে পানি ঢেলে বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে ফেলুন,
— শরীর পুড়ে গিয়ে থাকলে বিশ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালুন,
— অজ্ঞান হলে চিৎ করে শুইয়ে DR ABC পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।
শরীরের ভিতরে হঠাৎ তীব্র মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহ হয়ে গেলে তাকে কি বলে? — ইলেকট্রিক শক।
তড়িতাহিত ব্যক্তিকে কি কি করা যাবে না?
— খোলা হাতে স্পর্শ করা যাবে না,
— ভেজা কাঠ বা বাশ দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তড়িৎ প্রবাহ থেকে আলাদা করা।
তড়িতাহিত ব্যক্তির দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না হলে কি ঘটতে পারে? — হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে।
ইলেকট্রিক শকের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ সমূহ কি?
— বিদ্যুৎ প্রাবাহের সুইচ অফ করতে হবে,
— পালস, শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক সিপিআর করতে হবে,
— পুড়ে যাওয়া অংশ ব্যান্ডেজ করতে হবে তবে তোয়ালে বা কম্বল ব্যবহার করা যাবে না।
কোনটি তড়িতাহত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ নয়? — ভেজা কাঠ বা বাঁশ দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তড়িৎ প্রবাহ থেকে আলাদা করা।
অ্যাজমাজনিত কারণে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হলে রোগী/ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করে — অক্সিজেনের অভাবে।
বিজ্ঞান সম্মত ও স্বাস্থ্য সম্বত ভাবে যেসব সহায়ক দ্রব্য ক্ষত সারাতে ও ক্ষতকে বাইরে থেকে রক্ষা করতে ব্যবহিত হয় তাকে কি বলে? —সার্জিক্যাল ড্রেসিং।
সার্জিক্যাল ড্রেসিং কত প্রকার? — ৫ প্রকার।
ওষুধযুক্ত গজের বৈশিষ্ট্য-
— আয়োডোফর্ম গজ,
— ডাবল সায়ানাইড,
— বোরিক এসিড গজ।
গজ যে ধরনের সার্জিক্যাল ড্রেসিং-
— তুলা হতে তৈরী বিশেষ কাপড়,
— এক ধরনের শোষক ড্রেসিং,
— ঔষধযুক্ত বা ঔষধবিহীন কাপড় যার মাপ বর্গ ইঞ্চিতে ৪x৩৬ সুতা থেকে ২০x১২ সুতা পর্যন্ত হতে পারে।
আয়োডোফর্ম গজে কত % আয়োডোফর্ম থাকে? — ৪-৬%।
বোরিক এসিড গজে কত % বোরিক এসিড থাকে? — ৩-৭%।
ওষুধযুক্ত গজ-
— আয়োডোফর্ম গজ,
— ক্যাপসিকাম টিস্যু,
— ট্রাইনাইট্রোফেলন গজ।
জিঙ্ক পেস্ট ব্যান্ডেজ নিচের কোন ধরনের সার্জিক্যাল ব্যান্ডেজ? — বিশেষ তুলার কাপড় ব্যান্ডেজ।
প্রস্তুত প্রণালী অনুযায়ী ব্যান্ডেজ কে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? — ৪ ভাগে।
প্লাস্টার অব প্যারিসে কত % ক্যালসিয়াম সালফেট থাকে? — ৮০%।
নিচের কোনটি ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া কোডেক্স মোতাবেক তৈরী? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং।
উল্লেখযোগ্য লিন্ট কি?
— ১% ইউফ্লেবিন লিন্ট,
— ৩-৭% বোরিক এসিড লিন্ট।
জিঙ্ক অক্সাইড প্লাস্টারে কতভাগ জিঙ্ক অক্সাইড থাকে? — ২০-৩০%।
কোনটি স্থিতিস্থাপক প্লাষ্টারের বৈশিষ্ট্য? — আঠালো, টানলে লম্বা হয়, ২০-৩০% জিঙ্ক অক্সাইড থাকে।
স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং গুলো কত নম্বর পর্যন্ত হয়ে থাকে? — ১-১৬
ফার্মেন্টেশন ড্রেসিং নামে পরিচিত নিচের কোনটি? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-২
আঙ্গুলের ব্যান্ডেজ হিসেবে পরিচিত নিচের কোনটি? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-৭
আগুনে পোড়া জনিত ব্যান্ডেজ হিসেবে নিচের কোনটি ব্যবহিত হয়? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-১০
বিশেষভাবে আগুনে পোড়া জনিত ব্যান্ডেজ হিসেবে নিচের কোনটি ব্যবহিত হয়? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-১১ ও ১২
নিচের কোনটি চোখের প্যাড নামে পরিচিত? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-১৬
সাধারন ক্যাটগাট শোষিত হতে কত সময় লাগে? — ৩-৫ দিন।
ক্রোমিক ক্যাটগাট শোষিত হতে কত সময় লাগে? — ১০-৪০ দিন।
সুচার কয় ধরনের হতে পারে? — ২ ধরনের।
সার্জিক্যাল সুচারস এক ধরনের কী? — এক ধরনের তন্তু বা সুতা।
যে সুচারগুলো এনজাইম দ্বারা পরিপাক হয় না তাদের কী বলা হয়? — অশোষনযোগ্য সুচারস।
ভেড়ার ক্ষুদ্রান্ত্রের সাবমিউকাস যোজক কলা দ্বারা নীচের কোনটি তৈরী হয়? — ক্যাটগার্ট সুচারস।