Composition : A Village Market

A Village Market

 

A village market is an important place. The villagers meet on fixed days of the week to buy and sell their articles. It generally sits by the side of a river a canal or a big road.
Village markets are of two kinds. Some of them sit twice in a week in the afternoon and break up after sunset. They are known as “bazaar”.
There are two kinds of shops in the village market- permanent shops and temporary shops. In permanent shops, people buy clothes, medicine, papers, sweet-meats and many articles of daily use. Temporary shops are arranged in rows. They are called stalls. These are occupied by shopkeepers on market day. They remain there so long as the market lasts. There are the fish corner, vegetable corner, raw item corner and so on. The sellers in each corner sit in lines. They set up their stock before them. In the village market, nothing is sold at a fixed price. So there is higgling among the sellers and the buyers over the price of commodities. The fish market is the most crowded of all. The betel-leaf sellers sit in a corner under the shed. They are very sellers.
A village market is a meeting place for the villagers. They meet their friends and relatives. The village postman finds a unique place to deliver letters, money orders, parcels etc. to the addressees.
A village market should be properly guided and looked after by a committee.
 

Same composition collected from another book

 

A village market is generally situated by the riverside or by the side of a road where people of the nearby villages may come without much difficulty. Some village markets are big and some small. A village market is generally held twice or thrice a weed according to local need or custom.
In a village market, there are small huts where the shop-keepers sit with their goods for sale. Some shop-keepers sit under the open sky. In some village markets, there are a few permanent shops. The shops are systematically arranged. The sellers of the particular commodity sit in a line which is also called a ‘market’. A fish market is here, vegetable market is there, grocers (মুদী) sit here, clothes are sole there.
In a village market prices of articles are not fixed. Higgling and bargaining go on for a pretty long time before an actual transaction made. A village market is very useful to villagers. Here they can buy things that are necessary for their day-to-day life. It provides them an opportunity to sell the articles they produce. It also serves as a meeting place for friends and relatives.
A village market is the retail market of every kind of household items as well as the products of large industries. Thus a good number of products are sold there. And it takes part in the progress country’s economy. So the economic value of a village market is a matter to be noted.
Thus a village market plays a very important part in the economic and social life of villagers.

Composition : A Picnic Have Enjoyed

A Picnic Have Enjoyed

 

A picnic is having a meal out of doors, as part of a pleasure trip. Every year after the annual examination is over, we go on a picnic at different place. Last year, we went to Sonargaon on a picnic expedition. It was both exciting and enjoyable.

Our school picnic was planned long before we actually went for it. After the second term exam, we went to our teachers and requested them to take us out for a picnic. They agreed and the 30th December was fixed for the occasion.

We all gathered at the school premises at 8:30am. Three buses were hired to take us to the picnic spot. We made us all arrangements for coking on the spot. We also took light food for breakfast and refreshment.

The picnic spot was some 70 kilometres away. It took two hours to reach the place. We all enjoyed singing songs all the way around. Some of the teachers also joined us. At around 10:45am, we reached the spot. The spot was a nice one. There we started making arrangements for the picnic. The cook and his assistants cooked kachchi biryani and chicken fry. Some of us helped them to prepare their food items. At 3:00pm, we were served with the main meal. Then, we all ate to our hearts’ content.

After the meal was over, we all arranged a cultural programme on the spot. The programme included extempore speeches, fun, ready wit, etc. The teachers also had to participate in the fun. After the cultural programme, we were briefed by our history teacher about the historical past of Sonargaon.

At around 5:30pm. we all got prepared to make our return journey. Before departure, we were given sandwiches and oranges. Then we started our journey to school. We got back to school by 7:15pm.

The picnic was an entertaining one. We all made fun and enjoyed it greatly. We also learned a lot about Sonargaon, our historical heritage.

Same composition collected from another book Continue reading Composition : A Picnic Have Enjoyed

শিক্ষক ও অভিভাবকের গল্প

ছাত্রের ফেলের খবর দেয়া শিক্ষকের সাথে ছাত্রের বাবার দারুণ কথোপকথন:

– আপনি কি খালেদ আলম ?

– জ্বি, বলছি।

– ফাহাদ আলম কি আপনার ছেলে?

– জ্বি, আপনি কে বলছেন?

– আমি আপনার ছেলের ইউনিভার্সিটি থেকে বলছি। মাহবুবুল হক। হেড অফ ডিপার্টমেন্ট।

– ও, আচ্ছা। কেমন আছেন, স্যার?

– জ্বি, ভালো। আপনার ছেলে সম্পর্কে কিছু কথা বলার ছিল। ও তো কিছুদিন আগে থার্ড সেমিস্টার শেষ করেছে। সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে দুই দিন আগে। আপনার ছেলে দুই কোর্সে ফেল করেছে। আপনাকে কি বলেছে?

– জ্বি, বলেছে।

– আমাদের ইউনিভার্সিটিতে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। ফেল করলে আমরা ছাত্রদের আবারও পরীক্ষায় বসে পাস করার সুযোগ দেই। এরপরও ফেল করলে ইউনিভার্সিটিতে রাখার নিয়ম নেই।

– তা এসব আমাকে কেন বলছেন?

থতমত খেয়ে গেলেন ও প্রান্তের ব্যক্তি।

– না, মানে, আমি বলছিলাম আপনার ছেলে ফেল করেছে। আপনার কি উচিত না তার পড়াশোনার প্রতি খেয়াল রাখা?

– আমাকেই যদি তার পড়াশোনার দায়ভার নিতে হয়, তাহলে আপনি কী জন্যে আছেন?

– না, মানে আমি বলছিলাম আপনি কাউন্সেলিং করতে পারেন, বোঝাতে পারেন।

– অবশ্যই আমি তার সাথে কথা বলতে পারি। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে আপনি কি তার সাথে কথা বলেছেন?

– মানে? বুঝলাম না!

– আমি বলতে চাইছি, আমার ছেলে যে ফেল করল, গলদটা কোথায় বোঝার চেষ্টা করেছেন কি? দোষ পুরোটা কি ওর একার? আপনার কোনও দায়ভার নেই?

– কী বলতে চাইছেন আপনি?

– দেখুন, স্যার, খুব স্পষ্ট আর সহজ ভাষায় বলছি। এভাবে ছাত্রের ব্যর্থতায় সরাসরি মা-বাবাকে তলব করার আগে আপনাদের পাঁচবার ভাবা উচিত। পড়াশোনার জন্য ছেলেকে পাঠিয়েছি আপনাদের কাছে। তাকে পড়াতে না পারার, পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে না পারার, সফলতার পথ দেখাতে না পারার ব্যর্থতাটুকু পুরোপুরি আপনাদের। বাবা-মা কোনও শিক্ষক নন যে এসব পালন করবেন। এ দায়িত্বটুকু পালনের ভার আপনাদের উপরে দেয়া হয়েছে। কই, বেতন তো ঠিকই নেন। ছাত্রের সফলতারও ভাগ চান। তাহলে ব্যর্থতার ভার কেন শুধু ছাত্র আর মা-বাবার ওপরে চাপবে?

– আমি আসলে ওভাবে বুঝাতে চাইনি।

– কোনওভাবেই বোঝানোর দরকার পড়ত না, যদি যথাযথ শিক্ষকের দায়িত্ব আপনারা পালন করতে পারতেন।

– আমি রাখছি।

– দাড়ান । আপনার বাবার ফোন নম্বরটা পাঠিয়ে দেন।

– মানে? কেন?

– ব্যর্থ ছাত্রের পিতাকে ফোন করে যে দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন, ব্যর্থ শিক্ষকের বাবাকে ফোন করে আমিও একই দায়িত্ব পালন করতে চাই!

পুলিশ বিষয়ক পরিভাষা

পুলিশ বিষয়ক পরিভাষা

Police State

পুলিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র হচ্ছে ‘Police State’। যেখানে সরকারবিরোধী পক্ষকে পুলিশের সাহায্যে দমন করা হয়। এটা অনেকটা Totalitarian রাষ্ট্রের মতো।

Totalitarian State

Totalitarian State বলতে এমন একটা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে একটিমাত্র রাজনৈতিক দল থাকে। এখানে জনসাধারণকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনের নিকট উৎসর্গীকৃ বলে বিবেচনা করা হয়।

Ambush

অতর্কিত আক্রমণার্থে গোপন স্থানে অবস্থান করাকে Ambush বলা হয় (to lay concealed in wait to attack by surprise)।

Curfew

আভিধানিক অর্থে Curfew হচ্ছে একটা ইঙ্গিত বা সময়, যার পর জনসাধারণ অবশ্যই ঘরে অবস্থান করবে। অপরদিকে Code of Criminal Procedure (CrPC)-এর ২৪ নং সেকশন অনুযায়ী Curfew হচ্ছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জারিকৃত একটি আদেশ, যার ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার জনসাধারণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ঘর থেকে বের হতে পারে না।

FIR বা এজাহার

FIR হচ্ছে First Information Report CrPC-এর ১৫৪ ও ১৫৫ ধারা অনুযায়ী কোনো অপরাধের বিষয়ে থানায় রিপোর্ট করাকে FIR বলা হয়। ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে FIR একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিক তথ্যসমূহ অবশ্যই লিখে রাখতে হবে এবং সংবাদদাতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। FIR-এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ হলো :
  1. সময়ের প্রেক্ষিতে এটা প্রথমে হতে হবে।
  2. এটা নিশ্চিত হতে হবে এবং কেবল জনশ্রুতি হলে চলবে না।
  3. এটা OC-এর নিকট প্রদান করতে হবে।
  4. এটা আমলযোগ্য অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে হবে।
  5. এটা এমন পর্যায়ে হতে হবে যেন Police তদন্ত শুরু করতে পারে।
  6. এটা অবশ্যই লিখিত ও উত্থাপনকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

চার্জশিট (Charge Sheet)

চার্জশিট হচ্ছে এক ধরনের অভিযোগ পত্র। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো অপরাধীর অপরাধ তদন্ত শেষে যদি এমন অবস্থা দেখেন যে অপরাধ সংঘটিনের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে তখন তিনি অভিযোগপত্র তৈরি করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট পেশ করেন।

Inquiry এবং Investigation-এর পার্থক্য

বাংলায় উভয় শব্দের অর্থ তদন্ত। কিন্তু দুটির মধ্যে ব্যবহারগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন- ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক CrPC-এর অধীন পরিচালিত মামলার ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে তদন্তকে Inquiry বলা হয়। যেমন- বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো ঘটনা তদন্তের জন্য Inquiry Committee গঠন করা হয়। Inquiry তে সাধারণত অপরাধী শনাক্ত করা হয়।
অপরদিকে Investigation হচ্ছে CrPC-এর অধীন বিচারাধীন কোনো মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তথ্যাদি উদ্ভাবনের জন্য পুলিশ অফিসার বা অন্য কেউ কর্তৃক পরিচালিত তদন্ত। Inquiry-এর ক্ষেত্রে অপরাধী শনাক্তকরণ এবং তার অপরাধের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।

Warrant

ওয়ারেন্ট শব্দের অর্থ গ্রেপ্তারি পরওয়ানা। বিচারক কর্তৃক কাউকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্যে পুলিশের প্রতি লিখিত আদেশনামাই হলো Warrant।
 

Camouflage (ক্যামোফ্লেজ)

শাব্দিক অর্থে Camouflage বলতে বোঝায় ছদ্মবেশ, আবরণ প্রভৃতি দ্বারা শত্রুকে প্রতারিত করা (any device to deceive an enemy)। প্রাসঙ্গিকভাবে ক্যামোফ্লেজ বলতে বোঝায় সৈন্যদল বা অস্ত্র শস্ত্র লুকিয়ে রাখা।

রিমান্ড

তদন্তের স্বার্থে কোর্ট আসামিকে পুলিশের নিকট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হস্তান্তর করাকে ‘রিমান্ড’ (Remand) বলে।

জানিম

পুলিশী হেফাজত থেকে আসামিকে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নির্ধারিত তারিখে হাজির করানোর অঙ্গীকার জামিনদারের নিকট সম্পন্ন করাকে জামিন বলা হয়। জামিন নিজ মুচলেকায়ও দেয়া যায়।

Arrest (গ্রেফতার)

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬(১) ধারা মতে, কথা বা কার্যদ্বারা আত্মসমর্পণ করা না হলে পুলিশ অফিসার বা গ্রেপ্তারকারী অপর কোনো ব্যক্তি গ্রেপ্তার করার সময় যাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার দেহ স্পর্শ বা আটক করবেন।

৪২০ ধারা

৪২০ ধারা বলতে CrPC-এর Section 420-কে বোঝানো হয়। প্রতারণা (Cheating) এবং অসদুপায়ে (dishonestly) কারো সম্পত্তি দখল করলে এ ধারা কার্যকর হয়।

অপরাধ স্বীকারোক্তি (Confession)

শারীরিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা প্ররোচনা ব্যতীত কোনো অপরাধীকর্তৃক স্বেচ্ছায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার। সাক্ষ্য আইনের ২৪-৩০ ধারায় কোন কোন অবস্থায় আসামির অপরাধস্বীকারোক্তি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য তা বলা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটকে আসামির অপরাধ-স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং উক্ত কার্যবিধির ৩৬৪ ধারায় তা লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত যদি মনে করেন যে, আসামির অপরাধস্বীকারোক্তি আইনের উপরিউক্ত যে কোনো বিধান লঙ্ঘন করে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, তবে আদালত মামলা বিচারে তা বিবেচনায় গ্রহণ নাও করতে পারেন।

আটক (Detention)

গ্রেপ্তার করার পর কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতাহরণ। ফৌজদারি কার্যবিধির ৬১ ধারার বিধান-অনুসারে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বিনা পরওয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করলে তাঁকে সামগ্রিক পরিস্থিতির বিবেচনায় যুক্তিসংগত সময় অপেক্ষা অধিককাল আটক রাখবেন না এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যাবার সময় বাদ দিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার বেশি হবে না। পুলিশ কর্মকর্তা আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের পর অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ হলে অথবা ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে পুনরায় আটক রাখার আদেশ না দিলে তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়।

জামিন (Bail)

বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালে কিংবা অপরাধহেতু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল করার সময়ে আইনানুগ হেফাজত হতে কোনো ব্যক্তিকে পুলিশ বা আদালতকর্তৃক মুক্তি দেওয়া। জামিন মঞ্জুর করা উচিত না অনুচিত এবং কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তা করা যাবে, সে বিষয়ে বিচারকদের স্ববিবেচনা প্রয়োগের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৬-৫০২ ধারায় জামিন ও জামিনদার সম্পর্কে বিধান রয়েছে।

বাদী, ফরিয়াদি (Complainant)

অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যিনি অভিযোগ উত্থাপন করেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় যিনি মামলা করে থাকেন।

বিবাদী (Defendant)

যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী আদালতে দাখিলি আরজিতে যে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করেন তাঁকে অথবা উহাকে বিবাদী বলা হয়।

পাবলিক প্রসিকিউটর

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকারি অভিযোক্তা অর্থ ফৌজদারি আইনের ৪৯২ ধারা অনুসারে নিযুক্ত যে কোনো ব্যক্তি এবং সরকারি অভিযোক্তার নির্দেশক্রমে কার্যরত ব্যক্তি উহার অন্তর্ভুক্ত হবেন। পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে সমস্ত মামলা গৃহীত হয় সে সকল মামলার জন্য সরকারি উকিল নিয়োগ করা হয়। ফৌজদারি মামলায় সরকারের পক্ষ হতে যে উকিল নিয়োগ করা হয়, তাকে সরকারি অভিযোক্তা বলা হয়।

স্ব-উদ্যোগ (Sou moto)

আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনো কোনো বিষয়ে স্ব-উদ্যোগে কোনো মামলার কার্যক্রম শুরু এবং নিষ্পত্তি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারা অনুসারে, যদি নিম্ন আদালতের কোনো কার্যক্রমের ক্রটি উচ্চ আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়, সেক্ষেত্রে আদালত স্ব-উদ্যোগে তদ্রুপ ক্রটি সংশোধন করতে পারেন।

বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – ৬ষ্ঠ পর্ব

বাংলাদেশ পুলিশের উল্লেখযোগ্য শাখা

বাহিনী প্রধান
স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB) এডিশনাল আইজি (Additional IG)
সিআইডি (CID) সিআইডি (CID)
মেট্রোপলিটন পুলিশ (Metropolitan Police) কমিশনার (Commissioner)
র‌্যাব (RAB) মহাপরিচালক (General Director)
রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) (GRP) ডিআইজি (DIG)
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ডিআইজি (DIG)
পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট ডিআইজি (DIG)
ইমিগ্রেশন পুলিশ ডিআইজি (DIG)
সোয়াট ডিআইজি (DIG)
বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক ডিআইজি (DIG)
হাইওয়ে পুলিশ ডিআইজি (DIG)
এসএএফ (আর্মড ফোর্স) এসপি (SP)
ট্যুরিস্ট পুলিশ
শিল্পাঞ্চল পুলিশ ডিআইজি (DIG)
ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (CIU) ডিআইজি (DIG)
নৌ পুলিশ ডিআইজি (DIG)
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (PBI) ডিআইজি (DIG)
স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন (SPB) ডিআইজি (DIG)

বিবিধ

বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম কি?
— ডিটেকটিভ

‘ডিটেকটিভ’ প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
— ১৯৬০ সালে।

আনআর্মড পুলিশ বা নিরস্ত্র পুলিশ বলতে কি বোঝায়?
— বিশেষ সশস্ত্র
বাহিনীতে নিযুক্ত নয় এরকম পুলিশ।

আর্মড পুলিশ কারা?
— পুলিশ লাইনে
নিযুক্ত বা এসএএফ-এর সদস্যবৃন্দ।

কয়েকজন পুলিশের নাম উল্লেখ করুন যারা
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিবেবে পরিচিত

আবুল খায়ের মুসলেহ উদ্দিন নাটক, গল্প, উপন্যাস
ধীরাজ ভট্টাচার্য চলচ্চিত্র নায়ক, লেকক
নওশাদ খন্দকার নাটক, গান
আবদুল খালেক নাটক, গান
আবু ইসহাক গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ

‘আমি যখন পুলিশ ছিলাম’ এর লেখক কে?
— ধীরাজ ভট্টাচার্য

পুলিশ
স্টেট কি?

— যখন কোনো রাষ্ট্রে নাগরিকগণ মৌলিক স্বাধীনতা (স্বাধীন মতামত প্রকাশ,
চিন্তা ও বিশ্বাস) হতে বঞ্চিত হয় তখন তাকে স্টেট বলা হয়।

পুলিশ
কর্মকর্তা আবুল খায়ের মোসলেহ উদ্দিনের কয়েকটি গ্রন্থের নাম লিখুন

— চিরকুট,
শালবনের রাজা, নেপথ্য নাটক, নল খাগড়ার সাপ, নারিন্দা লেন।

আলোচিত রুবেল
হত্যা মামলায় কোন পুলিশ অফিসারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়?

— পুলিশ অফিসার এস
আকরাম।

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ বাহিনী কবে গঠিত হয়?
— ১৮৩০ সালে।

বিচারকার্যের ক্ষেত্রে পুলিশের হাতে কি কি থাকে?
— ক. চার্জশীট –
এটি পাঠালে মামলা শুরু হয়।
— খ. ফাইনাল রিপোর্ট – এটি পাঠালে মামলা খারিজ হয়।

জাপানি পুলিশ চোরকে কি বলে সম্বোধন করে?
— দোব্রোবো সান (অর্থাৎ চার
সাহেব)

সরকার পুলিশ বাহিনীর সদস্যের ওপর নজরদারী করার লক্ষ্যে নতুন কোন
গোয়েন্দ ইউনিট গঠনের কাজ শুরু করেছে?

— কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

ক্রাইম কনফারেন্স কি?
— পুলিশ বাহিনী নিজেদের উন্নয়নে ও অপরাধ
কমানোর জন্য মাসিক যে সম্মেলন করে তাকে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স বলে।

ব্রিটেনে প্রথম কবে পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়?
— ব্রিটিশ প্রথম
প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ওয়ালপোলের আগ্রহে ১৮২৯ সালে পুলিশ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব
পার্লামেন্টে পাস হয়।

বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীতে নির্বাচনের মাপকাঠি
কি?

— দৈহিক উচ্চত, শারীরিক বিকাশ।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে
‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (CTTC)’ ইউনিট গঠিত হয় কবে?

— ১৬
ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা

নাম পূর্ণরূপ যে সংস্থার গোয়েন্দা
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID) Criminal Investigation Department (CID) বাংলাদেশ পুলিশ
বিশেষ শাখা (SB) Special Branch (SB) বাংলাদেশ পুলিশ
ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস ইউনিট Criminal Intelligence Analysis Unit বাংলাদেশ পুলিশ
ডিটেকটিভ অ্যান্ড ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ Detective and Criminal Intelligence Branch ঢাকা মহনগর পুলিশ
র‌্যাব ইন্টেলিজেন্স উইং RAB Intelligence Wing র‌্যাব
ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (FIU) Financial Intelligence Unit বাংলাদেশ ব্যাংক
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (CIU) Central intelligence Unit জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (DGFI) Directorate General of Forces Intelligence সামরিক বাহিনী
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) National Security Intelligence বাংলাদেশ সরকার
সামরিক গোয়েন্দা শাখা (বিভাগ) (DMI) Directorate of Military Intelligence সামরিক বাহিনী
ডিরেক্টরেট অব নেভাল ইন্টেলিজেন্স Directorate of Neval Intelligence বাংলাদেশ নৌবাহিনী
অফিস অব এয়ার ইন্টেলিজেন্স Office of Air Intelligence বাংলাদেশ বিমানবাহিনী
বর্ডার সিকিউরিটি ব্যুরো Border Security Bureau বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

See More…..

বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – ৫ম পর্ব

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড

বাংলাদেশে কবে কোস্টগার্ড গঠন করা হয়?
— ১৯৯৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। আইন পাস হয়- সেপ্টেম্বর ১৯৯৪।

কোস্টগার্ড বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য কি?
— উপকূলের নিরাপত্তা ও নৌযানগুলোকে জলদস্যুদের হামলা থেকে রক্ষা করা।

বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমান্তের দৈর্ঘ্য কত?
— ৭১০ কিলোমিটার।

কোস্টগার্ডের কার্যক্রম শুরু হয় কবে?
— ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৫।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড-এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
— ঢাকায়।

কোস্টগার্ডের আঞ্চলিক অফিস কয়টি ও কোথায় অবস্থিত?
— ২টি; চট্টগ্রাম ও খুলনায়।

অপারেশন জাটকা কি?
— জাটকা নিধন বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃক পরিচালিত অভিযান।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)- এর বর্তমান নাম কি?
— বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB)

BGB-এর পূর্ণরূপ কি?
— Border Guard Bangladesh

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় কবে?
— ৮ ডিসেম্বর ২০১০।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন কবে?
— ২০ ডিসেম্বর ২০১০।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনে বিদ্রোহের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি কি?
— মৃত্যুদণ্ড।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কবে যাত্রা শুরু করে?
— ২৩ জানুয়ারি ২০১১।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রথম নাম কি ছিল?
— রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন (প্রতিষ্ঠা ২৯ জুন ১৭৯৫)

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) গঠিত হয় কবে?
— ৩ মার্চ ১৯৭২।

বাংলাদেশ রাইফেলস-এর প্রতীক কি?
— বিশেষ বেজমেন্টে আবদ্ধ ক্রস রাইফেলের ওপর শাপলা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সদর দপ্তর কোথায়?
— পিলখানা, ঢাকা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয় কত সালে?
— ৩ মার্চ ১৯৮০।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর কতজন সদস্যকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
— ২ জন (বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ)।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত সদস্য সংখ্যা কতজন?
— ১৪৯ জন (২ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৭ জন বীরউত্তম, ৩৬ জন বীরবিক্রম ও ১০৪ জন বীরপ্রতীক)

মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর কতজন সদস্য শহীদ হন?
— ৮১৭ জন।

ঢাকার পিলখানায় মর্মান্তিক বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটিত হয় কবে?
— ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) -এর সদস্যকে বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কতটি ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হয়?
— ৪টি। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক’, ‘প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড পদক’, ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (সেবা) পদক’, ও ‘প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড (সেবা) পদক’।

নাম সময়কাল
রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন ১৭৯৫ – ১৮৬১
ফ্রন্টিয়ার গার্ডস ১৮৬১ – ১৮৭৯
স্পেশাল রিজার্ভ কোম্পানি ১৮৭৯ – ১৮৯১
বেঙ্গল মিলিটারি-পুলিশ ১৮৯১ – ১৯২০
ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস ১৯২০ – ১৯৪৭
ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) ১৯৪৭ – ১৯৭২
বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিয়ার) ১৯৭২ – ২০১১
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০১১ – বর্তমান

আনসার ও ভিডিপি

আনসার বাহিনী কবে গঠিত হয়?
— ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮

আনসার ও ভিডিপি দিবস কবে পালিত হয়?
— ১৬ ফেব্রুয়ারি।

VDP-এর পূর্ণরূপ কি?
— Village Defense Party.

আনসার আইন পাস হয় কবে?
— ১৯৪৮ সালে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে)

বাংলাদেশ আনসার রুলস প্রথম প্রণীত হয় কবে?
— ২০ আগস্ট ১৯৪৮

১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আনসার বাহিনীর কতজন সদস্য শহীদ হন?
— ৬৪৭ জন।

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর কতজন সদস্য বিশেষ খেতাবে ভূষিত হন?
— ১৪ জন (৬ জন বীরবিক্রম, ৮ জন বীরপ্রতীক)।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে মহিলা নিয়োগ করা হয় কবে থেকে?
— ১৯৭৬ সাল থেকে।

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসার একাডেমির বর্তমান নাম কি?
— আনসার ভিডিপি একাডেমি।

‘বাংলাদেশ আনসার বাহিনী আইন’ এবং ‘ব্যাটালিয়ন আনসার আইন’ পাস হয় কবে?
— ১৯৯৮ সালে।

বাংলাদেশের আনসার বাহিনীর সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয় কবে?
— ১৯৯৮ সালে।

বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – ৪র্থ পর্ব

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশ

(তথ্য আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত)

বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত হয়ে কার তত্ত্বাবধানে কাজ করে?
— জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী।

বর্তমানে শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান কত?
— চতুর্থ।

বাংলাদেশ পুলিশ এ যাবৎ জাতিসংঘের কতটি মিশনে অংশ নিয়েছে?
— ২২টি।

বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কত জন সদস্য কাজ করছে?
— ৬৫৪ জন।

বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের দলটিকে পাঠানো হয় কবে?
— ১৮ আগস্ট ১৯৯২।

কতজন পুলিশ সদস্য ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাতিসংঘ মিশন সম্পন্ন হয়েছে?
— ১৯,৬৬৮ জন।

হাইতি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের দলটিকে পাঠানো হয় কবে?
— ২ অক্টোবর ১৯৯৪।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মশনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ পুলিশের কত সদস্য শহিদ হন?
— ২১ জন।

বসনিয়ায় এক বছরের জন্য পুলিশ মনিটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ১০ জন অফিসারকে পাঠানো হয় কবে?
— ১৮ অক্টোবর ১৯৯৬।

অ্যাঙ্গোলা শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কতজন সদস্য প্রেরিত হয়?
— ৫ জন।

অ্যাঙ্গোলা শান্তিরক্ষা মশনে পুলিশ দলকে কবে পাঠানো হয়?
— ২১ অক্টোবর, ১৯৯৬।

সর্বশেষ কোথায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়?
— মালি।

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘের কতটি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত আছে?
— ৪টি দেশে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ দল কোন দেশে অংশগ্রহণ করে?
— পূর্ব তিমুর।

বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ দল কবে পূর্ব তিমুরে যাত্রা করে?
— ৭ ডিসেম্বর ২০০০।

বাংলাদেশ পুলিশ কবে ইন্টারপোলের সদস্য হয়?
— ১৯৭৬ সালে।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা

ইন্টারপোল (Interpol) কি?
— আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা।

ইন্টারপোল নামকরণ হয়েছে কিভাবে?
— Interpol নামকরণ করা হয়েছে International এর Inter এবং Police এর Pol নিয়ে।

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির পুরো নাম কি?
— International Criminal Police Organization সংক্ষেপে ICPO

ইন্টারপোল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
— ১৯২৩ সালে।

ইন্টারপোলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ কতটি?
— ৫০টি।

প্রতিষ্ঠালগ্নে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায় ছিল?
— অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।

ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কখন ভিয়েনা থেকে প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়?
— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।

বর্তমানে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায়?
— ফ্রান্সের লিওঁতে।

ইন্টারপোল পরিচালিত হয় কোন কমিটির মাধ্যমে?
— ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি’ নামক একটি কমিটির মাধ্যমে।

ইন্টারপোলের প্রধান কাজগুলো কি কি?
— সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অপরাধ বিষয়ক বিবিধ তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, মাদকদ্রব্যের চোরাচালান এবং অন্যান্য আন্তঃমহাদেশীয় অপরাধ সম্পর্কিত খবরাখবর বিনিময়।

বাংলাদেশ পুলিশ কবে ইন্টারপোলের সদস্য হয়?
— ১৯৭৬ সালে।

ICPC কি?
— একটি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা।

ইন্টারপোলের অফিসিয়াল ভাষা কয়টি ও কি কি?
— চারটি। যথা- ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ ও আরবি।

ইন্টারপোলের সদস্য দেশের সংখ্যা কত?
— ১৯৪টি।

ইন্টারপোল কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম কি?
— International Criminal Police Review

স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ

ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধটি কি উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়?
— ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকবাহিনীর আক্রমণে নিহত পুলিশের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ কখন শেষ হয়?
— ১৯৮৯ সালে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধটির স্থপতি কে?
— মোস্তফা হারুন কদ্দুস হিলি।

স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত পুলিশ কতজন?
— ২ জন (বীরপ্রতীক)।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)

সন্ত্রাস দমনে এলিট বাহিনী র‌্যাব কবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে?
— ২৬ মার্চ ২০০৪।

কোন অধ্যাদেশ সংশোধন করে র‌্যাব গঠন করা হয়?
— ১৯৭৯ সালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশ।

র‌্যাব কার অধীনে গঠন করা হয়?
— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে।

কোন কোন বাহিনীর সমন্বয়ে র‌্যাব গঠিত?
— সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড।

র‌্যাব কবে থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশন শুরু করে?
— ২১ জুন ২০০৪।

র‌্যাবের স্নোগান কি?
— বাংলাদেশ আমার অহংকার।

RAB-এর পূর্ণরূপ কি?
— Rapid Action Battalion

র‌্যাব বিধি অনুসারে কোন বাহিনীর কত শতাংশ জনবল নিয়ে র‌্যাব গঠিত হবে?
— পুলিশ ৪৪%, সশস্ত্রবাহিনী ৪৪%, বিজিবি ৬%, আনসার ও বিজিপি ৪%, কোস্টগার্ড ১% এবং বেসামরিক প্রশাসন থেকে ১%।

র‌্যাবের প্রথম মহাপরিচালক কে?
— আনোয়ারুল ইকবাল।

মে দিবসের পটভূমি ও আজকের শ্রমিক

মে দিবসের পটভূমি ও আজকের শ্রমিক

শ্রমজীবী মানুষের প্রেরণা ও উৎসবের দিন ১ মে। দিনটি প্রেরণার হলেও এর পিছনে
লুকিয়ে আছে এক রক্তাক্ত করুণ ইতিহাস। ন্যায্য অধিকার আদায়ে শ্রমিকদের আত্মহুতি
দানের এই গৌরব দীপ্ত ইতিহাস, যা যুগ যুগ ধরে শ্রমিকদের উজ্জীবিত করে তাদের দাবি
আদায়ের সংগ্রামে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের শ্রমিক সমাজ তাদের
দাবি-দাওয়ার যে প্রতিফলন ঘটিয়েছিল তা আজো পরিপূর্ণতা লাভ করেনি। এখনে তাদের
দাবি-দাওয়ার ৫০ ভাগও বাস্তবায়িত হয়নি। আজকের এই আধুনিক যুগেও শ্রমিকরা হচ্ছে
তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। ধনিক শ্রেণী আজো শ্রমিকের শোষণের নীতিতে অটল
রয়েছে। তাই প্রতি বছর শ্রমিক দিবস পালিত হলেও শ্রমিকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন
নেই।


পটভূমি :
ঢালাই শ্রমিকদের তরুণ নেতা এইচ সিলভিসের নেতৃত্বে নেতা এইচ সিলভিসের
নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন’ ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবসের দাবিতে ১৮৮৬ সালের ১ মে
আমেরিকায় ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ ধর্মঘটের প্রধান কেন্দ্র ছিল শিকাগোতে। ১ মে
শিকাগোকে কেন্দ্র করে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে
মিশিগান অ্যাভিনিউ’র মিছিলে যোগদানের প্রস্তুতি নেয় এবং শান্তিপূর্ণ ও সাফল্যের
সাথে ১ মে’র ধর্মঘট পালিত হয়। ২ মে ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ৩ মে ধর্মঘট আরো
ব্যাপক আকার ধারণ করে। ৩ মে ম্যাককমিক ফসল কাটার শ্রমিকরা শ্রমিকসভা শুরু করে।
সভা চলাকালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে ৬ জন নিহত ও বহু আহত হয়। এ
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ৪ মে হে মার্কেট চত্বরে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ হলে সেখানেও
পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও গুলিতে নিহত হয় ৪ জন শ্রমিক ও গ্রেফতার হয় ১৬ জন।
পরবর্তী সময়ে প্রহসনের বিচারে আরো ৪ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞের
মাধ্যমে গোটা বিশ্বের শ্রমিকের অধিকারকে নতুন মাহাত্ম্য এনে দেয়। ১৮৮৯ সালের ১৪
জুলাই এঙ্গেলস- এর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠা কংগ্রেসে ৮ ঘণ্টা
শ্রম দিবস আদায় এবং শিকাগোর শহীদ শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আন্তর্জাতিক
সংহতি প্রকাশের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই থেকে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রম
দিবস হিসেবে সারা দুনিয়ায় পালিত হয়ে আসছে।

শ্রমিক আন্দোলনের শুরু যেভাবে :
শ্রমিক শ্রেণির প্রথম দিককার সংগ্রাম ছিল আজকের
সংগ্রাম থেকে আলাদা ধরনের। ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের সময় কাল ধরা হয় ১৭৬০ থেকে
১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমেই যান্ত্রিক যুগের সূচনা হয়।
শ্রমিকেরা মনে করত কল-কারখানা তাদের দুঃখ-কষ্টের মূল কারণ। তাই ১৭৬০-এর দশকে তারা
কলভাঙ্গার আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ‘লেডউড’ নামক একজন সুতাকল
শ্রমিক। পর্যায়ক্রমে ১৮৩০ সাল পর্যন্ত এই আন্দোলন চলে। এর আন্দোলন পরিচালনার জন্য
শ্রমিকশ্রেণি ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত হতে থাকে। ১৭৯৯-১৮০০ সালে
ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে ট্রেড ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮৩০-১৮৪৭ সাল
পর্যন্ত নানা ধরনের আইন তৈরি করে ট্রেড ইউনিয়নকে অকেজো করে রাখার চেষ্টা করা হয়।
তথ্যে মে দিবস
  • দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে প্রথম আন্দোলন হয়- যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে।
  • দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে ধর্মঘট আহ্বান করে- যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল
    লেবার ইউনিয়ন।
  • শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন-এইচ সিলিভিস।
  • ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন আমেরিকায় ধর্মঘটের ডাক দেয়- ১ মে ১৮৮৬।
  • দৈনিক ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবসের দাবি আদায় হয়- ১৪ জুলাই ১৮৮৯।
  • ১৮৮৬ সালের শ্রমিক আন্দোলনের ব্যাপ্তি ছিল-৩ দিন (১ মে থেকে ৩ মে)।
  • ১৮৮৬ সালের ১ মে থেকে ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলন দমনে পুলিশের গুলিতে নিহত
    হয়- ১০ জন।
  • মে দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়- ১৪ জুলাই ১৮৮৯।
  • বিশ্বব্যাপী মে দিবস পালিত হয়ে আসছে- ১৮৯০ সাল থেকে।
  • প্রথম শ্রম আইন প্রণীত হয়- ১৮৮৯ সালে।
  • ১৮৯০ সালে প্রথম মে দিবস পালিত হয়- যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে।
আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় : সাইলেসিয়ায় তাঁত শ্রমিকরা অমানুষিক অত্যাচার নিপীড়ন, নির্যাতনের শিকার হয়ে
শ্রেণিশত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। ১৮৪৪ সালের ৫ জুন সরকারি সৈন্যবাহিনীর
সঙ্গে তাদের লড়াই শুরু হয়। এই লড়াইয়ে ১৭ জন শ্রমিক নিহত ও ১৪ জন আহত হয়। ৯ জুন এই
অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। ১৮৩০ সাল থেকে চ্যাটিস্ট আন্দোলন চলে। ১৮৪৮ সালে
ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট শ্রমিক ভোটের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। এটাই শ্রমিকদের
প্রথম রাজনৈতিক অর্জন।
আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় : আমেরিকায় শিল্পের অতীত বিকাশ ১৮৮০ সাল থেকে ১৮৯০ সাল পর্যন্ত চলতে থাকলেও ১৮৮৪-৮৫
পর্যন্ত মন্দা দেখা দেয়। এই সময় অনেক কলকারখানা লে-অফ, লক আউট ঘোষণা করা হয়। ফলে
বহু শ্রমিক ছাঁটাই হয়ে বেকার হয়ে পড়ে। ১৮৮৮ সালের ৭ অক্টোবর ওই সংগঠনের ৪র্থ
সম্মেলনে ৮ ঘণ্টা শ্রম দিবসের দাবিকে প্রস্তাব হিসেবে গ্রহণ করা হয় এই মর্মে,
১৮৮৬ সালের ১ মে থেকে ৮ ঘণ্টা কাজের দিন আইনত গণ্য করতে হবে। ১৮৮৫ সালে পরবর্তী
সম্মেলনে বিগত বছরের সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি ঘোষিত হয়। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী ১৮৮৬ সালের ১ মে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘট শুরু হয়। ৩ মে শ্রমিকদের
শান্তিপূর্ণ মিছিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ। ৪ মে শিকাগোর হে মার্কেটে প্রতিবাদ সভা
বসে। সভায় পুলিশ আক্রমণ করলে শ্রমিকরা আক্রমণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে। নিহত হয়, ৭
পুলিশ, শহীদ হয় ৪ শ্রমিক। সারা সে মার্কেট চত্বর রক্তে রাঙা হয়ে যায়। সভায়
উপস্থিত এক কিশোর শ্রমিক সেদিন তার গায়ের জামা খুলে রক্তে রক্তে ভিজিয়ে রক্তভেজা
লাল জামাটি উড়িয়ে দেয় পতাকা হিসেবে। আর সেই পতাকাই আজ শ্রমিকশ্রেণীর লাল ঝাণ্ডা,
সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস। এর পরে শ্রমিক নেতাদের নামে মামলা দায়ের করে প্রহসনের
বিচারের মাধ্যমে ৭ জন শ্রমিকের ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে
দণ্ডিত করা হয়।
মে দিবস পালনের ঘোষণা : শোষক শ্রেণির নানান অত্যাচার নিপীড়ন সত্ত্বেও সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ‘দুনিয়ার
মজদুর এক হও’
শ্লোগনটি। এই স্লোগানে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষ অনুপ্রাণিত হয়।
১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের সম্মেলনে প্রথম শ্রম আইন
প্রণীত হয়। এই আইনে শ্রমিকদের দৈনিক কর্মসময় ৮ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ১ দিন ছুটি
প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয়
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে আন্তর্জাতিক সংহতি অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন
হিসেবে সারা বিশ্বে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহিত হয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা
ILO এর পূর্ণরূপ : International Labour Organization.
প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় :
১৯১৯ সালে। (তখন এটি লীগ অব নেশনসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল)।
UN ভুক্ত হয় :
জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার মর্যাদা লাভ করে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৬।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :
  • শ্রমের অবস্থার উন্নয়ন সাধন,
  • শ্রমিকের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন,
  • সরকার
    মালিক শ্রমিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা,
  • সামাজিক ও অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় করা।
সদস্য সংখ্যা : ১৮৩।
সদর দপ্তর : জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
প্রধানের পদবি :
ডাইরেক্টর জেনারেল।
গভর্নিং বড়ি গঠিত : ২৮ জন সরকারি প্রতিনিধি, ১৪ জন শ্রমিক ও
১৪ জন বিনিয়োগ প্রতিনিধি অর্থাৎ ৫৬ জন প্রতিনিধি নিয়ে।
যোগাযোগ : 4. route des morillons, CH-1211 Geneva 22. Switzerland. Fax : (41-22)
798-8685; E-mail : ilo@ilo.org ওয়েবসাইট : www.ilo.org
আজকের শ্রমিক : ১৮৮৬ সালের মে মাসে শিকাগোর হে-মার্কেটে সংগটিত রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে
বিশ্বের শ্রমিক সমাজ তাদের দাবি-দাওয়ার ৫০ ভাগও বাস্তবায়িত হয়নি। সেই রক্তক্ষয়ী
সংঘর্ষ ঘটে যাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা শ্রমদানের দাবি বাস্তবায়িত হলেও কালে কালে
তাও আবার স্বার্থান্বেষী মহল তথা ধনিক শ্রেণির নগ্ন থাবায় আজকের প্রেক্ষাপট
ভিন্নতা লাভ করেছে। ধনিক শ্রেণি তাদের প্রভাব খাঁটিয়ে আজকের শ্রমিক সমাজকে
নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ন্যুনতম মজুরি কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে সাধারণ
শ্রমিকদেরকে। আজো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রীতদাস প্রথা বিদ্যমান। বলপূর্বক শ্রমে
নিয়োগ, অতিরিক্ত শ্রমদানে বাধ্য করা, ধনিক শ্রেণির ইচ্ছামাফিক তাদের পরিচালন, কম
মজুরি প্রদান, কর্মক্ষেত্রে শিশু শ্রমিক নিয়োগ, শিশু ও নারী পাচার ও তাদের
পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আন্তর্জাতিক
শ্রম আইন, স্থানীয় প্রশাসন ও সেবা সংস্থাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই এসব ঘটে
চলেছে। অথচ প্রতিবছর জাঁকজমকের সাথে মে দিবস পালন করা হচ্ছে। তাই মনে রাখতে হবে
সেদিন শ্রমিক শ্রেণি তার অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে যে সংগ্রাম গড়ে তুলেছিল
আজো শ্রমিক শ্রেণির সামনে সে কর্তব্য শেষ হয়ে যায়নি। ১ মে’র লড়াই শুধুমাত্র ৮
ঘণ্টা শ্রম সময় নির্ধারণের জন্যই নয় বরং মজুরি দাসত্ব প্রথার অবসানের লক্ষ্যেই
তাদের এ লড়াই। মে দিবস তাই এক গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের স্মৃতিবাহী অবিস্মরণীয় দিনই
কেবল নয়, কর্মজীবী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার অবিনাশী উৎসও
বটে। আর সেই অনুপ্রেরণায় আবারও শ্রমিক সমাজকে উজ্জীবিত হতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে
হবে শ্রমিক সমাজের ন্যায্য অধিকার। যাদের শ্রমের বিনিময়ে ধনিক শ্রেণি সৃষ্টি
হয়েছে, তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে শ্রমিক আন্দোলনের মূল
তাৎপর্য। সোনার হরিণের পূজারী আমরা নই, বুর্জোয়া-অত্যাচারীদের রাজত্ব আমরা চাই
না। অবসান হোক ধনতন্ত্রের সৃষ্ট দারিদ্র্যের বিভীষিকা, দীর্ঘজীবী হোক শ্রমের
রাজত্ব। এ প্রত্যাশা আমাদের।

প্রতিবেদন : মহান মে দিবস উপলক্ষে সংবাদ প্রতিবেদন

সংবাদপত্রের প্রকাশের জন্যে ‘ঐতিহাসিক মহান মে দিবস’ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন
রচনা করো।

আজ ঐতিহাসিক মে দিবস

দীপান্বিতা দোলা : আজ পঞ্জিকার তারিখ অনুযায়ী পহেলা মে। এ তারিখটি
ঐতিহাসিক। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সংহতি প্রকাশের দিন আজ। দিনটি আন্তর্জাতিক
শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয় সারা বিশ্বে। শ্রমজীবী মানুষেরা অধিকার প্রতিষ্ঠার
জন্যে সেদিন যে সংগ্রাম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, তার ভিত্তিতে এ দিনটি ইতিহাসের
পাতায় স্থান করে নিয়েছে। 
১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেটে’ ৮ ঘন্টা
কাজের সময় নির্ধারণের দাবিতে সমবেত হয় হাজার হাজার শ্রমিক। এই শ্রমিকদের সমাবেশ
সেদিন পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে অনেক শ্রমিকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়।
পুলিশের নির্যাতনের মুখেও শ্রমিক আন্দোলন থেমে না গিয়ে বরং তা আরো বেগবান হয়ে
ওঠে। প্রতিবাদমুখর শ্রমিকরা ৪ মে হে মার্কেটের সামনে আবারো সমাবেশের আয়োজন করে।
এদিনও পুলিশ বাহিনী নির্মমভাবে শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। হতাহত হয় আরো অনেক
শ্রমিক। এভাবে শ্রমিকের রক্তের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত কাজের সময় ৮ ঘন্টা নির্ধারণের
মাধ্যমে শ্রমিকদের দাবি পূরণ হয়। উল্লেখ্য, এর পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ
পৃথিবীর কোথাও শ্রমিকদের কাজের নির্ধারিত কোনো সময় ছিল না। যেখানে যে যেমন করে
পারে শ্রমিকদের খাটিয়ে ১০-১৬ ঘন্টা পর্যন্ত কাজের বিনিময়ে দিনের মজুরি দিত। 
১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে পহেলা মে’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও
আত্মাহুতিকে স্বীকৃতি দিয়ে পহেলা মে শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস
হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশ্বের সর্বত্র
১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দিবস হিসেবে পালন করা
হচ্ছে। বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশও শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ও সংহতি প্রকাশের
ঐতিহাসিক দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।
তবে এখানে উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ যখন এই মহান মে দিবস পরিপূর্ণ
মর্যাদায় পালিত হচ্ছে তখনও এ দেশের হাজার হাজার শ্রমিক কাজ না পেয়ে দিনাতিপাত
করছে কিংবা যারা কাজ পেয়েছে তাদেরকে নির্ধারিত ৮ ঘন্টার পরিবর্তে অনেক বেশি সময়
কাজ করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম আদমজী পাটকলসহ কয়েক শত
গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় অসংখ্যা শ্রমিক কাজ হারিয়েছে। দেশের বিভিন্ন
কলকারখানা, ব্যাংক, বীমা, শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেসব সংগঠন বা সিবিএ আছে, তারা
শ্রমিকের অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠা চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে
ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করায় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। অনেক ভাগে
বিভক্ত এসব শ্রমিক সংঘঠন প্রতি বছর ঘটা করে ১লা মে পালন করে। তারা পতাকা উত্তোলন,
র‍্যালি, মিছিল, পদযাত্রা কিংবা শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠানও করে। এসব
অনুষ্ঠানে শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বড়বড় বুলি আওড়ায়,
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। এজন্যে অবশ্যই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের আন্তরিকতা
এবং পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছা থাকা আবশ্যক। যদি সত্যিকার অর্থে শ্রমিকদের দাবি ও
ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়, তবেই মহান মে দিবস পালন সার্থক হবে।

Paragraph : May Day

May Day

May Day is an international holiday of working people. In the year 1886 in the month of May, the workers in the American city of Chicago who were groaning under the pangs of exploitation raised slogans for their recognition as men. This movement demanded a time limit for work and other basic facilities of the workers so that they could live as human beings. This was no doubt a moral blow to the wealthy class. In consequence, the streets of Chicago city were red with the warm blood of the workers. The capitalist government and its agent adopted every possible means to choke the voice of the workers. The leaders of the workers were hanged. But the undaunted workers came out successful in sacrificing their lives. The demand for eight hours working time instead of twelve or thirteen hours was accepted and they were provided with some amenities of life. May Day has been a symbol for workers all over the world. May Day is a spirit of international brotherhood and unity of the workers. On May Day, all workers should be united to march on the path of progress and happiness.

Educational Note Share

Exit mobile version