প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি চিকিৎসা সেবা : মডিউল-৪ : সেশন-৭

মডিউল-৪/সেশন-৭

প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি চিকিৎসা সেবা

দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া বিশ্বজুড়ে কত নাম্বার স্থানে রয়েছে? — তৃতীয় স্থানে।

মোট দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর কত % পানিতে ডুবে মারা যায়? — ৭%।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর আনিমানিক কত লক্ষ মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়? — ৩ লক্ষ ৭২ হাজার।

প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগী যদি নিশ্বাস না নেন তাহলে কি করতে হবে? — পালস দেখতে হবে।

বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে যেসব সহায়কদ্রব্য ক্ষত সারাতে ও ক্ষতকে বাইরের আঘাত হতে রক্ষা করতে ব্যবহিত হওঁয় তাকে কি বলে? — সার্জিক্যাল ড্রেসিং।

উপাদান, প্রস্তুতপ্রণালী ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সার্জিক্যাল ড্রেসিংসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৫ ভাগে।

সার্জিক্যাল ড্রেসিংসমূহকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়-
— গজ
— ব্যান্ডেজ
— লিন্টস
— প্লাস্টার
— স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং

গজ হলো এর ধরনের — শোষক (Absorbent)

ড্রেসিং হলো — তুলা (Cotton Fabrics) হতে তৈরি করা কাপড় বিশেষ।

ড্রেসিং এর মাপ সাধারণত কেমন হয়ে থাকে? — প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৪x৩৬ হতে ২০x১২ সুতা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ওষুধযুক্ত গজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
— বোরিক এসিড গজ (এতে ৩-৭% বোরিক এসিড থাকে)
— ডাবল সায়ানাইড গজ (এতে মারকারি সায়ানাইড ০.৫-১.৫% এবং জিঙ্ক সায়ানাইড ১.৫-৩.০% থাকে)
— আয়োডোফর্ম গজ (এতে আয়োডোফর্ম ৪-৬% থাকে)
— ট্রাইনাইট্রোফেনল গজ (এতে ১.৫-২.৫% ট্রাইনাইট্রোফেনল থাকে)
— ক্যাপসিকাম টিস্যু।

লিন্ট কি? — লিন্ট হলো তুলার ফেব্রিক দ্বারা ওষুধযুক্ত বা ওষুধবিহীন বিশেষ।

ওষুধযুক্ত লিন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনগুলো? — ৩-৭% বোরিক এসিড লিন্ট এবং ০.১% ইউফ্লেভিন লিন্ট।

জিঙ্ক অক্সাইড প্লাস্টার এ কত % জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত থাকে? — ২০-৩০%।

স্থিতিস্থাপক আঠালো প্লাস্টার এ কত % জিঙ্ক অক্সাইডযুক্ত থাকে? — ২০-৩০%।

প্লাস্টার অব প্যারিস কত % ক্যালসিয়াম সালফেটের মাধ্যমে চামড়ার সাথে যুক্ত থাকে? — ৮০%।

স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিংগুলো কত নম্বর পর্যন্ত হয়ে থাকে? — বি.পি.সি. ১ হতে ১৬ নম্বর পর্যন্ত।

আগুনে পোড়াজনিত বা আগুনের ব্যান্ডেজ হিসাবে ব্যবহিত হয় কত নাম্বার স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং? — ১০ নাম্বার।

বিশেষভাবে আগুনে পোড়ার ব্যান্ডেজ হিসাবে পরিচিত কোন স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং গুলো? — ১১ এবং ১২ নাম্বার।

স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নাম্বার ১১ এবং ১২ কিসের ব্যান্ডেজ হিসাবে ব্যবহিত হয়? — হাত, পা বা আঙ্গুলের ব্যান্ডেজ হিসাবে।

ক্ষতের ড্রেসিং হিসাবে পরিচিত কোন স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং গুলো? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নাম্বার ১৩, ১৪, ১৫।

স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নাম্বার ১৬ কি নামে পরিচিত? — চোখের প্যাড নামে পরিচিত।

সার্জিক্যাল সুচারস কি? — এক ধরনের তন্তু বা সুতা।

সার্জিক্যাল সুচারস কি কাজে ব্যবহিত হয়? — ক্ষত সেলাইয়ের কাজে।

সার্জিক্যাল সুচারস কয় ধরনের? — ২ধরনের। (শোষণযোগ্য এবং অশোষণ্যোগ্য)।

শোষণযোগ্য সুচারস কি দিয়ে তৈরি? — আমিষ জাতীয় উপাদান।

সাধারণ ক্যাটগাট শোষিত হতে কত দিন সময় লাগে? — ৩ থেকে ৫ দিন।

ক্রোমিক ক্যাটগাট শোষিত হতে কতদিন সময় লাগে? — ১০ থেকে ৪০ দিন।

কোন সুচারস গুলো কোষীয় এনজাইম দ্বারা পরিপাক হয় না? — অশোষণযোগ্য (Non-absorbable)

ক্ষত সেরে যাওয়ার পরে কোন সুচারস সরিয়ে ফেলা হয়? — অশোষণযোগ্য (Non-absorbable)

অশোষণযোগ্য (Non-absorbable) এর উদাহরণ হচ্ছে — সিল্ক, নাইলন, তুলা, স্টেইনলেস স্টিল তার ইত্যাদি।

যার প্রাথমিক সেবা দেওয়ার প্রশিক্ষণ আছে তাকে কি বলা হয়? — প্রাথমিক সেবা দানকারী।

একটি ব্যাগ বা বাক্স যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ওষুধ ও জিনিসপত্র থাকে তাকে কি বলে? — ফাস্ট এইড বক্স/কিট।

প্রাথমিক সেবাদানকারীর ভূমিকা কি?
— প্রথমে রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করা,
— তাকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া এবং
— দ্রুত একজন পেশাদার ডাক্তারের নিকট পাঠিয়ে দেয়া।

আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষত এলাকা পরিস্কার করার জন্য কি ব্যবহার করা হয়? — হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড।

ব্যান্ডেজ করার সময় ক্ষত স্থানের উপর কি ব্যবহার করা হয়? — কটন গজ।

ক্ষতস্থানকে ঢেকে দেয়ার জন্য কি ব্যবহার করা হয়? — বিভিন্ন মাপের প্লাস্টার।

আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি যার রক্তে চিনি বা শর্করার পরিমাণ কমে গেছে তাদেরকে কি দেওয়া হয়? — গ্লুকোজ।

একটি কাঠের টুকরা যা হাতের বা পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে তাকে সোজা ও সঠিকভাবে রাখতে সহায়তা করে তাকে কি বলে? — স্প্লিন্ট।

ব্যান্ডেজ এর উপকারিতা গুলো কি কি?
— ফোলা কমাতে বা না নাড়াতে সাহায্য করে,
— হাত পা বা তার ঘোড়াগুলোকে সাপোর্ট দেয়,
— নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে,
— ড্রেসিং এ চাপ দিয়ে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

মনে রাখুন: সবচেয়ে গুরুতর ব্যক্তিকেই প্রথম প্রাথমিক সেবা দিতে হবে। জরুরি রোগীকে প্রাথমিক সেবা দেয়ার সময় উজ ABC কে মনে রাখুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
— Danger – বিপদের গুরুত্ব মূল্যায়ন করুন।
— Response – সাড়া দিচ্ছেন কিনা।
— Airway – শ্বাসনালী খোলা আছে কিনা।
— Breathing – শ্বাস/নিশ্বাস প্রশ্বাস চলছে কিনা।
— Circulation – রক্ত চলাচল স্বাভাবিক আছে কিনা।

৩০ বার বুকের উপর চাপ দেয়ার পর পরই মুখে মুখে ২ বার শ্বাস দেওয়ার মাধ্যমে ১টি চক্র (Cycle) পূর্ণ হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় Cardio Palmonary Resuscitation (CPR)

মস্তিষ্কে দুর্বল রক্ত সরবরাহের কারণে সাময়িকভাবে জ্ঞান হারানোকে অজ্ঞান হওয়া বলে যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এই সময় যা করতে হবে —
— অজ্ঞান রোগীকে চিৎ করে শুইয়ে দিন।
— পরিধেয় কাপড়ের বন্ধনীগুলো খুলে ঢিলা করে দিন। বিশেষ করে কোমর এবং গলার।
— রোগীর পা গুলো উঁচু করে বালিশের উপরে রাখুন যাতে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

শিশুদের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো কি কি? — গরম পানি, জলন্ত আগুন বা কয়লার চুলা, গরম ইস্ত্রি, জলন্ত মোমবাতির সংস্পর্শে আসা।

বড়দের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো — রান্নার গরম তাওয়া বা প্যান, গরম ইস্ত্রি, ঘরে আগুন লাগা, এসিড জাতীয় তরল পদার্থ, গরম পানি, রান্নার সময় আগুনের সংস্পর্শে আসা।

পুড়ে যাওয়া বা ঝলসে যাওয়া রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্য গুলো হলো-
— ত্বকের উপর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য,
— ব্যথা কমানোর জন্য,
— শরীরের পানি কমে যাওয়ার হার কমানো এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য।

তীব্রতা অনুযায়ী পুড়ে যাওয়া কয় ধরনের হয়ে থাকে? — ৩ ধরণের।

প্রথম ডিগ্রি পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং চিহ্নসমূহ-
— শুধুমাত্র  ত্বকের উপরিভাগ পুড়ে যায়,
— ত্বক লালচে হয়ে যায়,
— ফুলে যায় এবং স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভূত হয়,
— তাড়াতাড়ি সেরে উঠে,
— পুড়ে যাওয়া ত্বক উঠে আসতে পারে।

দ্বিতীয় ডিগ্রী পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং চিহ্নসমূহ-
— ত্বকের উপরিভাগের সাথে সাথে ভিতরের স্তরও পুড়ে যায়,
— ফোস্কা পড়া,
— ত্বক লাল হবে এবং ব্যথা থাকবে।

তৃতীয় ডিগ্রি পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং চিহ্নসমূহ-
— ত্বকের সকল স্তর পুড়ে যাওয়া,
— স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হালকা ব্যথা বা কোনো ব্যথা অনুভূত না হওয়া।

২য় বা ৩য় ডিগ্রি পোড়া রোগীকে কি করতে হবে? — দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে পোড়া স্থানে কোন কিছু আটকে গেলে তা সরানো যাবে না (যেমন পোড়া কাপড়); ফোস্কাগুলো ফুটো করা যাবে না। এবং ক্ষতস্থান হাত দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না। এতে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থাকে।

শরীরের যে কোন হাড়ই ভাঙ্গতে পারে কিন্তু হাত পা পায়ের হাড়গুলো ভাঙ্গার প্রবণতা তাদের আকৃতির কারণেই বেশি থাকে। সাধারণত দুই ধরণের হাড়ভাঙ্গা পাওয়া যায়।
— সাধারণ (Simple) হাড়ভাঙ্গা,
— জটিল (Compound) হাড়ভাঙ্গা।

হাড় তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গেলে তাকে কি বলে? — ডিসলোকেশন।

সাধারণত কোন স্থানের হাড় ডিসলোকেশন হয়? — কাঁধ, গোড়ালি এবং কোমরের জোড়ার হাড়।

মৌমাছির হুল ফোটার জায়গায় হুল সরিয়ে ফেলার পর অন্তত কত মিনিট বরফ চেপে ধরে রাখতে হবে/ ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে? — ১০ মিনিট।

যে কোন প্রাণীর কামড়ের ক্ষেত্রে কিসের ঝুঁকি থাকে? — ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

কুকুর, বানর, বাদুড় ইত্যাদি কামড় দিলে কি টিকা নিতে হবে? — র‍্যাবিস টিকা।

রোগী যদি এসিড বা জারক জাতীয় বিষ সেবন করে তাহলে কি করতে হবে? — অল্প অল্প পানি বা দুধ পান করতে দিন।

যদি কোন কেমিক্যালের কারণে রোগীর শরীর পুড়ে যায় তাহলে কি করতে হবে? — ২০ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।

ওষুধবিহীন গজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
— শোষক গজ (Absorbent Gauze),
— শোষক ফিতা গজ (Absorbent Ribbon Gauze),
— শোষক টিস্যু গজ (Absorbent Gauze Tissue),
— সেলুলোজ টিস্যু (Cellulose Tissue)

তুলা বা এর সাথে উলের সংমিশ্রণে তৈরি বিশেষ কাপড়কে কি বলে? — ব্যান্ডেজ।

প্রস্তুত প্রণালী অনুযায়ী ব্যান্ডেজকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? — ৪ ভাগে।

প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর যদি কোন পালস না থাকে তব্র কি করতে হবে? — CPR আরম্ভ করতে হবে।

শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এমন রোগীর মাথার নিচে কেন বালিশ দেয়া যাবে না? — শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে থাকলে তাকে — মুখে কিছু খেতে দেওয়া যাবে না।

নিচের সমস্যাগুলোতে প্রাথমিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করবেন-
— নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ,
— নাকের ছিদ্র দিয়ে কোনো কিছু ঢুকে গেলে,
— কানের ভিতর কিছু ঢুকে গেলে,
— বিভিন্ন ধরণের ক্ষত,
— কামড় বা হুল ফোটানো,
— পুড়ে যাওয়া,
— বিষক্রিয়া,
— ভাঙ্গা, মচকা বা জোড়া স্থানচ্যুত হওয়া ইত্যাদি।

প্রাথমিক চিকিৎসার ইংরেজি প্রতিশব্দ কি? — First Aid

প্রাথমিক চিকিৎসা কে দিতে পারবেন? — প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি।

First Aid বক্সটি নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন কেন? — মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে ফেলার জন্য।

First Aid  বক্সের সার্জিক্যাল ব্লেডের কাজ কি? — আঘাত বা ক্ষতের ত্বক বা চামড়া কাটা।

First Aid বক্সের হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কাজ কি? — আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষত এলাকা পরিস্কার করা।

First Aid বক্সের লিনিমেন্টের কাজ কি? — ক্ষত বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ব্যথা কমানো।

First Aid বক্সের থার্মোমিটারের কাজ কি? — শরীরের তাপমাত্রা মাপা।

First Aid বক্সের গ্লুকোজের কাজ কি? — আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির শক্তির চাহিদা পূরণ।

First Aid বক্সে নিচের কোনটি সাধারণ থাকে না? — এন্টিক্যান্সার ড্রাগ।

First Aid বক্সের স্প্লিন্ট এর কাজ কি? — হাত বা পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে সোজা রাখা।

নিচের কোনটি প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সের উপকরণ নয়? — ছুরি।

First Aid বক্সের কটনগজ এর কাজ কি? — ব্যান্ডেজ করার সময় ক্ষতের উপর ব্যবহার করা।

কাটা বেশি হলে প্রথমেই আহত ব্যক্তিকে রক্তপাত বন্ধের জন্য কি করতে হবে? — শুইয়ে দিতে হবে।

সি.পি.আর দেওয়ার সময় প্রতি মিনিটে ___ করে আনুমানিক ___ গভীরতায় বুকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। — ১০০টি, ২ইঞ্চি।

গভীর ক্ষতস্থানে কি সরাসরি দেওয়া যাবে না? — স্যাভলন বা ডেটল।

রক্তপাত সম্পর্কে কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — সাধারণ কাটায় প্রচুর রক্তপাত হয়।

গভীর ক্ষত স্থানে কি দ্বারা চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে? — জীবাণুমুক্ত গজ বা ড্রেসিং।

রক্তপাতের ক্ষেত্রে কোন কাজগুলি করা যাবে না?
— ক্ষত স্থানে নিজে সেলাই করা যাবে না,
— ক্ষতে ডেটল লাগানো যাবে না,
— ক্ষত স্থানে কিছু আটকে থাকলে তা টেনে তুলে ফেলা যাবে না।

ক্ষত স্থানে কাচের টুকরো গভীর ভাবে আটকে থাকলে তা টেনে তুলে ফেলা যাবে না, কারণ এতে — অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত হতে পারে।

নাক দিয়ে রক্তক্ষরণের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ কি কি?
— মাথাকে সামনের দিকে ঝুকিয়ে রাখতে বলা,
— রোগীকে নিরাপদে এবং আরামে বসার ব্যবস্থা করা,
— দু আঙ্গুলে নাকে চেপে ধরতে বলা ও মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ।

রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ নয় কোনটি? — গভীর ক্ষত নিজে নিজে পরিষ্কার ও সেলাই করা।

অধিক রক্ত ক্ষরণের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ নয় নিচের কোনটি? — কোন বস্তু বিঁধে থাকলে তা টেনে বের করা।

দুর্ঘটনা স্থলের চারপাশে প্রচুর জনসমাগমের কারণ কি? — কৌতুহল বসত অথবা দাড়িয়ে দেখা।

নিচের কোনটি রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ নয়? — বেশি আহত ব্যক্তিকে বসিয়ে রাখতে হবে।

অধিক রক্ত ক্ষরণের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
— ক্ষতটি হাত বা পায়ের হলে উচুতে ধরে রাখুন এবং হাসপাতালে স্থানান্তর করুন,
— জীবানুমুক্ত গজ বা ড্রেসিং দিয়ে ক্ষত স্থানটি চেপে ধরুন,
— আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিন।

রক্তপাত সম্পর্কে কোন তথ্যটি সঠিক? — রক্তপাতের ফলে আহত ব্যক্তি দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে।

গভীর ক্ষতের ক্ষেত্রে কি কি ধারণা একেবারেই সঠিক নয়?
— প্রাথমিক চিকিৎসাই যথেষ্ট,
— রক্তপাত কমে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে,
— ক্ষত সেলাই করা খুব একটা প্রয়োজন নেই।

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— রোগীর শারিরিক অবস্থার অবনতি না ঘটে সেজন্য,
— আঘাত প্রাপ্ত, আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জীবন বাঁচানো,
— ব্যথা ও রক্তপাত কমানো এবং সংক্রমন প্রতিরোধ।

নিচের কোন ওষুধটি প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে থাকার দরকার নেই? — ডায়াজিপাম।

প্রাথমিক সেবাদানকারীর ভূমিকা কি কি?
— দ্রুত পেশাদার চিকিৎসকের নিকট পাঠানো,
— রোগীর প্রাথমিক অবস্থা পর্যালোচনা,
— তাৎক্ষনিক সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়া।

অল্প কাটা কম ক্ষত সমূহের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
— গজ দিয়ে ১০ মিনিট ক্ষতের স্থানে চেপে ধরে রাখুন,
— ময়লা বা নোংরা কিছু থাকলে জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে জীবানুমুক্ত ড্রেসিং দিয়ে ক্ষত স্থান্টি ঢেকে দিন,
— কয়েক মিনিট ক্ষত থেকে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত ঝরতে দিন।

একজন ব্যক্তি যিনি অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য করেন এবং সমবেদনা জানান তাকে কী বলা হয়? — ভালো সামারিটান।

কোন তথ্যটি সঠিক? — কলকারখানা ও বাসায় ব্যবহিত প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স ভিন্ন হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স সম্পর্কে কোনটি সঠিক নয়? — বাক্সের সুনির্দিষ্ট তালিকা অনুযায়ী সরঞ্জামাদি থাকবে।

পোড়ার ডিগ্রি কত ভাগে ভাগ করা যায়? — ৩ ভাগে।

প্রথম ডিগ্রি পোড়ার লক্ষণ কি কি?
— ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া,
— ত্বকের উপরিভাগ পুড়ে যায়,
— ত্বক ফুলে যায় ও স্পর্শ করলে ব্যথা হয়।

দ্বিতীয় ডিগ্রির পোড়ার লক্ষণ কি কি?
— ত্বক লাল হবে এবং ব্যথা থাকবে,
— ত্বকের উপরিভাগের সাথে সাথে ভিতরের স্তরও পুড়ে যায়,
— ফোস্কা পড়া।

দ্বিতীয় ডিগ্রির পোড়াকে সাধারণ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে কখন?
— ক্ষত ৩ ইঞ্চির বেশি না হওয়া,
— যদি ফোস্কা না গলে যায়।

শুকনো তাপের সংস্পর্শে ত্বকের যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে কি বলা হয়? — পুড়ে যাওয়া।

গরম বাস্পের কারণে ত্বকের যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে কি বলা হয়? — ঝলসে যাওয়া।

বড়দের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ গুলো কি কি?
— এসিড জাতীয় তরল পদার্থ,
— গরম পানি বা ইস্ত্রি বা ঘরে আগুন লাগা,
— রান্নার গরম তাওয়া বা প্রেন বা আগুনের সংস্পর্শে।

শিশুদের ক্ষেত্রে পুড়ে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো কি কি?
— জ্বলন্ত আগুন বা কয়লার চুলা,
— জ্বলন্ত মোমবাতির সংস্পর্শে আসা,
— গরম পানি বা ইস্ত্রি।

পুড়ে যাওয়া বা ঝলসে যাওয়া রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— শরীরের পানি কমে যাওয়ার হার কমানো এবং সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য,
— ত্বকের উপর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য,
— ব্যথা কমানোর জন্য।

পোড়ার ডিগ্রি কত? — শরীরে কতটুকু অংশ পুড়েছে তার মাত্রা নির্ধারণ করা।

দ্বিতীয় মাত্রায় পোড়ায় সৃষ্টি ক্ষত সারতে সময় লাগে — তৃতীয় সপ্তাহ।

পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসায় কি কি করা যাবে না?
– তোয়াল বা সাধারণ তুলা বা কম্বল দিয়ে ক্ষত স্থান ঢেকে দেওয়া যাবে না,
– চর্বি, চিনি বা রান্নার তৈল পোড়া জায়গাতে লাগানো যাবে না,
– পোড়া স্থানে কোন কিছু আটকে গেলে তা সরানো যাবে না।

কোন পোড়ায় ত্বকের সকল স্তর এমনকি অস্থি পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে? — তৃতীয় ডিগ্রি।

পোড়া রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
— পোড়া অংশের উপর জীবানুমুক্ত গজ বা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে,
— পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আগুনের উৎস থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হবে,
— ঠান্ডা পানি ঢেলে পুড়ে যাওয়া অংশ শীতল করতে হবে।

তৃতীয় ডিগ্রি পোড়ার লক্ষণ কি?
— স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় হালকা ব্যথা বা কোন ব্যথার অন্তর্ভূক্ত না হওয়া,
— ত্বকের সকল স্তর পুড়ে যাওয়া,
— স্নায়ু ও রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া।

ভাঙ্গা হাড় চামড়া বেদ করে বেরিয়ে পড়লে এবং তাতে ময়লা লেগে থাকলে কি করা উচিত? — ফুটানো ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।

হাড় ভাঙ্গার প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি কি?
–হাত ভেবগে গেলে সেই সাথে স্প্রিং দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া,
—ভাঙ্গা অংশের সমান দৈর্ঘের একটি কাঠের টুকরা বেঁধে দেওয়া,
— ভাঙ্গা পা সুস্থ্য পায়ের সাথে বেঁধে হাসপাতালে প্রেরণ।

শিশুদের ক্ষেত্রে হাড় ভাঙ্গার কারণ কি কি?
— ফুটবল খেলা বা মারামারি,
— সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা,
— গাছ থেকে পড়ে যাওয়া বা গর্তে পড়ে যাওয়া।

হাড় ভাঙ্গা সাধারণত কয় প্রকার? — ২ প্রকার।

বড়দের ক্ষেত্রে হাড় ভাঙ্গার কারণ কি কি?
–মারামারি,
–বয়স্ক মহিলাদের হাড়ের ক্ষয়জনিত,
–দুর্ঘটনা।

হাড় ভাঙ্গার প্রাথমিক চিকিৎসার সময় নিচের কি কি করা যাবে না?
— সাধারণ ভাঙ্গার ক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ জোরে চেপে বাধবেন না,
— ভাঙ্গা হাত বা পা সোজা করার চেষ্টা করা যাবে না,
— চিকিৎসক না দেখা পর্যন্ত কোন কিছু খেতে বা পান করতে পারবে না।

হাড়ের ডিসলোকেশন সাধারণত শরীরের কোন অংশে হয়? — গোড়ালী, কোমরের জোড়াতে, কাঁধে।

হাড় ভাঙ্গার লক্ষণ কি কি?
—ব্যথা ও ভাঙ্গার স্থান ফুলে যাওয়া বা বেকে বা মচকে ঘুরে যাওয়া,
— ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ এবং নড়াচড়া করতে অসুবিধা,
— ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি আকারে বিকৃতি হওয়া।

হাড় তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গেলে তাকে কি বলা হয়? — ডিসলোকেশন।

হাড় ডিসলোকেশনের লক্ষণ কি কি?
— আঘাতপ্রাপ্ত অংশের নড়াচড়া করতে সমস্যা,
— তীব্র ব্যথা ও অস্থিরতা,
— আঘাতপ্রাপ্ত জয়েন্টের চারপাশ ফুলে যাওয়া।

পানিতে ডুবে যাওয়া এর ইংরেজি পরিভাষা নিচের কোনটি? – Drowning

হাড় ডিসলোকেশনের প্রাথমিক চিকিৎসার কি কি?
– আঘাত প্রাপ্ত অংশে বরফ দেওয়া,
– আঘাত প্রাপ্ত অংশে নড়াচড়া বন্ধ করা,
– আঘাত প্রাপ্ত অংশের জন্য সাপোর্টের ব্যবস্থা করা।

মোট দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর শতকরা কত শতাংশ পানিতে ডুবে মারা যায়? – ৭%।

বাংলাদেশে ১-৪ বছরের শিশুদের মধ্যে সকল মৃত্যুর শতকরা কত ভাগ পানিতে ডুবে মারা যায়? — ৪৩ ভাগ।

বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর আনুমানিক কি পরিমাণ মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়? — তিন লক্ষ বাহাত্তর হাজার।

পানিতে ডুবে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার সময় কি কি করা যাবে না?
–রোগীকে কোন কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা যাবে না,
–পানি বের না হওয়া পর্যন্ত কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া যাবে না,
–সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকলে ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে যাবেন না।

পানিতে ডুবা রোগীর ক্ষেত্রে নিচের কোন কাজটি করা যাবে না? — কোন কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা যাবে না।

কোন কাজটি না করে পানিতে ডুবা ব্যক্তিকে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দেয়া যাবে না? — পেটের পানি বের করে দিতে হবে।

পানিতে ডুবা রোগীর কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে আর কোন কোন বিষয়ের উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন? — হৃদস্পন্দনের দিকে।

পানিতে ডুবন্ত ব্যক্তি প্রাথমিক অবস্থায় জ্ঞান হারায় এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করে কেন? — অক্সিজেনের অভাবে।

নিচের কোন তথ্যটি পানিতে ডুবা রোগীর জন্য সঠিক? — পানি বের করার সময় নিজের হাটুতে ভর দিয়ে বসতে হবে।

কোন রোগটি দ্বারা পানিতে ডুবা রোগীর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? — নিউমোনিয়া।

এলার্জির লক্ষণ কোনটি? — চুলকানো।

এলার্জেন কি? — এলার্জি সৃষ্টিকারী বস্তু।

নিচের কোনটি সাধারণ এলার্জেনের উদাহরণ নয়? — বই-খাতা।

এলার্জির প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— আক্রান্ত স্থানে বরফ বা ঠান্ডা স্যাক দেওয়া,
— শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করা,
— এনার্জির কারণ চিহ্নিত করা এবং উৎস হতে দূরে থাকা।

এলার্জির প্রাথমিক চিকিৎসার সময় যে কাজগুলি করা যাবে না-
— শ্বাসকষ্ট হলে রোগীর মাথার নিচে বালিশ দেওয়া যাবে না,
— কখনোই মনে করা যাবে না এনার্জির টিকা দিলে সম্পূর্ণ নিরাপদ,
— শ্বাসকষ্ট হতে থাকলে রোগীর মুখে কিছু খেতে দেওয়া যাবে না।

এলার্জি জনিত শ্বাসকষ্ট হলে কি করা যাবে না?
— রোগীর মাথার ইচে বালিশ দেওয়া যাবে না,
— স্বাভাবিক ঘটনা মনে করা যাবে না,
— রোগীকে খেতে দেওয়া যাবে না।

এলার্জির ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — একই এলার্জেন দ্বারা সবাই আক্রান্ত।

এনার্জির প্রাথমিক চিকিৎসা নয় কোনটি? — রোগীকে শুইয়ে রাখা।

শ্বাস কষ্টের কারণ নয় কোনটি? — হাড়ভাঙ্গা।

হুল ফোটানো বা কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— হুল ফোটার জায়গায় দশ মিনিট বরফে চাপ দেওয়া,
— হুলগুলো শরীর থেকে বের করার জন্য প্রয়োজনে চিমটা ব্যবহার,
— রোগীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে কম্বল বা চাদর দিয়ে ঢাকা।

এক ঝাঁক মৌমাছির আক্রমণে মানুষের শরীরে কি ঘটতে পারে? — তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করতে পারে।

আমাদের দেশে কোন জাতীয় পোকা মাকড়ের কামড় খুব সাধারণ ঘটনা? — মৌমাছি ও বোলতা।

জীবজন্তুর কামড়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি কারণ নিচের কোনটি সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে? — ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস।

মৌমাছি ও বোলতা কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কি করা উচিত?
— আক্রান্ত ব্যক্তিকে উত্তেজিত করা,
— আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

জীবজন্তুর কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— গ্লাভস পরিধান করে কামড়ের স্থানটি সাবান পানি দিয়ে ধোয়া,
— রক্তক্ষরণ থাকলে চাপ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা,
— জীবাণুমুক্ত গজ দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দিয়ে হাসপাতালে প্রেরণ।

সাপে কাটা রোগীর ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — রোগীর প্রচুর পানি পিপাসা পায়।

সাপের কামড়ে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার সময় কি কি করা যাবে না?
— কোন কেমিক্যাল বা ইনজেকশন বা বরফ দেয়া যাবে না,
— ক্ষত স্থানটিতে কাটা বা মুখ লাগিয়ে চোষা যাবে না,
— টরনিকুয়েট জাতীয় রক্ত চলাচল বন্ধ করার বাঁধন বাধা যাবে না।

লোকালয়ে কোন কোন জীবজন্তুর কামড়ের ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে?
— কুকুর ও বিড়াল,
— শেয়াল ও বানর,
— সাপ ও বাদুর।

জীবজন্তুর কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো,
— রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ,
— প্রয়োজনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে স্থানান্তর।

মৌমাছি ও বোলতার পেছনে অবস্থিত হুলে কি থাকে? — এক ধরণের বিষ।

সাপের কামড়ে রোগীর সাধারণ উপসর্গসমূহ কি?
— ঝাপসা দেখা, ঘুম ঘুম ভাব, রক্তচাপ কমে যাওয়া এবং জ্বর,
— শ্বাসকষ্ট, খিচুনি, বমিবমি ভাব এবং ডায়রিয়া,
— রক্তক্ষরণ, দংশনের স্থানে দাঁতের চিহ্ন, ত্বকের রং পরিবর্তন।

বিষ এক ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য যা পদার্থের কোন অবস্থায় পাওয়া যায়? — কঠিন, তরল ও বায়বীয়।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত বিষধর সাপগুলোর মধ্যে অন্যতম সাপ কোনগুলো? — গোখরা ও কেউটে।

বিষক্রিয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি?
— বিষ শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা,
— শ্বাসনালী খোলা রাখা,
— নিঃশ্বাস প্রশ্বাস এবং রক্ত সঞ্চালন চালু রাখা।

বাংলাদেশে সাধারণত কোন সময় প্রচুর সাপেকাটা রোগী পাওয়া যায়? — গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে।

নিচের কোনটি অশোষণযোগ্য সূচারসের উদাহরণ? — ওয়ার্মগাট, নাইলন, সিল্ক।

সাপে কামড়ের রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— সাবান ও পানি দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালোভাবে ধুইয়ে দিন,
— শুইয়ে রাখতে হবে যাতে ক্ষতস্থানটি হৃদপিণ্ডের লেবেলে থাকে,
— ক্ষতস্থানটি ব্যান্ডেজ করে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।

আত্মহত্যার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কোনগুলো? — কীটনাশক ও ঘুমের ওষুধ।

কোন সাপের বিষ নেই? — ঢোঁড়া।

শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে বিষাক্ত গ্যাস গ্রহণ করার রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— বিষাক্ত গ্যাসের উৎস থেকে সরিয়ে ফেলুন,
— শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাস দেয়া শুরু করুন,
— শ্বাস প্রশ্বাস চলতে থাকলে তাকে চিৎ করে শুইয়ে দিন।

বিষধর সাপ কামড়ানোর স্থানে — দুটি দাঁতের দাগ স্পষ্ট দেখা যাবে।

গৃহস্থালিতে কোন ধরণের বিষ পাওয়া যায় না? — পটাসিয়াম সায়ানাইড

লিকুইড জাতীয় বিষ মুখে খেয়ে ফেললে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— রোগীর জ্ঞান থাকলে কি সেবন করেছে তা বের করার চেষ্টা করুন, বমি করানোর চেষ্টা করবেন না,
— রোগী অজ্ঞান হলে তাকে সমতলে চিৎ করে শুইয়ে দিন,
— এসিড বা জারক জাতীয় বিষ সেবন করলে তাকে পানি বা দুধ পান করতে দিন।

কোন তথ্যটি সঠিক নয়? — রোগীকে বেশি বেশি করে মুখে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

বিষাক্রান্ত হওয়া রোগীর সাথে কি করা উচিত নয়? — অজ্ঞান রোগীকে বমি করানোর চেষ্টা করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় কতটি দুর্ঘটনার নাম উল্লেখ আছে? — ৯ টি।

বিষাক্ত ইনজেকশন নিয়ে থাকলে এমন রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ কি?
— অজ্ঞান হলে চিৎ করে শুইয়ে DR ABC পদক্ষেপ অনুসরণ করুন,
— জ্ঞান থাকলে চিৎ করে শুইয়ে DR ABC পর্যবেক্ষণ করুন,
— ইনজেকশন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে রোগীকে হাসপাতালে প্রেরণ করুন।

বিষাক্ত কিছু গায়ে লেগে থাকলে এমন রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার কি?
— প্রচুর পরিমাণে পানি ঢেলে বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে ফেলুন,
— শরীর পুড়ে গিয়ে থাকলে বিশ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি ঢালুন,
— অজ্ঞান হলে চিৎ করে শুইয়ে DR ABC পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।

শরীরের ভিতরে হঠাৎ তীব্র মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহ হয়ে গেলে তাকে কি বলে? — ইলেকট্রিক শক।

তড়িতাহিত ব্যক্তিকে কি কি করা যাবে না?
— খোলা হাতে স্পর্শ করা যাবে না,
— ভেজা কাঠ বা বাশ দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তড়িৎ প্রবাহ থেকে আলাদা করা।

তড়িতাহিত ব্যক্তির দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না হলে কি ঘটতে পারে? — হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে।

ইলেকট্রিক শকের প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপ সমূহ কি?
— বিদ্যুৎ প্রাবাহের সুইচ অফ করতে হবে,
— পালস, শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক সিপিআর করতে হবে,
— পুড়ে যাওয়া অংশ ব্যান্ডেজ করতে হবে তবে তোয়ালে বা কম্বল ব্যবহার করা যাবে না।

কোনটি তড়িতাহত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ নয়? — ভেজা কাঠ বা বাঁশ দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তড়িৎ প্রবাহ থেকে আলাদা করা।

অ্যাজমাজনিত কারণে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হলে রোগী/ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করে — অক্সিজেনের অভাবে।

বিজ্ঞান সম্মত ও স্বাস্থ্য সম্বত ভাবে যেসব সহায়ক দ্রব্য ক্ষত সারাতে ও ক্ষতকে বাইরে থেকে রক্ষা করতে ব্যবহিত হয় তাকে কি বলে? —সার্জিক্যাল ড্রেসিং।

সার্জিক্যাল ড্রেসিং কত প্রকার? — ৫ প্রকার।

ওষুধযুক্ত গজের বৈশিষ্ট্য-
— আয়োডোফর্ম গজ,
— ডাবল সায়ানাইড,
— বোরিক এসিড গজ।

গজ যে ধরনের সার্জিক্যাল ড্রেসিং-
— তুলা হতে তৈরী বিশেষ কাপড়,
— এক ধরনের শোষক ড্রেসিং,
— ঔষধযুক্ত বা ঔষধবিহীন কাপড় যার মাপ বর্গ ইঞ্চিতে ৪x৩৬ সুতা থেকে ২০x১২ সুতা পর্যন্ত হতে পারে।

আয়োডোফর্ম গজে কত % আয়োডোফর্ম থাকে? — ৪-৬%।

বোরিক এসিড গজে কত % বোরিক এসিড থাকে? — ৩-৭%।

ওষুধযুক্ত গজ-
— আয়োডোফর্ম গজ,
— ক্যাপসিকাম টিস্যু,
— ট্রাইনাইট্রোফেলন গজ।

জিঙ্ক পেস্ট ব্যান্ডেজ নিচের কোন ধরনের সার্জিক্যাল ব্যান্ডেজ? — বিশেষ তুলার কাপড় ব্যান্ডেজ।

প্রস্তুত প্রণালী অনুযায়ী ব্যান্ডেজ কে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? — ৪ ভাগে।

প্লাস্টার অব প্যারিসে কত % ক্যালসিয়াম সালফেট থাকে? — ৮০%।

নিচের কোনটি ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া কোডেক্স মোতাবেক তৈরী? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং।

উল্লেখযোগ্য লিন্ট কি?
— ১% ইউফ্লেবিন লিন্ট,
— ৩-৭% বোরিক এসিড লিন্ট।

জিঙ্ক অক্সাইড প্লাস্টারে কতভাগ জিঙ্ক অক্সাইড থাকে? — ২০-৩০%।

কোনটি স্থিতিস্থাপক প্লাষ্টারের বৈশিষ্ট্য? — আঠালো, টানলে লম্বা হয়, ২০-৩০% জিঙ্ক অক্সাইড থাকে।

স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং গুলো কত নম্বর পর্যন্ত হয়ে থাকে? — ১-১৬

ফার্মেন্টেশন ড্রেসিং নামে পরিচিত নিচের কোনটি? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-২

আঙ্গুলের ব্যান্ডেজ হিসেবে পরিচিত নিচের কোনটি? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-৭

আগুনে পোড়া জনিত ব্যান্ডেজ হিসেবে নিচের কোনটি ব্যবহিত হয়? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-১০

বিশেষভাবে আগুনে পোড়া জনিত ব্যান্ডেজ হিসেবে নিচের কোনটি ব্যবহিত হয়? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-১১ ও ১২

নিচের কোনটি চোখের প্যাড নামে পরিচিত? — স্ট্যান্ডার্ড ড্রেসিং নং-১৬

সাধারন ক্যাটগাট শোষিত হতে কত সময় লাগে? — ৩-৫ দিন।

ক্রোমিক ক্যাটগাট শোষিত হতে কত সময় লাগে? — ১০-৪০ দিন।

সুচার কয় ধরনের হতে পারে? — ২ ধরনের।

সার্জিক্যাল সুচারস এক ধরনের কী? — এক ধরনের তন্তু বা সুতা।

যে সুচারগুলো এনজাইম দ্বারা পরিপাক হয় না তাদের কী বলা হয়? — অশোষনযোগ্য সুচারস।

ভেড়ার ক্ষুদ্রান্ত্রের সাবমিউকাস যোজক কলা দ্বারা নীচের কোনটি তৈরী হয়? — ক্যাটগার্ট সুচারস।


যোগাযোগের মৌলিক দক্ষতাসমূহ : মডিউল-৪ : সেশন-৬

মডিউল-৪/সেশন-৬

যোগাযোগের মৌলিক দক্ষতাসমূহ

দুই বা ততোধিক পক্ষের মাঝে তথ্য আদান প্রদানই হলো — যোগাযোগ।

কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনে কার আন্তরিকতা এবং সহানুভূতি প্রয়োজন? — ডিসপেন্সারের।

রোগী ও গ্রাহক কর্তৃক ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কাদের মধ্যে যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে? — রোগী ও ডিসপেন্সারের।

কে তথ্য তৈরি করেন এবং প্রদান করেন? — তথ্যদাতা বা বস্তা।

বক্তা কার উদ্দেশ্যে তথ্য পেশ করেন? — গ্রহিতা বা শ্রোতার।

তথ্য দাতা ও গ্রহিতার মাঝে যা বিনিময় হয় সেটি কি? — বার্তা।

যোগাযোগ প্রধানত কয় ধরনের? — দুই ধরনের।

যোগাযোগের প্রধান দুই ধরনের-
— মৌখিক;
— কথোপকথনবিহীন যোগাযোগ।

কেবলমাত্র হ্যা বা না বলে উত্তর দেয়া যায় এমন প্রশ্ন কি করতে হবে? — সীমিত করতে হবে।

একজন ভালো যোগাযোগকারী একজন — ভালো শ্রোতাও বটে।

রোগীকে পরামর্শ প্রদানের সময় কি করতে হবে? — গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর যোগাযোগ কি ধরনের ভূমিকা পালন করে? — গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রোগীর সাথে আলাপ করার সময় কি ধরনের আচরন করতে হবে? — সৌজন্যমূলক।

কোন রোগী গেলে কি করতে হবে? — রোগ হওয়ার কারণটি চিহ্নিত করতে হবে।

গ্রাহক/রোগীকে শান্ত করার জন্য প্রয়োজনে কি করতে হবে? — ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

আপনি সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান দিতে না পারলে কার সহায়তা নিবেন? — উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সহযোগী/সহকর্মীদের।

যোগাযোগ কত প্রকার? — ২ প্রকার।

যোগাযোগের মাধ্যমে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে কিসের আদান প্রদান হয়? — তথ্য।

নিচের কোন মাধ্যমে গ্রহীতার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে?
— লিখিত বা অংকিত বার্তা;
— রেডিও বা বেতার কেন্দ্র;
— গান, নাচ বা নাটক।

একজন ভালো যোগাযোগকারীর কয়টি গুনাবলি থাকা উচিত? — ৯টি।

ভালো যোগাযোগকারীকে নিচের কোনটি হতে হবে? — ভালো শ্রোতা।

কার্যকর যোগাযোগের বাধা দুরীকরণের উপায় কোনটি?
— রোগীর সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করা;
— রোগীর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা বা শোনা;
— রোগী বা গ্রহককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা।

ভালো যোগাযোগ করার জন্য মডেল মেডিসিন শপের ডিসপেন্সারকে নিচের কোন পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত?
— পূর্ণ মনোযোগ;
— গ্রাহকের মুখোমুখি দাঁড়ানো;
— গ্রাহকের গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণ।

কার্যকর যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা নয় কোনটি? — রোগীর গোপনীয়তা বজায় রাখা।

রাহান্বিত রোগী বা গ্রাহকের ক্ষেত্রে কি ধরনের আচরণ করা উচিত?
— শান্ত মনোযোগী থাকার চেষ্টা করা;
— উদ্বেগের কারণ বোঝার চেষ্টা করা;
— উদ্বেগের বিষয়গুলো মিটানোর চেষ্টা করা।

দুর্বল যোগাযোগের ফলে নিচের কোন বিষয়টি হতে পারে?
— মেডিসিন শপের উপর গ্রাহকের আস্থা হারাতে পারে;
— মেডিসিন শপের আয়/উন্নতি কমে যেতে পারে;
— রোগী অতিরিক্ত বা স্বল্প মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে পারে।

আদর্শ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিচের কোনটি? — মৌখিক ও কথোপকথনবিহীন।


ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া এবং ফার্মাকোভিজিলেন্স : মডিউল-৪ : সেশন-৫

মডিউল-৪/সেশন-৫

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া এবং ফার্মাকোভিজিলেন্স

ক্লোরফেনিরামিন সেবনে রোগীর প্রতিক্রিয়া কি হয়? — ঘুম পায়।

সকল ওষুধেরই কি রয়েছে? — পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

ওষুধ সেবনের ক্ষতিকর ফল যা কাঙ্খিত নয় তাকে কি বলে? — ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রোগী কি ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন? — গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন।

কত সংখ্যক রোগী ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীণ হয়? — খুব স্বল্পসংখ্যক।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ফলে রোগী কী ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন?
— দীর্ঘমেয়াদী হাস্পাতালে অবস্থান।
— কোন অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি।
— গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি।
— মৃত্যু।

ইনসুলিনের কাজ কি? — ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজ কমায়।

রক্ত জমাট বাধা কমানোর ওষুধ সেবনে কি হতে পারে? — রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

Opioid সেবনে কি বৃদ্ধি পেতে পারে? — ঘুম।

তীব্র এলার্জির কারণে কি হতে পারে? — মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

টাইপ-সি : দীর্ঘিমেয়াদী প্রভাবঃ দীর্ঘদিন ওষুধ সেবনের ফলে হতে পারে (যেমন- NSAID বা ব্যাথানাশক-কিডনিতে Analgesic Nephropathy).

টাইপ-ডি : বিলিম্বিত প্রভাবঃ যেমন- Thalidomide ব্যবহারে গর্ভস্থ শিশুর উপর প্রভাব ফেলে এবং শিশু জন্মগত ত্রুটিসহ জন্ম নেয়, গর্ভাবস্থায় Stilbestrol এর ব্যবহার ২০ বৎসরের বেশী সময় পর কন্যার যোনীপথে (Vagina) ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

যে কোন ধরনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রোগীকে কোথায় পাঠাতে হবে? — নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

মহিলা রোগীকে ওষুধ দেওয়ার সময় কি জিজ্ঞেস করতে হবে? — গর্ভবতী কিনা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন কি না।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ঘটনা কাকে জানাতে হবে? — ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ঘটনা কোথায় রেকর্ড/লিপিবদ্ধ করতে হবে? — ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত ফরমে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ফরম টি কোথায় রয়েছে? — ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েব পেজ www.dgda.gov.bd তে।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ফরমটি পূরণ করে কার নিকট পাঠাতে হবে? — ঔষধ প্রশাসনের প্রতিনিধি Superintendent of Drug / Drug Inspector এর নিকটে।

কারা ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে আছেন?
— যারা নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ সেবন করছেন;
— গর্ভবতী মা;
— ধূমপায়ী;
— মাদক সেবনকারি;
— যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি;
— যাদের একই সাথে অনেকগুলো ওষুধ সেবন করতে হয়।

কিছু ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ

অন্ত্রে রক্তক্ষরণব্যাথানাশক (NSAID)
রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াহরমোন জাতীয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
কানে শুনতে সমস্যা ও কিডনিতে সমস্যাঅ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড এন্টিবায়োটিক
পারকিনসনিজমপ্রথম জেনারেশনের মানসিক সমস্যার ওষুধ সমূহ
এগ্রানুলোসাইটোসিসক্লোজাপাইন (মানসিক রোগের ওষুধ)
চুল পড়ে যাওয়াক্যান্সার বিনাশী ওষুধসমূহ
এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (রক্তকণিকা গঠিত না হওয়া)ক্লোরামফেনিকল

ওষুধ সেবন এর ফলে কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত যে প্রতিক্রিয়া ঘটে থাকে তাকে কি বলে? — বিরুপ প্রতিক্রিয়া।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া কয় ধরনের? — ৫ ধরনের।

দীর্ঘদিন ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন এর ফলে নিচের কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে? — কিডনিতে এনালজেসিক ন্যাপরোপ্যাথি।

ব্যথানাশক ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — অন্ত্রে রক্তক্ষরণ।

প্রথম জেনারেশন মানসিক সমস্যার ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — পারকিনসনিজম।

ক্যান্সার জাতীয় ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — চুল পড়া।

নিচের কোনটি ওষুধের বিলম্বিত বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে? — শিশুর জন্মগত ত্রুটি।

এমাইনোগ্লাওক্লোসাইড এন্টিবায়োটিকের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — কিডনিতে সমস্যা ও কানে শুনতে সমস্যা।

নিচের কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়াটি ওষুধের ডোজ নির্ভরশীল নয়? — ত্বকের র‍্যাশ বা এলার্জি।

নিচের কোনটি ওষুধের ফার্মাকোলজিক্যাল প্রভাব তথা ডোজ নির্ভর ও ধারণাকৃত বিরুপ প্রতিক্রিয়া? — রক্ত জমাট কমানোর ওষুধ সেবনের রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ফলে রোগী কি ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন?
— গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে;
— শরীরের কোন অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে;
— দীর্ঘ মেয়াদে হাসপাতালে অবস্থান বা মৃত্যু।

কোন বয়সের মানুষ বেশি বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ঝুকিতে থাকে? — ৬০ বছর।

নিচের কোন ধরনের ওষুধ সেবনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়? — নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ।

বিরুপ প্রতিক্রিয়া প্রতিবেদন কেন জরুরী? — ওষুধের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে।

ক্লোরামফেনিকল জাতীয় ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — এপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া।

বিরুপ প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট কিভাবে প্রেরণ করতে হয়? — এডিআর রিপোর্টিং ফর্মের মাধ্যমে।

নিচের কোন কাজটি করলে ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ঝুকি বৃদ্ধি পাবে? — একই সাথে একাধিক ওষুধ সেবন করলে।

নিচের কোনটি ওষুধের ফার্মাকোলজিক্যাল প্রভাব তথা ডোজ নির্ভর ও ধারণাকৃত বিরুপ প্রতিক্রিয়া? — ইনসুলিনের কারণে রক্তের গ্লুকোজ কমে যাওয়া।

ক্লোজাপাইন জাতীয় ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — এগ্রানুলোসাইটোসিস।

ওষুধ সেবন এর ফলে তার রোগ নির্মূলের পাশাপাশি শরীরের উপর অতিরিক্ত কিছু প্রভাব ফেলে যা অনাকাঙ্খিত হলেও অস্বাভাবিক নয় তাকে কি বলে? — পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

বিরুপ প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনার মাধ্যমে কি চিহ্নিত করা যেতে পারে?
— ওষুধের ব্যবহার;
— ওষুধের সংরক্ষনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন;
— ওষুধের বিজ্ঞাপন পরিবর্তন।

ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে মডেল মেডিসিন শপের ভূমিকা কি?
— বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রোগীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো;
— রোগী গর্ভবতী বা স্তনদানকারী কি না, তা জানা;
— গ্রাহককে ওষুধ সেবন ও সংরক্ষণে নির্দেশনা প্রদান।

বিরুপ প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট কোথায় প্রেরণ করতে হয়? — ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে।

হরমোন জাতীয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ কোনটি? — রক্ত জমাট বাধা।

ওষুধের ফার্মাকোলজিক্যাল প্রভাব তথা ডোজ নির্ভর ও ধারণাকৃত বিরুপ প্রতিক্রিয়া নিচের কোনটি? — টাইপ-এ।

কোন শ্রেণির মানুষ ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে?
— গর্ভবতী মা;
— ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ;
— ধূমপায়ী ও মাদক সেবী।


ওষুধের মান বজায় রাখা : মডিউল-৪ : সেশন-৪

মডিউল-৪/সেশন-৪

ওষুধের মান বজায় রাখা

নিম্নমানের ওষুধ সনাক্ত করার লক্ষণ কি কি?
— লেভেলসমূহ অসম্পূর্ণ ও অস্পষ্ট;
— প্যাকেজিং সমূহ ভাঙ্গা ও ছাড়া;
— তরল জাতীয় ওষুধের বোতলের তলায় তলানী জমে থাকা।

তরল জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— রং গন্ধ বা স্বাদে পরিবর্তন;
— বোতলের তলায় তলানী জমে থাকা;
— ছিপি বা ক্যাপ খোলার সময় গ্যাস বের হওয়া।

মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধের জন্য তৈরি রেজিস্টারে নিম্নের কোন তথ্যগুলো থাকা উচিত?
— উৎপাদন ব্যাচ নাম্বার ও পরিমাণ;
— মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ;
— ওষুধের নাম, ডোজেজ ফর্ম ও স্ট্রেন্থ।

সলিড জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— ওষুধের রং পরিবর্তন বা অস্বাভাবিক গন্ধ;
— প্যাকেজিং এ আঠালো বা ফুটো হয়ে লিক করা;
— ওষুধটি ফুলে উঠা, সহজে ভাঙ্গা বা আবরণ নরম হওয়া।

সেমি সলিড জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— রং ও গন্ধ পরিবর্তন হওয়া;
— ওষুধ শুকিয়ে যাওয়া;
— মলম বা ক্রিম গলে গিয়ে তরল হয়ে যাওয়া।

ওষুধের ভৌতগুণাবলি নিচের কোনটি? — গন্ধ, আকার আকৃতি ও রং, স্বচ্ছতা ও অবস্থা।

জীবাণুমুক্ত জাতীয় নিম্নমানের ওষুধ চিহ্নিত করার লক্ষণ কি কি?
— রং এবং স্বচ্ছলতার পরিবর্তন;
— দ্রবণের ঘোলাটে ভাব বা তলানী জমা;
— আস্বাভাবিক জিনিসের উপস্থিতি বা প্যাকেজিং এর সমস্যা।

নকল ওষুধের মূল ক্রেতা কে? — ব্যক্তি মালিকানাধীন খুচরা ওষুধের দোকান ও ক্লিনিক।

নকল ওষুধ সনাক্ত করার উপায় কি?
— প্যাকেটের সাইজ ও রং;
— ব্যাচ নাম্বার ও ওষুধের গঠন;
— আসল ওষুধের তুলনায় আস্বাভাবিক কম মূল।

নকল ওষুধ সেবনের ফলে রোগীর কি কি খারাপ পরিণতি হতে পারে?
— ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি;
— অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স;
— রোগীর অবস্থা খারাপ এমনকি মৃত্যু।

নকল ওষুধ চিহ্নিত করতে পারলে কোথায় রিপোর্ট করতে হবে?
— ওষুধ প্রশাসনের অফিসে;
— সরবরাহকারীকে/উৎপাদনকারীকে।

তরল ডোজেজ ফর্মের ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ হল
— ওষুধের রং, গন্ধ এবং স্বাদ পরিবর্তিত হওয়া;
— ড্রাই সিরাপ ও পাউডার ফর সাসপেনশন দলা বেধে যাওয়া;
— বোতলের তলায় তলানি জমা, যা বার বার ঝাঁকালেও দ্রবীভূত হয় না।

নকল ওষুধের ব্যবসা সাধারণ কিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়? — দালাল বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।

ভেজাল ওষুধ চিহ্নিত করণের উপায় কি?
— সক্রিয় উপাদান সামান্য পরিমাণে বা কিছুই থাকে না;
— যার পরিচিতি ও উৎস সম্পর্কে ভূল তথ্য থাকে;
— বাজারে উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন ও একই রকম দেখতে।

নকল ওষুধ সংগ্রহ করার ফলে ব্যবসায়িক কি কি ক্ষতি হতে পারে?
— দোকানির উপর রোগীর আস্থা হারাতে পারে;
— দোকানের আয় কমে যেতে পারে;
— লাইসেন্স হারানো সহ ওষুধ প্রশাসনের আইনগত পদক্ষেপের আওতায় পড়বে।

স্টেরাইল ডোজেজ ফর্মের ওষুধ নষ্ট হওয়ার লক্ষণ হল –
— ওষুধে তলানী পড়ে;
— ওষুধের বর্ণ ও স্বচ্ছতা পরিবর্তন হয়;
— ওষুধ ঘোলাটে হয়ে যায়।

মডেল মেডিসিন শপ চালাতে নিম্নের কোন নির্দেশনাটি থাকা উচিত নয়? — মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করার নির্দেশনা।

ওষুধের সুস্থিতির গ্রহণযোগ্য মানের ধরণ কোনটি?
— রাসায়নিক সুস্থিতি;
— ভৌত সুস্থিতি;
— অনুজীব সম্পর্কিত।

ওষুধ বিক্রয় বা বিতরণের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে –
— ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ভাঙ্গা বা গলে যাওয়া;
— ব্লিস্টার বা স্ট্রিপ ছেড়া ফোটা কিনা;
— ভায়ালের ওষুধের ভৌত পরিবর্তন হয়েছে কি না।

ওষুধ বিক্রয় বিতরণের সময় কোন বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত?
— ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ভাঙ্গা বা গলে যাওয়া;
— ব্লিস্টার বা স্ট্রিপ ছেড়া ফোটা কিনা;
— বোতলের সিল ভাঙ্গা কি না।


ওষুধ প্রয়োগের পথ : মডিউল-৪ : সেশন-৩

মডিউল-৪/সেশন-৩

ওষুধ প্রয়োগের পথ

ওষুধের কার্যকারিতা নির্ভর করে কিসের উপর?
— শক্তিমাত্রা/পটেন্সির উপর;
— কোন পথে প্রয়োগ করা হল তার উপর;
— ডোজেস ফর্মের উপর এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের উপর।

সাধারণত কয়টি প্রধান পথে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়? — ০৪টি।

চিকিৎসক/ফার্মাসিস্ট এর নিকট ১ চা-চামচ মানে হলো — ৫ এম এল।

ইনহেলার ব্যবহারের সময় শ্বাস ছেড়ে দেওয়ার আগে কত সেকেন্ড আটকে রাখতে হয়? — ১০ সেকেন্ড।

চুইংগাম জাতীয় ওষুধসমূহ অনেক সময় কত মিনিট পর্যন্ত চিবাতে হয়? — ৩০ মিনিট।

ওষুধ শরীরে যে পথে প্রবেশ করানো হয় সেটি হল ওষুধ প্রয়োগের পথ।

ওষুধ প্রয়োগের ৪টি প্রধান পথ হলো :
— এন্টারাল (মুখে খাওয়ার মাধ্যমে)
— প্যারেন্টারাল রুট (ইনজেকশনের মাধ্যমে)
— টপিক্যাল রুট (সরাসরি চামড়ায়)
— রেসপিরেটরি রুট (শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে)

এটোরভাসটাটিন জাম্বুরা জাতীয় ফলের রস (জুস) দিয়ে খেলে মারাত্মক বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন দুধের সাথে গ্রহণ করলে তা অন্ত্রে পুরোপুরি শোষিত হয় না।

স্কীনের লেয়ার/স্তর কয়টি? — ৫টি।

ইনহেলারটি ব্যবহারের পূর্বে কি করতে হবে? — ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।

ইনহেলারটি ব্যবহারের পূর্বে কত বার ঝাঁকিয়ে নিতে হবে? — ৩ থেকে ৪ বার।

করটিকোস্টেরয়েড জাতীয় মলম দিনে কত বারের বেশি ব্যবহার করা উচিত হয়? — দিনে ২ বারের বেশি।

একই স্থানে ক্রিম/ লোশন লাগানোর কতক্ষন পর আরেকটি ক্রিম/লোশন লাগাতে হবে? — ৩০মিনিট/আধঘণ্টা।

সাপোজিটরি প্রয়োগ করার পর কতক্ষণ পর্যন্ত টয়লেট ব্যবহার করা যাবে না? — ১ ঘণ্টা পর্যন্ত।

দুধ পান করার কত ঘণ্টা পর সিপ্রোফ্লোক্সাসিন সেবন করতে হবে? — ২ ঘণ্টা।

অ্যামোক্সিসিলিন কিসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির।

খাবার গ্রহনের কত ঘণ্টাপূর্বে এম্পিসিলিন সেবন করতে হবে? — ১ ঘণ্টা পূর্বে।

কোন দুটি ওষুধ এক সাথে খেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে? — অ্যাসপিরিন + ওয়ারফেরিন।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিড কিসের শোষণ এবং কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — সিপ্রোফ্লোক্সাসিন এর।

সিপ্রোফ্লোক্সাসিন সেবনের কতক্ষন পর এন্টাসিড সেবন করতে হবে? — ২ ঘণ্টা পর।

মেট্রোনিডাজল দ্বারা চিকিৎসা নেওয়ার সময় কি সেবন করা যাবে না? — এলকোহল।

ডাইসালফিউরাম গ্রহণের সাথে এলকোহল গ্রহণ করলে জীবন নাশের ঝুঁকিপূর্ণ বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে কারণ এটি ইথানলকে যকৃতে ভেঙ্গে ফেলার প্রক্রিয়াটি প্রতিহত করে।

ইনহেলার প্রয়োগের জন্য কতটি ধাপ মেনে চলা উচিত? — ৬টি।

নিচের ওষুধ গুলো সেবনের আগে বা পরে জাম্বুরা জাতীয় ফল বা ফলের রস খাবেন না।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ – ফিলোডিপিন, নিফেডিপিন, নিমোডিপিন, নিকারডিপিন।

রক্তে চর্বি কমানোর ওষুধসমূহ – অ্যাটরভাসট্যাটিন, লোভাস্ট্যাটিন, সিমভাস্ট্যাটিন।

মানসিক চাপ/হতাশা কমানোর ওষুধসমূহ – ডায়াজিপাম, মিডাজোলাম, ট্রায়াজোলাম, কার্বাসাজিপাইন, ক্লোমিপ্রামিন, জ্যালেপলোন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর ওষুধ – সাইক্লোস্পোরিন, ট্যাক্রলিমাস।

ত্বকের সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ০.১ – ০.২ মিলি।

অধঃত্বকে সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ১.০ মিলি।

মাংশপেশীতে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ১-২ মিলি।

মাংশপেশীতে বয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত মিলি ঔষধ প্রয়োগ করা যায়? — ৩.০ মিলি।

শিরায় ইনজেকশনের ক্ষেত্রে কত মিলি বেশি হলে ইনফিউশন বলে? — ১৫ মিলি।

ব্যাথানাশক ঔষধ সাধারণত খেতে হয়? — খাবার গ্রহনের পড়ে।
নোট : ব্যাথানাশক ঔষধ সাধারণত ভরা পেটে খেতে হয় যাতে করে-পাকস্থলিতে ঔষধজনিত এসিড নিঃসরণ কম হয়।

চোখে পরপর ঔষধ ব্যবহার করলে নূন্যতম কত মিনিটের ব্যবধান করে ব্যবহার করতে হবে? — ৫মিনিট।

চোখের ড্রপ প্রয়োগের পর কতক্ষন চোখের পাতা বন্ধ রাখা উচিত? — ১-২ মিনিট।

এন্টরিক কোটেড ট্যাবলেট শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত শোষিত হয়? — ক্ষুদ্রান্ত।

মানুষের শরীরে সাধারণত কয় পথে ওষুধ প্রবেশ করানো হয়? — ৪টি।

ওষুধের কার্যকারিতা নিম্নের কোনটির উপর নির্ভর করে?
— ওষুধ প্রয়োগের পথ;
— মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ;
— ওষুধের শক্তি মাত্রা ও ডোজেজ ফর্ম।

ওয়েন্টমেন্ট ক্রিম, জেল,মলম,পেস্ট কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — অর্ধ তরল।

সাপোজিটরি জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — রেক্টাল রুট।

চোখের মলম, ফোটা বা ড্রপ জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — কনজাংটাইবাল রুট।

গুড়া ওষুধ বড়ি বা ট্যাবলেট, ক্যাপসুল সিরাপ ইমালশন স্যাচেট ও পিল জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — এন্টারাল রুট।

ডেন্টিপ্রিসেস ইনসাপ্লেশন, ইফারভিসেন্ট কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — সলিড।

ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওষুধের গুড়া, লজেন্স, সাপোজিটরী, স্যাচেট কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — সলিড।

দ্রবন, ইমালশন, সিরাপ, সাসপেনশন, মাউথওয়াশ ও স্প্রে কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — তরল।

দুধের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে কার্যকারিতা কমে যায়? — সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

চুইংগাম জাতীয় ওষুধ সমূহ অনেক সময় কত সময় চিবাতে হয়? — ৩০ মিনিট।

সাপোজিটরি এক ধরনের সেমিসলিড ডোসেজ ফর্ম যা সাধারণত — পায়ুপথে ব্যবহার করা হয়।

কোন ধরনের মলম দিনে দুইবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়? — করটিকোস্টেরয়েড।

ওষুধ প্রয়োগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো — মুখ ও মুখ গহ্বর।

এরোসল বা ইনহেলার জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — ইন্ট্রা-রেসপিরেটরী।

লজেন্স জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — সাবলিঙ্গুয়াল।

প্যাচ জাতীয় ওষুধ নিচের কোন পথে প্রয়োগ করা হয়? — ট্রান্সডারমাল রুট।

এরোসল ও ইনহেলার কোন ডোজেজ ফর্মের ওষুধ? — গ্যাস।

কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নেওয়া উচিত? — তরল।

নিচের কোনটি জীবাণু মুক্ত ওষুধ? — চোখের ড্রপ।

ইনহেলার মুখ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর শ্বাস কতক্ষন আটকে রাখতে হয়? — ১০ সেকেন্ড।

সাপোজিটরি ব্যবহারের পর কতক্ষণ পর্যন্ত টয়লেট ব্যবহার করা যাবে না? — ৬০ মিনিট।

যে ওষুধের কৌটা থেকে উচ্চচাপে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ বের করা হয়, তা হলো — এ্যারোসল ও ইনহেলার।

শ্বসনতন্ত্রে প্রয়োগ করা হয় — ইনহেলার।

জাম্বুরা জাতীয় ফলের রসের সাথে কোন জাতীয় ফলের রস খেলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে? — এটোরভাসটাটিন।

এক চা-চামচ বলতে কত মিলি লিটার ওষুধ বুঝায়? — ৫ মি.লি.।

একই স্থানে একাধিক ক্রিম বা লোশন লাগানোর ক্ষেত্রে কত মিনিট পর পর লাগানো উচিত? — ৩০মিনিট।

কোন ধরনের ওষুধ ত্বকের মাধ্যমে দেওয়া হয়? — ইনজেকশন।

পেসারিজ কি ধরনের ডোসেজ ফর্ম? — সলিড।

কোন ধরনের ওষুধ ত্বকের নিচে ইমপ্লান্ট করা হয়? — প্যাচ।

ওষুধের মিথস্ক্রিয়ার ফলে নিচের কোনটি হতে পারে?
— চিকিৎসার সার্বিক কার্যকারিতা কমে যেতে পারে;
— রোগের অবস্থা জটিলতর হতে পারে এমন কি মৃত্যু হতে পারে;
— বিরুপ প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে।

নিচের কোনটি মুখে সেবন করলে যে কোন ওষুধের শোষণ বাধা পায়? — চারকোল।

ওয়ারফেরিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে না? — অ্যাসপিরিন ও ফেনোবারভিটল।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিডের মিথস্ক্রিয়া প্রতিরোধের জন্য দুইটি ওষুধ কতক্ষন পর পর সেবন করতে হবে? — ২ ঘণ্টা।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিডের সাথে নিচের কোনটি সেবন করলে ওষুধটির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

মেট্রোনিডাজল ওষুধের সাথে নিচের কোনটি সেবন করলে রোগীর অনেক বমি হতে পারে? — অ্যালকোহল।

নিচের কোনটি সাব-লিঙ্গুয়াল ট্যাবলেটের উদাহরণ? — নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট।

জিলাটিন কোন ধরনের ওষুধে ব্যবহার করা হয়? — ক্যাপসুল।

ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিডের সাথে নিচের কোনটি সেবন করলে ওষুধটির কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়? — ওমিপ্রাজল।

টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ সমূহ নিচের কোন ধরনের ওষুধের শোষণকে প্রভাবিত করে? — এন্টাসিড ও আয়রণ, ক্যালসিয়াম বা জিংক সমৃদ্ধ ওষুধ।

এসপিরিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে ওষুধটির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায়? — ওয়ারফেরিন।

কোন কিছুর উপস্থিতির কারণে যখন কোন ওষুধের কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন তাকে কি বলে? — মিথস্ক্রিয়া/মিশ্রক্রিয়া।

অ্যামোক্সিসিলিন জাতীয় ওষুধের সাথে নিচের কোন ওষুধের মিথস্ক্রিয়া হতে পারে? — জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি।

কোন মাধ্যমে প্রয়োগকৃত ওষুধ সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা সম্পন্ন এবং জীবাণুমুক্ত? — শিরা ও ধমনী পথ।

এসপিরিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে ওষুধটির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায়? — ওয়ারফেরিন।

পাকস্থলীর পরিপাক ক্রিয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ করতে কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে হয়? — এন্টেরিক কোটেড ট্যাবলেট।

ইরাইথ্রোমাইসিন এর সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে ওষুধটির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি পায়? — ওয়ারফেরিন।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে পাকস্থলীর রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়? — ব্যাথানাশক (NSAIDS)

এম্পিসিলিন ওষুধ কখন সেবন করতে হয়? — খাওয়ার ১ ঘণ্টা পূর্বে।

দুধ নিচের কোন ধরনের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়? — সিপ্রোফ্লক্সাসিন।

জাম্বুরা জাতীয় ফলের রসের সাথে নিচের কোন ধরনের ওষুধের মিথস্ক্রিয়া দেখা দিতে পারে?
— মানসিক চাপ বা হতাশা কমানোর ওষুধ;
— উচ্চ রক্তচাপের ও রক্তে চর্বি কমানোর ওষুধ;
— রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর ওষুধ।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে? — মেট্রোনিডাজল, সেপোফেরাজোন এবং ক্লোরপ্রোপামাইড।

চর্বিযুক্ত খাবার নিচের কোন ধরনের ওষুধের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়? — গ্রাইসোফুলভিল।

যে কোন ধরনের খাবার নিচের কোন ধরনের ওষুধের শোষণ কমিয়ে দেয়? — এম্পিসিলিন।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধ সেবন করলে জীবন নাশের ঝুঁকিপূর্ণ বিষক্রিয়া হতে পারে? — ডাইসালফিউরাম।

অ্যালকোহলের সাথে নিচের কোন ওষুধটির মিথস্ক্রিয়া হয় না? — স্টেরয়েড, কোলেস্টরলের ওষুধ, টেট্রাসাইক্লিন ও টারফেনাডিন।


ডিসপেন্সিং : মডিউল-৪ : সেশন-২

মডিউল-৪/সেশন-২

ডিসপেন্সিং

ডিসপেন্সিং কি? — এটি একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে রোগী বা গ্রাহককে ওষুধপত্র দেয়া হয়।

ওষুধ ডিসপেন্সিং মূলত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সর্বশেষ ধাপ।

ডিসপেন্সিং এর উপর অনেক সময় রোগীর বা গ্রাহকের চিকিৎসার ফলাফল নির্ভর করে।

ডিসপেন্সার কে? — একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য ব্যক্তি।

ব্যবস্থাপত্র কি? — একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক লিখিত নির্দেশনা।

ব্যবস্থাপত্র প্রদানকারী কে? — আইনগতভাবে অনুমোদিত একজন শিক্ষিত চিকিৎসক।

একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক রোগীকে রোগ নিরাময়ের জন্য যে পথ্য/উপাদান এবং অবশ্য পালনীয় পরামর্শ দেন সেগুলো সাধারণভাবে কি হিসাবে বিবেচিত হয়? — ওষুধপত্র।

রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের দ্বারা লিখিত ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন মেডিসিন গুলো বিক্রয় করা যাবে না? — Prescription only Medicine

যে সকল ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই রোগী বা গ্রাহকের কাছে সরাসরি বিক্রয় করা যায় তাকে কি বলে? — OTC Drug

OTC Drug কয়টি? — ৩৯ টি।

OTC মানে কি? — Over-The-Counter

ডিসপেন্সিং এর কয়টি সঠিক ধাপ রয়েছে? — ৫টি।
ডিসপেন্সিং এর এই ৫টি সঠিক ধাপ নিচে উল্লেখ করা হলো।
— সঠিক ওষুধ
— সঠিক ডোজ
— সঠিক পরিমাণ
— সঠিক পাত্র/কন্টেননার
— সঠিক সেবনবিধি/নির্দেশনা

ডিসপেন্সিং প্রক্রিয়ার কয়টি ধাপ রয়েছে? — ৮টি
ডিসপেন্সিং এর এই প্রক্রিয়াগুলো হলো :
— ব্যবস্থাপত্র পড়া ও পর্যালোচনা করা
— ডিসপেন্সিং এর জন্য ওষুধ সংগ্রহ করা
— লেবেল প্রিন্ট করে পাত্র বা মোড়কে এঁটে দেওয়া
— ব্যবস্থাপত্র পুনঃপরীক্ষা করা
— ওষুধের পরিমাণ, মূল্য নির্ণয় ও বিল প্রস্তুত করা
— ওষুধ প্যাকেটে ভরা
— ক্রেতাকে ওষুধ প্রদান ও সেবনের পরামর্শ দেয়া
— ডিসপেন্সিং রেকর্ড রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা

যদি আপনি চিকিৎসকের লেখা পড়তে না পারেন তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

যদি দেখেন যে একই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ৩ বার বা তার বেশি ওষুধ নেয়া হচ্ছে তবে রোগী বা গ্রাহককে পুনরায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অনুরোধ করুন।

ওষুধের জেনেরিক নাম : আমাদের দেশে সাধারণত রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধসমূহ ট্রেড/ব্যবসায়িক নামে লেখা হয়। জেনেরিক নামসমূহ আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেয়া হয়ে থাকে। পৃথিবীর সর্বত্রই কোন একটি ওষুধের একই জেনেরিক নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রক্ত বন্ধ করা বা বিশেষ ধরণের ক্ষতের জন্য : ১ ভাগ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ৩ ভাগ পানিতে মিলিয়ে নিতে হবে। এ দ্রবনে তুলো ভিজিয়ে ক্ষততে লাগাতে হবে।

নোংরা ড্রেসিং তুলে ফেলার জন্য : ১ ভাগ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ৩ ভাগ পানি মিলিয়ে নিতে হবে। এই দ্রবন দিয়ে ড্রেসিং ভিজিয়ে নিন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন এবং তুলে ফেলুন।

মাউথওয়াশ ও দুর্গন্ধনাশক : এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিলিয়ে গড়গড়া করুন।

তৈরি খাবার স্যালাইন দ্রবন ১২ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করতে হবে। ১২ ঘণ্টা পর যদি কিছুটা থেকে যায়, তবে তা ফেলে দিন।

ওষুধ ডিসপেন্সিং প্রক্রিয়া কয়টি ধাপে সম্পন্ন করতে হয়? — ৮টি।

ওষুধ ডিসপেন্সিং এর সময় কয়টি অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে? — ৫টি।

একটি আদর্শ ব্যবস্থাপত্রে কয়টি তথ্য থাকা উচিত? — ৮টি।

কোন রোগী একই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী কত বার ওষুধ নেওয়া হলে পুনরায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অনুরোধ করতে হবে? — ৩ বার।

ব্যবস্থাপত্র চেক করার সময় চেকলিস্ট মোতাবেক কয়টি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে? — ৫টি।

ওষুধ ডিসপেন্সিং এর লেবেলে চেকলিস্ট মোতাবেক কয়টি তথ্য থাকা উচিত? — ৮টি।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এর প্যারাসিটামল ওষুধের ব্যবসায়িক নাম কি? — এইচ।

বাক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এর প্যারাসিটামল ওষুধের ব্যবসায়িক নাম কি? — নাপা।

রোগী বা গ্রাহকের জন্য নির্দেশনার চেকলিস্টে কয়টি তথ্য থাকা উচিত? — ৬টি।

নোংরা ড্রেসিং তুলে ফেলার জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও পানির কোন অনুপাতে সলিউশন ব্যবহার করা হয়? — ১:৩

রক্ত বন্ধ করা বা বিশেষ ধরণের ক্ষতের জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও পানির কোন অনুপাতে সলিউশন ব্যবহার করা হয়? — ১:৩

একটি পূর্ণ বয়স্ক মানুষের জন্য কয় গ্লাস পানিতে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হয়? — ২ গ্লাস।

একটি শিশুর জন্য কয় লিটার পানিতে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে? — $\frac{১}{৪}$

একজন ভাল ডিসপেন্সারের গুণাবলি –
— গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ ও সেবা দান করতে পারা;
— ওষুধপত্র ও সাধারণ রোগ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা;
— সততা ও পেশাদার আচরণ।

আদর্শ ব্যবস্থাপত্রে যে তথ্যগুলো থাকা উচিত?
— রোগীর নাম ও বয়স, ওষুধের নাম, ডোজেজ ফর্ম ও ডোজ এবং চিকিৎসার সময়;
— স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের নাম ও তারিখ;
— ডাক্তারের নাম, পদবী ও স্বাক্ষর।

কোন নামটি মনে রাখা সহজ — ট্রেড নাম বা ব্যবসায়িক নাম।

কোনটি জেনেরিক নামের উদাহরণ? — প্যারাসিটামল।

ওষুধের ট্রেড নাম কে নামকরণ করেন? — ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।

পৃথিবীর সর্বত্রই একটি ওষুধের কোন নামটি একই ব্যবহার করা হয়ে থাকে? — জেনেরিক নাম।

ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের কোন নামগুলো বেশি ব্যবহার হয়? — ট্রেড নাম বা ব্যবসায়িক নাম।

কোন নামটি ছোট হয়? — ট্রেড নাম বা ব্যবসায়িক নাম।

আমাদের দেশে ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের কোন নাম লিখা হয়? — ট্রেড নাম বা ব্যবসায়িক নাম।

আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোন নামটি দেওয়া হয়? — জেনেরিক নাম।

বড়ি বা ক্যাপসুল জাতীয় ওষুধ নিম্নে কিসের মাধ্যমে ডিসপেন্স করা উচিত? — প্লাস্টিকের জিপ ব্যাগ/প্যাকেট অথবা কাগজের খাম।

মাউথ ওয়াশ ও দুর্গন্ধ নাশক হিসেবে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও পানি কি পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে? — এক গ্লাস পানি ও দুই টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।

কোন ধরনের ওষুধ পাউডার ফর সাসপেনশন বা গুড়া হিসাবে বাজারজাত করা হয়? — এন্টিবায়োটিক।

কোন ধরনের ওষুধ পুনঃপ্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়? — এন্টিবায়োটিক।

কোন ধরনের গুড়া ওষুধের কার্যকারিতা দীর্ঘ সময় থাকে না? — এন্টিবায়োটিক।


ওষুধ ব্যবস্থাপনার মূলনীতি : মডিউল-৪ : সেশন-১

মডিউল-৪/সেশন-১

ওষুধ ব্যবস্থাপনার মূলনীতি

ওষুধ ব্যবস্থাপনা চক্রের ধাপ কয়টি? — ৫ টি।

রোগী/গ্রাহকগণ যে সকল ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া ক্রয় করতে পারে সেগুলোকে কি বলে? — OTC Drug

OTC মানে কি? — over-the-counter

ফেরিওয়ালা বা মুদিদোকান থেকে ওষুধ কেনা উচিৎ নয় কারণ তাতে চুরি করা বা নকল ওষুধ কেনার মারাত্মক ঝুঁকি থাকে।

লাইসেন্সধারী প্রস্তুতকারক বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের সুবিধাসমূহ :
— পণ্যসমূহ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পাওয়া যায়।
— ভেজাল বা নকল পণ্য বা ওষুধ কেনার ঝুঁকি কমে।
— পণ্যসমূহের সমস্যা দেখা দিলে তা পরিবর্তন করা যায়।
—পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা ফেরত দেয়া বা বদলে ফেলা যায়।

প্রতিকূল পরিবেশ- যেমন- সরাসরি সূর্যালোক, উচ্চ তাপমাত্রা, পানি অথবা ধুলাবালিতে ওষুধ উন্মুক্ত হলে তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

স্থানান্তরের আগে এবং পরে সকল ওষধই সঠিকভাবে প্যাকেট করতে হবে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত হয়ে ওষুধের মান ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

ওষুধের মূল্য কে নির্ধারণ করে? — ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

ওষুধ সাজানোর সবচেয়ে কার্যকর প্রক্রিয়া কোনটি? — রোগীর চিকিৎসা প্রয়োগ অনুসারে সাজানো।

ওষুধ সাজানোর কোন প্রক্রিয়াটি সহজেই অনুসরণ করা যায়? — রোগীর চিকিৎসা প্রয়োগ অনুসারে সাজানো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কিসের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ করা উচিৎ? — ইনজেকশনসমূহ এবং চর্মরোগের ওষুধসমূহের জন্য।

উপরের তাকে যেসকল ওষুধ রাখবেন : ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, হালকা সামগ্রী যা একটু বেশি জায়গা নেয়, যেমন- সিরিঞ্জ, তুলা ইত্যাদি। তবে যে সকল ওশুধ কম ডিসপেন্সিং করা হয় এবং যে সকল ওষুধ তাপ সহ্য করতে পারে না সেগুলি নয়।

মাঝের তাকে যে সকল ওষুধ রাখবেন : সিরাপ, মুখে খাওয়ার সাসপেনশন ইত্যাদি। যেমন : এমোক্সিসিলিন, ম্যাগনেসিয়াম ট্রাই সিলিকেট মিক্সচার ইত্যাদি।

নিচের তাকে যে সকল ওষুধ রাখবেন : ভারী এবং বড় সাইজের পণ্য যেমন – জীবাণুনাশক বা এর কোন তরল উপস্থাপনা, ত্বকে ব্যবহারের ক্রিম বা মলম ইত্যাদি।

প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ওষুধসমূহ সংরক্ষণ করতে হবে। আলো থেকে সূরে, ঠান্ডা এবং শুকনো স্থানে/পরিবেশে রাখতে হবে।

মেডিসিন শপে ওষুধ সংরক্ষণে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে-
— তাপমাত্রা;
— আর্দ্রতা;
— সরাসরি সূর্যালোক;
— পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।

যে ওষুধ সমূহের মেয়াদ অল্প সেগুলো তাকের সামনের দিকে রাখুন এবং দীর্ঘ মেয়াদসম্পন্ন ওষুধগুলো তাকের পিছন দিকে রাখুন।

যে সকল ওষুধ ওজনে হালকা সেগুলো উপরের তাকে এবং ভারী ওষুধ গুলো নিচের তাকে রাখুন।

সকল বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট যেমন-ইনসুলিন, ভ্যাকসিনসমূহ ইত্যাদি রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ইনজেকশনসমূহের এবং চর্মরোগের ওষুধের জন্য মডেল মেডিসিন শপে বা গুদামে নির্ধারিত আলাদা স্থান থাকা দরকার।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নথিভূক্ত করার পর প্যাকেট সিলগালা করে লালকালিতে “মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ/ক্ষতিগ্রস্থ ওষুধ বিক্রয়ের জন্য নহে” লেখা লেবেল লাগিয়ে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ ক্রয় বা সংগ্রহের সময় কয়টি বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত? — ৫টি।

ঔষধ ব্যবস্থাপনা চক্রের ধাপ কয়টি? — ৫টি।

ফার্মেসীর ওষুধ মওজুত ব্যবস্থাপনার জন্য কয় ধরণের নথি সংরক্ষণ করতে হবে? — ৬টি।

মডেল মেডিসিন শপের কয়টি অংশ থাকা আবশ্যক? — ২টি।

মডেল মেডিসিন শপে কোনটি থেকে ওষুধ ক্রয় বা সংগ্রহ করা যাবে না? — ফেরীওয়ালা।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কোন ধরনের ওষুধ আলাদা স্থানে রাখা উচিত? — ইনজেকশন ও চর্মরোগের ওষুধ।

মডেল মেডিসিন শপের শেলফের উপরের তাকে কোন ধরনের ওষুধ রাখা উচিত? — ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল।

শেলফে বা তাকে ঔষধ যে পদ্ধতিতে সাজাতে হবে?
— চিকিৎসা প্রয়োগ অনুযায়ী;
— ডোজেস ফর্ম অনুযায়ী;
— নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী।

মডেল ফার্মেসীতে কি পরিমান ওষুধ ১ সপ্তাহে ক্রয় করা হবে তা নিম্নের কোনটি দ্বারা নির্ধারণ করা হয়? — বিগত সপ্তাহের ওষুধ ডিসপেন্সিং এর পরিমানের উপর।

মডেল মেডিসিন শপের শেলফের মাঝের তাকে কোন ধরনের ওষুধ রাখা উচিত? — সিরাপ ও সাসপেনশন।

মডেল মেডিসিন শপের শেলফের উপরের তাকে কোন ধরনের ওষুধ রাখা উচিত নয়? — তাপ সহ্য করতে পারে না এমন ওষুধ।

মেডিসিন শপে ওষুধগুলো সংরক্ষণে নিচের কোন বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে?
— সরাসরি সূর্যের আলো;
— তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা;
— পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।

মডেল মেডিসিন শপের শেলফের নিচের তাকে কোন ধরনের ওষুধ রাখা উচিত? — জীবাণুনাশক।

নিচের কোন ওষুধ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা উচিত? — সকল বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট।

ফার্মেসীর ওষুধ মওজুত ব্যবস্থাপনায় নিচের কোন ধরণের নথি সংরক্ষণ করতে হয় না? — বিদেশী ওষুধের নথি।

ফার্মেসীতে ওষুধ ডিসপেন্সিং নিচের কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত? — FEFO (First Expirer First Out)

মডেল মেডিসিন শপে কোন ধরনের ওষুধ রাখা জরুরি? — রোগীরা যেসব ওষুধ নিয়মিত ক্রয় করে থাকে।


অণুজীববিজ্ঞান : মডিউল-৩ : সেশন-২

মডিউল-৩/সেশন-২

অণুজীববিজ্ঞান

ভাইরাসের আয়তন কত? — ১৭-৪৫০ মিলিমাইক্রন।

অনুজীব গুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? — ৫ ভাগে।

অনুজীব সম্পর্কে আধুনিক ধারণা দেন কে? — লুই পাস্তুর।

লুই পাস্তুর কোন দেশের বিজ্ঞানী ছিলেন? — ফরাসি।

লুই পাস্তুর কত সালে অনুজীব সম্পর্কে ধারণা দেন? — ১৮৬০-১৮৬৫ সালে।

যে সকল অনুজীব রোগ সৃষ্টি করতে পারে তাদেরকে কি বলে? — প্যাথোজেনিক।

ভাইরাস জনিত রোগের ভ্যাকসিন কি থেকে তৈরি করা হয়? — ভাইরাস।

মরণব্যাধি এইডস কোন ভাইরাসের মাধ্যমে হয়? — এইচ আই ভি।

HIV ভাইরাসের পুর্ণ নাম কি? — Human Immunodeficiency Virus

কোন ভাইরাসের আক্রমণে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ হয়? — মাইক্সো।

নিচের কোন রোগটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়? — যক্ষ্মা।

কিউ জ্বর নিচের কোন রিকেটসিয়া দ্বারা সৃষ্ট? — রিকেটসিয়া কক্সবারনটি।

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়া কতটি অংশ নিয়ে গঠিত? — ৬টি।

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার কোন অংশে উৎসেচক থাকে? — কোষ ঝিল্লী।

টিউবারকিউলোসিস ব্যাকটেরিয়া কিসের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের বিস্তার ঘটায়? — শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।

হেপাটাইটিস বি এর টিকা কয় মাত্রায় দেওয়া হয়? — ৩ মাত্রায়।

পানি বাহিত রোগ কোনটি? — টাইফয়েড।

কি হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়? — ডায়রিয়া।

ভিবরিও কলেরি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে কোন রোগ হয়? — কলেরা।

কোন রোগ হলে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়? — জন্ডিস।

যক্ষ্মা কি ধরণের রোগ? — প্রাণী বাহিত।

কোন ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ হয়? — টিউবারকিউলোসিস।

কোন রোগ প্রতিরোধের জন্য বি.সি.জি টিকা দেওয়া হয়? — যক্ষ্মা।

চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগ কিভাবে সংক্রমিত হয়? — প্রাণীর মাধ্যমে।

ডেঙ্গু জ্বর হয় কোন মশার দ্বারা? — এডিস।

গোদ রোগ হয় কোন মশার দ্বারা? — কিউলেক্স।

কোন রোগের জীবাণু সবার শরীরে থাকে? — কুষ্ঠ।

প্যাথেনজিক অনুজীব যে রাসায়নিক বস্তু নিঃসৃত করে তার নাম কি? — টকসিন।

আদিকালে রোগসৃষ্টিকারী যে কোনো বিষাক্ত পদার্থকে বলা হতো — — ভাইরাস।

ভাইরাস একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হলো — বিষ।

কোনটি ব্যাকটেরিয়ার চলাচলে সাহায্য করে? — ফ্লাজেলা।

ব্যাকটেরিয়া স্থানান্তরের পদ্ধতি কোনটি? — যৌন সংগম, শ্বাস-প্রশ্বাস, খাদ্য গ্রহণ।

পানি দ্বারা বাহিত হয়ে টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটায় কোনটি? — সালমোনেলা টাইফি।

ইস্ট এক প্রকার — এককোষী ছত্রাক।

যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী জীবাণুটির বৈজ্ঞানিক নাম কি? — Mycobacterium tuberculosis

শিশুকে জন্মের পর কোন টিকা দিতে হয়? — বিসিজি।

শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হলে কোন টিকা দিতে হয়? — এম আর ১

শিশুর বয়স ১৫ মাস পূর্ণ হলে কোন টিকা দিতে হয়? — এম আর ২

মহিলাদের টিটি টিকা কয় মাত্রায় দেয়া হয়? — ৫ মাত্রায়।

মহিলাদের টিটি টিকা কত বছর বয়স থেকে শুরু করতে হয়? — ১৫ বছর।

ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী জীব যার নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়।

ব্যাকটেরিয়া সর্বত্র বিরাজমান।

অন্ত্রে বসবাসকারী এসকেরিশিয়া কোলাই (Escherichia coli E.coli) আমাদেরকে জৈব সংশ্লেষিত ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স সরবরাহ করে থাকে।

ক্যাপসুল : কোষ প্রাচীরের বাইরে পুরু ও পিচ্ছিল পদার্থের যে আবরণী থাকে তাকে ক্যাপসুল বলে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা করে।

সাইটোপ্লাজম : এটি সাধারণত বর্ণহীন অর্ধ-তরল থকথকে বস্তু।

কোষ প্রাচীর : সাইটোপ্লাজমকে আবদ্ধ করে যে জড় প্রাচীর থাকে তাকে কোষ প্রাচীর বলে। এর গায়ে অসংখ্য অণুবীক্ষণিক রন্ধ্র বা ছিদ্র থাকে। এটি কোষকে আকৃতি দেয় এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

রোগীর শরীরের সাথে অন্য ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে জলাতংক, জলবসন্ত, চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগ হয়।

তোয়ালে, বিছানাপত্র, খাওয়ার পাত্র ইত্যাদির মাধ্যমে সংস্পর্শের মাধ্যমে স্ক্যাবিস বা চুলকানি রোগের বিস্তার ঘটে।

যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে গনোরিয়া, সিফিলিস, এইডস রোগ সংক্রমিত হয়।

খাদ্য গ্রহণের সাথে বিস্তার ঘটে- হেপাটাইটিস এ, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু।

অধিকাংশ ভাইরাস ২১০ মিলি মাইক্রন আয়তনের হয়ে থাকে। এটি দেখতে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। তাই ভাইরাস হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীব।

ছত্রাক দ্বারা উৎপন্ন রোগকে মাইকোসিস বলে। ইস্ট এক প্রকার এককোষী ছত্রাক। এদের আয়তন ৫-১০ মাইক্রন। এরা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না বলে এরা পরজীবী।

হাজার হাজার ছত্রাকের মধ্যে ৫০ এর কম ছত্রাক মানুষ বা প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫টি সংক্রমন প্রতিরোধ করতে অথবা এগুলো প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত টিকা বর্তমানে সহজলভ্য।

টিটি ১ : এই টিকা কোন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে না। (১৫ বছর)

টিটি ২ : ৩ বছর পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (২৮ দিন)

টিটি ৩ : ৫ বছর পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (৬ মাস)

টিটি ৪ : ১০ বছর পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (১ বছর)

টিটি ৫ : গর্ভধারণে সক্ষম বয়স পর্যন্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্যমান রাখে। (১ বছর)

ব্যাকটেরিয়ার নামরোগের নাম
স্ট্রেপটোকোক্কাস নিউমোনিয়ানিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস, মেনিনজাইটিস, ফুসফুস সংক্রমণ
স্ট্রেপটোকোক্কাস ফিকালিসমূত্রনালীর ইনফেকশন
নিসারিয়া গনোরিয়াগনোরিয়া
এসকেরিশিয়া কোলাইমূত্রনালী এবং ক্ষতের সংক্রমণ, নিউনেটাল মেনিনজাইটিস
সালমোনেলাএকটারিক জ্বর বা টাইফয়েড এবং খাদ্যে বিষক্রিয়া
সিগেলাব্যাসেলারী ডিসেন্ট্রি বা রক্ত আমাশয়
মাইকোব্যাকটেরিয়াল লেপরিকুষ্ঠ রোগ
ট্রেপোনেলা প্যালিডিয়ামসিফিলিস
ভিবরিও কলেরিকলেরা
বরডিটেলা পারটুসিসহুপিং কফ
ভাইরাসের নামরোগের নাম
রাইনো ভাইরাসসাধারণ ঠাণ্ডা লাগা
র‌্যাবিস ভাইরাসজলাতঙ্ক
রুবেলা ভাইরাসজার্মান মিজেলস
হারপিস ভাইরাসচিকেন পক্স, হারপিস সিমপ্লেক্স
পক্স ভাইরাসস্মল পক্স, কাউ পক্স

রচনা : অধ্যবসায় (ছোট)

অধ্যবসায়

↬ অধ্যবসায় ও ছাত্রজীবন
↬ মানবজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব

ভূমিকা

পারিব না এ কথাটি বলিও না আর
কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার;
পাঁচ জনে পারে যাহা,
তুমিও পারিবে তাহা
পার কি না পার কর যতন আবার
একবারে না পারিলে দেখ শতবার। — কালিপ্রসন্ন ঘোষ

কোনো কাজে সফলতা লাভ করার জন্য বারবার চেষ্টার নামই অধ্যবসায়। মানুষ আজ পর্যন্ত যতগুলো অভ্যাস আয়ত্ত করেছে তার মধ্যে অধ্যবসায়ই শ্রেষ্ঠ। এর বলে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে, অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। জীবনের সব ক্ষেত্রেই অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। অধ্যবসায় ছাড়া কঠিন কাজে সফলতা লাভ করা যায় না। শত বাধাবিঘ্নের সাথে লড়াই করে যে জয়ী হতে পারে, সে-ই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে। সুতরাং মানুষের উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য সোপান হচ্ছে অধ্যবসায়।

 

অধ্যবসায়

কোনো কাজে সফলতা লাভের জন্য বারবার চেষ্টা করার নাম অধ্যবসায়। অধ্যবসায় একটি শ্রেষ্ঠ গুণ। প্রকৃতপক্ষে অধ্যবসায় বলতে মানব চরিত্রের কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ বোঝায়। উদ্যোগ, পরিশ্রম, আন্তরিকতা, মনোবল প্রভৃতি গুণ একত্রিত হয়েই অধ্যবসায়ের পরিপূর্ণ রূপ সৃষ্টি করে। মনের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজে আত্মনিয়োগ করার সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রের অন্যান্য গুণ যখন কাজে লাগানো হয় তখনই অধ্যবসায়ের পরিচয় পাওয়া যায়। অধ্যবসায়ের বলেই মানুষ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। জগতের সর্বত্রই অধ্যবসায়ের জয় ঘোষিত হচ্ছে। সব প্রাণীই তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বারবার প্রচেষ্টা চালায়। জীবনের সফলতার জন্য অধ্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য কর্মপ্রবাহে ফুটিয়ে তুলতে হয় এবং তাতে জীবনের পরিপূর্ণতা লাভের পথ সহজ হয়। মানুষের আজকের এ প্রতিষ্ঠার মূলে অধ্যবসায়।

 

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা

অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা জীবনের সব ক্ষেত্রে অনুভব করা যায়। মানবজীবনে প্রত্যেক কাজেই বাধাবিপত্তি দেখা দিতে পারে। কিন্তু সে বাধাকে ভয় করলে চলবে না। সেসব বাধা অতিক্রম করে যথার্থ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করাই জীবনের প্রধান লক্ষ্য। জীবনের এই চলার পথ সহজ করার জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়ের। জীবনের পথে যেসব বাধা থাকে সেসব জয় করতে না পারলে মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সম্ভব নয়। হৃদয়ের প্রবল শক্তি এবং সাহস দিয়ে সব বাধা জয় করতে হয়। অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সেই জয় ও সফলতা আসে।

মানবসন্তান হিসেবে ভূমিষ্ঠ হলেই তাকে প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। তাকে মনুষ্যত্ব অর্থাৎ মানবিক গুণাবলি অর্জনের ভেতর দিয়ে মানুষ হতে হয়। জীবনের পরিবেশের প্রবল প্রতিফলতার মধ্যে শুধু অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্যের সোনালি শিখরে পৌঁছানো যায়। “একদিন আমরা করব জয়’ এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নই অধ্যবসায়। মানবজীবনে এর প্রয়োজন অনেক বেশি। জীবনে লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষকে দুর্বার সাহস নিয়ে অগ্রসর হতে হয়। আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য তাই অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। মানবসভ্যতার বিকাশের ইতিহাস অধ্যবসায়ের মহৎ গুণের সঙ্গে জড়িত । মনীষীরা সাধনা করে জীবনে সফলকাম হয়েছেন। তাঁদের অধ্যবসায়ের গুণেই আজ মানুষ উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছে। বর্তমান বিশ্বে মানবজীবন সুখকর করার আয়োজনের পিছনে আছে অনন্ত অধ্যবসায়। জীবনের সামনের বাধা অতিক্রম করা মানুষের পক্ষে একদিনে সম্ভব হয়নি। এর জন্য বহু মানুষকে বহুদিন ধরে অধ্যবসায়ী হতে হয়েছে। পূর্বপুরুষের অধ্যবসায় বিশ্বের মানুষের সভ্যতার পথ সহজ করেছে, জীবনে এসেছে সুখের সমারোহ। মনে রাখতে হবে, রাতের আঁধার কেটে যেমন দেখা দেয় দিনের আলোক রেখা, তেমনই বারবার চেষ্টার পর মানুষের ভাগ্যাকাশে উদিত হয় সাফল্যের শুকতারা। জীবনের প্রথম ব্যর্থতাকে মনে করতে হবে সাফল্যের প্রথম সোপান। তাই ইংরেজিতে বলা হয়েছে, “Failure is the pillar of success.” জগতে যাঁরা বড় হয়েছেন, অমর হয়েছেন, তাঁরা সবাই অধ্যবসায়ী ছিলেন। চিরায়ত শিল্প, সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক। আবিষ্কার— সবই মানুষের অধ্যবসায়ের ফল। কাজেই অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

 

অধ্যবসায় ও প্রতিভা

কেউ কেউ মনে করেন, অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী না হলে বড় কাজ সাধন করা যায় না। কিন্তু অধ্যবসায় ও পরিশ্রম ছাড়া শুধু প্রতিভায় কাজ হয় না। মহাবিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন বলেছেন, “আমার আবিষ্কারের কারণ প্রতিভা নয়, বহু বছরের চিন্তাশীলতা ও পরিশ্রমের ফলে দুরূহ তত্ত্বগুলোর রহস্য আমি ধরতে পেরেছি। অস্পষ্টতা থেকে ধীরে ধীরে আমি স্পষ্টতার দিকে উপস্থিত হয়েছি।” দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছেন, “প্রতিভা বলে কিছুই নেই। পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও, তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।” ডালটন বলেছেন, “লোকে আমাকে প্রতিভাবান বলে, কিন্তু আমি পরিশ্রম ছাড়া আর কিছুই জানি না।” অর্থাৎ প্রতিভাকে সফল করতে হলে অধ্যবসায় প্রয়োজন।

 

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়

ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের একান্ত প্রয়োজন রয়েছে। আলস্যপরায়ণ ও শ্রমবিমুখ ব্যক্তি কখনো বিদ্যালাভ করতে পারে না। অল্প মেধাশক্তিসম্পন্ন ছাত্রও অধ্যবসায়ী হলে সফলতা লাভ করতে পারে। কোনো ছাত্র একবার অকৃতকার্য হলে হয়তো পরিবার থেকে তাকে নানা ভর্ৎসনা শুনতে হয়, তাই বলে তাকে উদ্যম বা ধৈর্যহারা হলে চলবে না। আগের চেয়ে অধিক মনোবল নিয়ে তাকে চেষ্টা করতে হবে। সাফল্য আসবেই। এ সত্য উপলব্ধি করেই কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার লিখেছেন—

“কেন পান্থ ক্ষান্ত হও, হেরি দীর্ঘ পথ
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?”

 

ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব

যেকোনো ব্যক্তির জীবনে অধ্যবসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব মানুষের শক্তি বা ক্ষমতা এক রকম নয়, কিন্তু প্রত্যেককে উন্নত জীবনের সন্ধান পেতে হয়। সেখানে যদি অধ্যবসায়ের যথার্থ প্রয়োগ করা যায় তবে শক্তির স্বল্পতা সাফল্যের পথে কোনো বাধা হয়ে থাকতে পারে না। কাজের আগ্রহ, বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, সুদৃঢ় সংকল্প এসব যদি ঠিক থাকে তবে কোনো ব্যক্তিই কোনো কাজে ব্যর্থ হয় না। অবশ্য জীবনে কোনোকিছুই সহজে পাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ কারও জন্য সুখের উপকরণ তৈরি করে রাখে না। মানুষকে তার প্রয়োজনীয় উপকরণ নিজের যোগ্যতা দিয়ে সংগ্রহ করে নিতে হয়। আর তাই ব্যক্তিজীবনে নিরলস অধ্যবসায় প্রয়োজন।

 

জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব

জাতীয় জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব কম নয়। কোনো জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সে জাতির সব নাগরিককে অধ্যবসায়ী হতে হবে। সবাই একনিষ্ঠভাবে জাতীয় স্বার্থ সাধনের জন্য সর্বশক্তি নিয়ে আত্মনিয়োগ করলেই মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করা সম্ভব। অবশ্য ব্যক্তিজীবনে অধ্যবসায়ের ফল জাতীয় জীবনের বৃহত্তম কল্যাণে আসে। বিশ্বের জ্ঞানী, মনীষী, আবিষ্কারক, ধর্মপ্রবর্তক, রাষ্ট্রনায়ক, কবি, সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক সবাই অধ্যবসায়ের ধ্যমে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছেন। একেবারেই ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জনের পিছনে অধ্যবসায় কেমন কাজ করেছে তার নিদর্শন বিশ্বের বহু মনীষীর জীবনে বিদ্যমান। ব্যক্তি, জাতি এবং বিশ্বের কল্যাণ সাধনের জন্য অধ্যবসায় খুবই প্রয়োজন।

 

অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত

জীবন সংগ্রামে সাফল্যের মূলমন্ত্র অধ্যবসায়। ইতিহাসের পাতা উল্টালে এ ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুস অধ্যবসায়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি ইংল্যান্ডের রাজা এডওয়ার্ডের সঙ্গে ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়েও অধ্যবসায় ত্যাগ করেন নি। পরপর ছয়বার পরাজয়ের পর তিনি যখন একটি নির্জন দুর্গে চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, তখন একদিন দেখলেন একটি মাকড়সা সাতবার চেষ্টার পর দুটি কড়িকাঠে সুতা জড়িয়ে জাল তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। এ দৃশ্য দেখে তাঁর অন্তর অদম্য উৎসাহে ভরে গেল। তিনি পুনরায় সপ্তমবারের মতো যুদ্ধ করে শত্রু সৈন্যদের পরাজিত করে নিজের দেশ উদ্ধার করলেন। ইতিহাসে চিরস্মরণীয় অর্ধপৃথিবীর অধীশ্বর নেপোলিয়ন তাঁর কর্মের ভিতর দিয়ে রেখে গেছেন অধ্যবসায়ের অপূর্ব নিদর্শন। কোনো কাজকেই তিনি অসম্ভব বলে মনে করতেন না। তাই তিনি এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও একমাত্র অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ফরাসি জাতির ভাগ্যবিধাতার পদে অধিষ্ঠিত হতে সমর্থ হয়েছিলেন। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু বহুকাল অধ্যবসায় চালিয়ে উদ্ভিদের চেতনাশক্তি ও স্পন্দন সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। এমনইভাবে বহু মনীষী তাঁদের অধ্যবসায় দ্বারা অবদান রেখে পৃথিবীতে অমর হয়ে আছেন।

 

উপসংহার

মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের বড় প্রয়োজন। যে অধ্যবসায়ী নয়, সে কখনো কোনো কাজে সফল হতে পারে না। বন্যপ্রাণীর মতো খেয়ে পরে সে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় এবং মৃত্যুর সাথে সাথে তার নাম আর কেউ স্মরণ করে না। একমাত্র অধ্যবসায়ী লোকই তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকেন।


আরো দেখুন: [ সূচিপত্র : বাংরা প্রবন্ধ রচনা ]
রচনা : অধ্যবসায় (১৮ পয়েন্ট)
রচনা : অধ্যবসায় (২টি রচনা) – (Visit MAG + PDF)
রচনা : অধ্যবসায় (২৭ পয়েন্ট) – (Visit MAG + PDF)

Paragraph : Metro Rail in Bangladesh

Metro Rail in Bangladesh

The metro rail in Bangladesh is the second-largest project under the present government. It has been a long-held ambition of Dhaka city residents, who have seen the city’s traffic situation deteriorate day after day. Metro Rail is a type of high-capacity railway system. It is also called a rapid transit system. It usually has tracked above street level on elevated structures that are constructed of steel or concrete. It is one of the fastest ways of commuting in large cities. With a view to saving Dhaka from the unbearable traffic jam, the construction work of a metro rail project is speeding up. The project will be finished in two phases. Officially known as the mass rapid transit (MRT) Line-6, the metro rail service is expected to carry near above 60000 passengers per hour once it is completed. It is supposed to significantly reduce the travel time inside Dhaka city. The project is expected to save TK 200 billion per year who is will be a huge relief for our first growing economy. However, since the start of the project, Dhaka city dwellers have been facing difficulties due to heavy traffic jams. Such a situation is caused by the ongoing excavation for the metro rail. Nevertheless, people are enthusiastically bearing these temporary difficulties because they temporary difficulties because they know that it will save thousands of working hours by reducing traffic jams. It will also give the city dwellers a comfortable life. Hence, it will not be wrong to say that metro rail has opened the gateway leading to a modern and comfortable future.


আরো দেখুন  (List of all Paragraphs):

Educational Note Share

Exit mobile version